পরাজিত হয় না কবি by আল মাহমুদ
কবি
স্বপ্নের কথা বলেন। স্বপ্ন দেখান তার জাতিকে। স্বপ্ন ধারণ করেই তিনি
লেখেন। একজন কবিকে প্রচুর লিখতে হয়। লিখে যেতে হয় প্রতিনিয়ত। কেননা
লেখালেখিই তো একজন কবির কাজ। লেখা মানসম্মত হতে হবে, এ ব্যাপারে তো কথা
নেই। এটা যুক্তির অপেক্ষা রাখে না। একজন কবিকে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে।
পড়তে হবে। অনেকে বলেন, বেশি লেখা উচিত নয়। তারা হয়তো অনেক বড় লেখক। আমাদের
লিখতে হয়।
একজন লেখককে লিখতে হয় প্রতিনিয়ত। যেমন ধরা যাক টলস্টয়ের কথা। তার রচনা পড়ে শেষ করা যায় না। সীমাহীন সমুদ্রের মতো। ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’ একটা বই। এটা লেখার মতো আর কেউ নেই। তখনো পৃথিবীতে ছিল না কেউ। তিনি যুদ্ধ দেখেছেন, যুদ্ধ লিখেছেন এবং যুদ্ধের পর যে শান্তি তা-ও দেখেছেন, লিখেছেন। এর মধ্যে আছে ট্র্যাজেডি। এর মাঝে আছে প্রেম। এর মাঝে আছে সব। ‘হাউ ডাজ ল্যান্ড এ ম্যান রিকয়ার্ড’- একজন মানুষের কতটুকু জমি দরকার। আহ! এ রকম একটি লেখা এখন তো আর হয় না। আরেকটির কথা মনে পড়ছে তীর্থযাত্রা মানে হজে যাওয়া নিয়ে গল্প। গল্পটির নাম হাজী মুরাদ। সে হজে যাবে, কিন্তু কী কারণে যেন যেতে পারেনি। হজের টাকাটা সে একজন দরিদ্র লোককে বিপদে সাহায্য করতে গিয়ে খরচ করে ফেলল। ফলে হজে যাওয়া হলো না তার। কিন্তু যারা হজে গিয়েছিল তাদের একজন বলল- আরে তোমাকে তো আমি দেখেছি। মুরাদ বলল, কোথায় দেখেছ? তখন ওই লোকটি বলল, হজে গিয়ে তোমাকে দেখেছি এবং তোমাকে আমি ডাকছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে শুনছো না। মানে আল্লাহ তার হজ কবুল করে নিয়েছেন। কী অসাধারণ গল্প! একজন কবির প্রকৃত আনন্দ লেখালেখিতে। কোনো লেখা যখন প্রকাশিত হয় এবং যদি কোনো বই প্রকাশ হয়, তখন আনন্দ জাগে। লিখতে পারার মধ্যেই আনন্দ এবং লেখাটি যদি বন্ধুকে পড়ে শোনানো যায়, তখন লেখকের মনে খুব আনন্দ হয়।
একজন কবির পূর্ণতা শুধু কাব্যে হয় না। গদ্যে-পদ্যে-নাট্যকর্মে সাহিত্যের নানান দিকে তাকে বিস্তৃত হতে হয়। আবার জন কিটসের মতো কবিও আছেন। যারা শুধু কবিতা লিখেছেন। তাদের পূর্ণতা কাব্যেই। কিন্তু দুর্লভ কিছু কবিতা রয়েছে তাদের। সামান্য। শেক্সপিয়রের কথা মনে হয়। এত সুন্দর কবিতা তিনি লিখেছেন; বারবার পড়তে ইচ্ছে করে।
