'বিপ্লবী নন, ভগৎ সিং আসলে জঙ্গি!
ভগৎ
সিং 'জঙ্গি'! হ্যাঁ, এমনটাই দাবি করলেন, ভারতের আকালি দল (অমৃতসর)-এর
সভাপতি সিমরানজিৎ সিং মান। চন্ডিগড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামকরণ শহিদ
ভগৎ সিংয়ের নামে করার প্রস্তাব উঠলে, এর তীব্র বিরোধিতা করেন সিমরানজিৎ।
তার কথায়, 'ভগত্ সিং শহিদও না, জাতীয় নায়কও নয়। ভাগৎ সিং একজন জঙ্গি।' যে
কারণে তারা চান না, চন্ডিগড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে 'শহিদ-ই-আজম সর্দার
ভগৎ সিং এয়ারপোর্ট' নামে চিহ্নিত করা হোক। এমতাবস্থায় চন্ডিগড়
বিমানবন্দরের নাম কী হবে, তা নিয়ে ঘোরতর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদিও, এরই
মধ্যে, ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমানবন্দর উদ্বোধন
করার কথা রয়েছে। এদিকে, নাম নিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারও ঐকমত্যে পৌঁছাতে
পারেনি। পাঞ্জাব সরকার যে নাম প্রস্তাব করেছিল, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ
ইন্ডিয়া তা খারিজ করে দিয়েছে। মানের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
প্রকল্পটি চন্ডিগড়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে প্রকাশ সিং বাদলের একটা উদ্দেশ্য
ছিল। কারণ, প্রকাশ ও তাদের আত্মীয়দের যে জমি রয়েছে, এই প্রকল্পের প্রয়োজনে
তা চড়া দামে বিক্রি করা যাবে। এ প্রসঙ্গেই আকালি দল(অমৃতসর)-এর সভাপতি
বলেন, ভাগৎ সিংয়ের মতো এক 'জঙ্গি'র নামে বিমানবন্দর করার প্রস্তাব দিয়েছেন
প্রকাশ সিং বাদল। তার উচিত ছিল, শিখযোদ্ধা বাবা বন্দা সিং বাহাদুরের নাম
প্রস্তাব করা। কেন ভগৎ সিং জঙ্গি? মান বলেন, 'ইনোসেন্ট' বুটিশদের হত্যা
করেছিলেন ভগৎ সিং। শহিদ ভগৎ সিংকে জঙ্গি বলে, এই প্রথমবার যে ভারতীয়
বিপ্লবীর অপমান করলেন মান, তা কিন্তু নয়। অতীতেও এ ধরনের উল্টাপালটা
মন্তব্য করেছেন মান। যে কারণে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে একবার তাকে গ্রেপ্তারও
করা হয়েছিল। চন্ডিগড়ের বিজেপি নেতা সঞ্জয় ট্যান্ডন মিডিয়াকে বলেন, দুই
রাজ্যের সরকারের উচিত নাম নিয়ে বিতর্ক এড়িয়া চলা। তার কথায়, আমরা
এয়ারপোর্ট পাচ্ছি, এটাই বড় কথা। রাজনীতিকদের মনে এ নিয়ে কোনো রকম দ্বিধা
কাজ না করাই ভালো। নাম নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই বলেও দাবি তার।-টাইমস অব
ইন্ডিয়া।
No comments