কবিতার জন্য ত্যাগ দরকার। সেটা কী ধরনের ত্যাগ? তা হলো- এই হতে পারতাম, হইনি। বড় অফিসার হতে পারতাম, হইনি। অনেক টাকা-পয়সা করতে পারতাম, করিনি। সম্পত্তি গড়তে পারতাম, গড়িনি। করিনি, কবিতার জন্য। ওইসব করলে আমার নাম কালের স্রোতের দিকে যাবে না। কাল ধরে রাখবে না। সম্পত্তি চলে যাবে অংশীদারদের হাতে। তারা আমার নামও উচ্চারণ করবে না। বড়জোর নাম করলে করতে পারে হয়তো বা। কিন্তু কাব্যের যে উত্তরাধিকার, সেটা আমার কবিতাই আমাকে দেয়। আমি মরে গেলেও দেবে। একজন লেখকের সাফল্য তার লেখাতেই। এই সাফল্য পাওয়ার জন্য একজন লেখককে খুব নিবিষ্টচিত্তে লেখা উচিত। লেখার কথা চিন্তা করা উচিত। উঠতে-বসতে, জাগরণে-স্বপ্নে লেখা নিয়েই থাকা উচিত।
কবিরা সব সময় নিন্দার মুখোমুখি হয়। সব সময় হতে হয়। আমিও হয়েছি। কত জ্বালা সহ্য করতে হয়েছে। নিন্দা আসবেই। কিন্তু কালস্রোত এমন, সে শুধু কবির যে মূল্যবান বিষয় কাব্য সেটাই ধরে রাখে। আর বাকি সব কিছুই ভাসিয়ে দেয়। নিন্দাও থাকে না।
মানুষ হিসেবে একজন কবির ভূমিকা উন্নতমানের হওয়া উচিত। মানুষের মতোই হওয়া উচিত। প্রেম-ভালোবাসা, বিশেষ করে স্ত্রীর প্রতি কবির যে ভূমিকা থাকে, যা অনেকেই জানে না সেটা কবি যদি কাব্যে বলেন, সেখানে আরেকজন মানুষকে পাওয়া যায়। যে কবির সেবাযত্ন করছিল, কবির সাথে থাকত, কবির সাথে ঘুমাত। কবির সুখ-দুঃখে কবির পাশে থাকত। একজন বড় কবিকে বড় মানুষ হতে হয়। হতেই হবে। সমাজের সবার চোখ থাকে কবির দিকে। সমাজে একজন কবি তো আর এমনিই জন্মায় না। অনেক সাহিত্য সাধনার পর একটি সমাজে একজন কবির জন্ম হয়। এ জন্য কবির মুখের দিকে সবাই তাকিয়ে থাকে। কারণ, কবি তো সমাজকে স্বপ্ন দেখান। একটু অগ্রসর হয়ে। বিপদে-আপদে কবি ওই সমাজের পাশে থাকেন।
কবিরা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। কবিরাই তো ভবিষ্যতের কথা বলেন। যদিও কবির সব কথা সত্যি হয় না; কিন্তু কবি সব সময়ই ভবিষ্যদ্বক্তা। আশায়-ভরসায়, স্বপ্নে-কল্পনায়, গোপনে কী আছে ভবিষ্যতে একটি চিত্র কবি অঙ্কন করেন। কবির পক্ষে মহাকাব্য লেখা সম্ভব। এটা তো আর কারো পক্ষে সম্ভব হয় না। রবীন্দ্রনাথ মহাকাব্য লিখতে পারেননি। মহাকাব্য লেখার যে প্রস্তুতি সেটি রবীন্দ্রনাথের ছিল; কিন্তু তিনি লেখেননি। লিখতে পারেননি। এই না পারার জন্য তিনি কৈফিয়ত দিয়েছেন।
একটি কথা বিশ্বসাহিত্যে প্রচলিত আছে, কবিরা পলায়নপর হন। এটা সত্য নয়। কবিরা পলায়নপর হবেন কেন? কবিরা তো তাদের যুগের সম্মুখীন হয়েছেন। প্রায় কবিদেরই তো একই অবস্থা। দু-একজন আছেন পালিয়েছেন। তা-ও জীবন বাঁচাতে। যুদ্ধের মহামারীতে, দুর্ঘটনায়, দুর্বিপাকে পড়ে আত্মরক্ষার জন্য কবি পালিয়েছেন। কিন্তু সেটাও তো নিজের জীবন রক্ষার জন্য, কাব্যকে রক্ষার জন্য। সুতরাং কবিরা পলায়নপর নন। তারা সমাজের।
প্রকৃতপক্ষে পরাজিত হন না কবি। যেহেতু তিনি লেখেন। বেঁচে থাকার কাহিনী তো তার লেখাতেই আছে। তাহলে তিনি কি হার মানলেন? না, তিনি হার মানলেন না। কবি অপরাজিত সত্তা।
কবিতা আসলে প্রেম। একধরনের আসক্তি। ঐশ্বরিক প্রেমকেও কিন্তু প্রেমই বলা হয়ে থাকে। প্রেমই হলো কবিতা। মওলানা রুমির একটা গ্রুপ ছিল। সবাই কবি ছিলেন। তাদের বলা হতো মওলানা। তারা নাচতেন। ডান্সিং মওলানা। তারা ঘুরে ঘুরে নাচতেন। হু আল্লাহ, হু আল্লাহ বলে। এটি মওলানা রুমি প্রবর্তন করেছিলেন। কবিতার আধ্যাত্মিক একটা রূপও আছে। প্রেমকেই তো আধ্যাত্মিক বলা হয়। আল্লাহর প্রেমও তো প্রেম।
অনেকেই এখন বলছেন, মুখের ভাষাতেই কবিতা হবে। হ্যাঁ হবে। কথা হচ্ছে, যাদের মুখের ভাষাই কবিতা হবে, তারা মুখের ভাষা কবিতা করতে পারেন কি না? পারলে হবে। আমরা তো মুখের ভাষাতেই কবিতা লিখছি। কিন্তু কবিতার ভাষা কোথাও না কোথাও একটু আলাদা। কবিতা লেখার সময় ভাষা একটু পাল্টে যায়। বদলে যায়। রূপান্তরিত হয় নতুন ভাষায়।
একটি কবিতা তখনই কবিতা হবে, যখন কবিতা পড়ে হৃদয় তৃপ্ত হবে। বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে এবং স্মৃতিতে গেঁথে যাবে। আমি তো তাকেই কবিতা বলি।
একজন লেখককে লিখতে হয় প্রতিনিয়ত। যেমন ধরা যাক টলস্টয়ের কথা। তার রচনা পড়ে শেষ করা যায় না। সীমাহীন সমুদ্রের মতো। ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’ একটা বই। এটা লেখার মতো আর কেউ নেই। তখনো পৃথিবীতে ছিল না কেউ। তিনি যুদ্ধ দেখেছেন, যুদ্ধ লিখেছেন এবং যুদ্ধের পর যে শান্তি তা-ও দেখেছেন, লিখেছেন। এর মধ্যে আছে ট্র্যাজেডি। এর মাঝে আছে প্রেম। এর মাঝে আছে সব। ‘হাউ ডাজ ল্যান্ড এ ম্যান রিকয়ার্ড’- একজন মানুষের কতটুকু জমি দরকার। আহ! এ রকম একটি লেখা এখন তো আর হয় না। আরেকটির কথা মনে পড়ছে তীর্থযাত্রা মানে হজে যাওয়া নিয়ে গল্প। গল্পটির নাম হাজী মুরাদ। সে হজে যাবে, কিন্তু কী কারণে যেন যেতে পারেনি। হজের টাকাটা সে একজন দরিদ্র লোককে বিপদে সাহায্য করতে গিয়ে খরচ করে ফেলল। ফলে হজে যাওয়া হলো না তার। কিন্তু যারা হজে গিয়েছিল তাদের একজন বলল- আরে তোমাকে তো আমি দেখেছি। মুরাদ বলল, কোথায় দেখেছ? তখন ওই লোকটি বলল, হজে গিয়ে তোমাকে দেখেছি এবং তোমাকে আমি ডাকছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে শুনছো না। মানে আল্লাহ তার হজ কবুল করে নিয়েছেন। কী অসাধারণ গল্প! একজন কবির প্রকৃত আনন্দ লেখালেখিতে। কোনো লেখা যখন প্রকাশিত হয় এবং যদি কোনো বই প্রকাশ হয়, তখন আনন্দ জাগে। লিখতে পারার মধ্যেই আনন্দ এবং লেখাটি যদি বন্ধুকে পড়ে শোনানো যায়, তখন লেখকের মনে খুব আনন্দ হয়।
একজন কবির পূর্ণতা শুধু কাব্যে হয় না। গদ্যে-পদ্যে-নাট্যকর্মে সাহিত্যের নানান দিকে তাকে বিস্তৃত হতে হয়। আবার জন কিটসের মতো কবিও আছেন। যারা শুধু কবিতা লিখেছেন। তাদের পূর্ণতা কাব্যেই। কিন্তু দুর্লভ কিছু কবিতা রয়েছে তাদের। সামান্য। শেক্সপিয়রের কথা মনে হয়। এত সুন্দর কবিতা তিনি লিখেছেন; বারবার পড়তে ইচ্ছে করে।
কবিতার জন্য ত্যাগ দরকার। সেটা কী ধরনের ত্যাগ? তা হলো- এই হতে পারতাম, হইনি। বড় অফিসার হতে পারতাম, হইনি। অনেক টাকা-পয়সা করতে পারতাম, করিনি। সম্পত্তি গড়তে পারতাম, গড়িনি। করিনি, কবিতার জন্য। ওইসব করলে আমার নাম কালের স্রোতের দিকে যাবে না। কাল ধরে রাখবে না। সম্পত্তি চলে যাবে অংশীদারদের হাতে। তারা আমার নামও উচ্চারণ করবে না। বড়জোর নাম করলে করতে পারে হয়তো বা। কিন্তু কাব্যের যে উত্তরাধিকার, সেটা আমার কবিতাই আমাকে দেয়। আমি মরে গেলেও দেবে। একজন লেখকের সাফল্য তার লেখাতেই। এই সাফল্য পাওয়ার জন্য একজন লেখককে খুব নিবিষ্টচিত্তে লেখা উচিত। লেখার কথা চিন্তা করা উচিত। উঠতে-বসতে, জাগরণে-স্বপ্নে লেখা নিয়েই থাকা উচিত।
কবিরা সব সময় নিন্দার মুখোমুখি হয়। সব সময় হতে হয়। আমিও হয়েছি। কত জ্বালা সহ্য করতে হয়েছে। নিন্দা আসবেই। কিন্তু কালস্রোত এমন, সে শুধু কবির যে মূল্যবান বিষয় কাব্য সেটাই ধরে রাখে। আর বাকি সব কিছুই ভাসিয়ে দেয়। নিন্দাও থাকে না।
মানুষ হিসেবে একজন কবির ভূমিকা উন্নতমানের হওয়া উচিত। মানুষের মতোই হওয়া উচিত। প্রেম-ভালোবাসা, বিশেষ করে স্ত্রীর প্রতি কবির যে ভূমিকা থাকে, যা অনেকেই জানে না সেটা কবি যদি কাব্যে বলেন, সেখানে আরেকজন মানুষকে পাওয়া যায়। যে কবির সেবাযত্ন করছিল, কবির সাথে থাকত, কবির সাথে ঘুমাত। কবির সুখ-দুঃখে কবির পাশে থাকত। একজন বড় কবিকে বড় মানুষ হতে হয়। হতেই হবে। সমাজের সবার চোখ থাকে কবির দিকে। সমাজে একজন কবি তো আর এমনিই জন্মায় না। অনেক সাহিত্য সাধনার পর একটি সমাজে একজন কবির জন্ম হয়। এ জন্য কবির মুখের দিকে সবাই তাকিয়ে থাকে। কারণ, কবি তো সমাজকে স্বপ্ন দেখান। একটু অগ্রসর হয়ে। বিপদে-আপদে কবি ওই সমাজের পাশে থাকেন।
কবিরা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। কবিরাই তো ভবিষ্যতের কথা বলেন। যদিও কবির সব কথা সত্যি হয় না; কিন্তু কবি সব সময়ই ভবিষ্যদ্বক্তা। আশায়-ভরসায়, স্বপ্নে-কল্পনায়, গোপনে কী আছে ভবিষ্যতে একটি চিত্র কবি অঙ্কন করেন। কবির পক্ষে মহাকাব্য লেখা সম্ভব। এটা তো আর কারো পক্ষে সম্ভব হয় না। রবীন্দ্রনাথ মহাকাব্য লিখতে পারেননি। মহাকাব্য লেখার যে প্রস্তুতি সেটি রবীন্দ্রনাথের ছিল; কিন্তু তিনি লেখেননি। লিখতে পারেননি। এই না পারার জন্য তিনি কৈফিয়ত দিয়েছেন।
একটি কথা বিশ্বসাহিত্যে প্রচলিত আছে, কবিরা পলায়নপর হন। এটা সত্য নয়। কবিরা পলায়নপর হবেন কেন? কবিরা তো তাদের যুগের সম্মুখীন হয়েছেন। প্রায় কবিদেরই তো একই অবস্থা। দু-একজন আছেন পালিয়েছেন। তা-ও জীবন বাঁচাতে। যুদ্ধের মহামারীতে, দুর্ঘটনায়, দুর্বিপাকে পড়ে আত্মরক্ষার জন্য কবি পালিয়েছেন। কিন্তু সেটাও তো নিজের জীবন রক্ষার জন্য, কাব্যকে রক্ষার জন্য। সুতরাং কবিরা পলায়নপর নন। তারা সমাজের।
প্রকৃতপক্ষে পরাজিত হন না কবি। যেহেতু তিনি লেখেন। বেঁচে থাকার কাহিনী তো তার লেখাতেই আছে। তাহলে তিনি কি হার মানলেন? না, তিনি হার মানলেন না। কবি অপরাজিত সত্তা।
কবিতা আসলে প্রেম। একধরনের আসক্তি। ঐশ্বরিক প্রেমকেও কিন্তু প্রেমই বলা হয়ে থাকে। প্রেমই হলো কবিতা। মওলানা রুমির একটা গ্রুপ ছিল। সবাই কবি ছিলেন। তাদের বলা হতো মওলানা। তারা নাচতেন। ডান্সিং মওলানা। তারা ঘুরে ঘুরে নাচতেন। হু আল্লাহ, হু আল্লাহ বলে। এটি মওলানা রুমি প্রবর্তন করেছিলেন। কবিতার আধ্যাত্মিক একটা রূপও আছে। প্রেমকেই তো আধ্যাত্মিক বলা হয়। আল্লাহর প্রেমও তো প্রেম।
অনেকেই এখন বলছেন, মুখের ভাষাতেই কবিতা হবে। হ্যাঁ হবে। কথা হচ্ছে, যাদের মুখের ভাষাই কবিতা হবে, তারা মুখের ভাষা কবিতা করতে পারেন কি না? পারলে হবে। আমরা তো মুখের ভাষাতেই কবিতা লিখছি। কিন্তু কবিতার ভাষা কোথাও না কোথাও একটু আলাদা। কবিতা লেখার সময় ভাষা একটু পাল্টে যায়। বদলে যায়। রূপান্তরিত হয় নতুন ভাষায়।
একটি কবিতা তখনই কবিতা হবে, যখন কবিতা পড়ে হৃদয় তৃপ্ত হবে। বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে এবং স্মৃতিতে গেঁথে যাবে। আমি তো তাকেই কবিতা বলি।
No comments