জনপ্রিয়তা থাকলে নির্বাচনে ভয় কিসের - সরকারের উদ্দেশে খালেদা জিয়া
ক্ষমতাসীন
আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রশ্ন
রেখে বলেছেন, জনপ্রিয়তা থাকলে নির্বাচন দিতে ভয় কেন? গতকাল এক অনুষ্ঠানে
তিনি বলেন, সরকারের পায়ের নিচে কোনো মাটি নেই। যত জরিপই চালাক, যদি তাই হতো
নির্বাচন দিতে ভয় কেন? নির্বাচনটি দিয়ে দিক। প্রমাণ হয়ে যাবে মানুষ কাকে
চায়, কাকে চায় না। দেশের মানুষ এ সরকারকে ঘৃণা করে। তারা কোনো রকম মতা
আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে গণতন্ত্র
পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান
তিনি।
গত রাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী উপলে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ প্রশ্ন করেন।
আওয়ামী লীগকে সাপের সাথে তুলনা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে আহ্বান রেখে বেগম জিয়া বলেন, একুশ শতকে আপনাদের চিন্তাধারার পরিবর্তন করুন। কিভাবে আজ আপনাদের সম্পদ, মা-বোনসহ সবার নিরাপত্তা বিনষ্ট হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সাপের থেকে কোনো অংশে কম নয়। আমি বলব, সাপ দংশন করলে ওঝা হয়ে ঝাড়তে যাবেন না। তারা (সাপ) যাতে দংশন করতে না পারে সে জন্য আপনারা সতর্ক থেকে সেভাবে কাজ করবেনÑ এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।
জন্মাষ্টমী উপলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রামকৃষ্ণ মঠের স্বামী কৃষ্ণ সেবানন্দ মহারাজ, স্বামী দিব্যযোগান্দ মহারাজ, ইসকন বাংলাদেশের মাধব মরারী দাশ ব্রহ্মচারী, তরুণ শ্যাম দাশ ব্রহ্মচারী, শুভ নিতাই গৌর দাশ ব্রহ্মচারী, সিতাপতি গোঁরমাই, ধানমন্ডি পূজামণ্ডপের দিলীপ চৌধুরী, বনানী পূজামণ্ডপের পান্না লাল দত্তসহ হিন্দু ধর্মের মানুষজনের সাথে খালেদা জিয়া শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আইনবিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তী, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বিজন কান্তি সরকার ও দলের সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা সুশীল বড়ুয়া, অমলেন্দু দাস অপু, নুকুল সাহা, রমেশ দত্ত, তরুণ দে, মিল্টন বৈদ্য, রতন বালা, মৃনাল বৈষ্ণব প্রমুখ নেতাও বক্তব্য রাখেন। ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার ছিল শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি দিন শুভ জন্মাষ্টমী।
বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল ও তাদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ মতায় এলে হিন্দুরা নির্যাতিত হয়। বিপদে পড়ে। স্বাধীনতার পর থেকে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে।
বিএনপিকে অসাম্প্রদায়িক দল অভিহিত করে তিনি বলেন, আমরা মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই বাংলাদেশী। আমরা সব ধর্মের সমান অধিকারে বিশ্বাস করি। সংখ্যালঘু আমরা ব্যবহার করি না। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে গয়েশ্বর রায়কে অন্তর্ভুক্তির কথা তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, যে দিন থেকে আমি রাজনীতিতে এসেছি, গয়েশ্বরকে আমি দেখেছি, চিনি। আমি তাকে বিশ্বাস করি। আমরা যদি তাকে বিশ্বাস না করতাম, তাহলে পার্টির সর্বোচ্চ ফোরামে রাখতাম না। কাজেই আমরা এটা বলে দিতে চাই, আপনাদের (হিন্দু সম্প্রদায়) মাঝ থেকে এ বিষয়টা আসতে হবে। এটা শুধু একপে একপেষে হতে পারে না।
দেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বেগম জিয়া বলেন, আজ কোনো ধর্মের মানুষ শান্তিতে নেই। এমনকি কোনো ধর্মের মেয়েরা নিরাপদে নেই। কাউকে ছাড় দেয় না। আবার যদি কোনো হিন্দু ধরা পড়ে, তাকে আরো বেশি পিটিয়ে বলে, তুই বিএনপি করিস কেন। তোদের আওয়ামী লীগে থাকতে হবে, আওয়ামী লীগে ভোট দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কিছু করবি নাÑ এ রকম চিন্তা তাদের।
সেজন্য আপনাদের (হিন্দু সম্প্রদায়) চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। এলাকাভিত্তিক অনেক জায়গায় আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশি ভোট পাই বলে আমাদের প্রার্থীরা জিতে। গত উপজেলা নির্বাচনে বগুড়ায় বিএনপির মনোনীত হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হওয়ার কথাও বলেন খালেদা জিয়া।
দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব ধর্মের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আসুন দেশটাকে বাঁচানোর জন্য সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। শ্রীকৃষ্ণ অন্যায় দূর করতে নেমে এসেছিলেন, তাই আপনাদেরও অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত। সারা দেশে বন্যায় দুর্গতদের মধ্যে কোনো ত্রাণ সরকার বিতরণ করছে না বলে অভিযোগও করেন তিনি।
তৎকালীন গণতন্ত্রী পার্টির নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। তার প্রসঙ্গ টেনে খালেদা জিয়া বলেন, অনেক দিন আগের কথা বলছি, ১৯৯১-৯২ সালের কথা। গণতন্ত্রী পার্টির সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যিনি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জানেন, তাকে একটি আলোচনা সভায় দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। তিনি জিয়াউর রহমানকে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে দেখেছেন, তা বলেছেন। জিয়াউর রহমান সম্পর্কে ভালো ভালো কথা তিনি বললেন কেন। সে জন্য তার বাড়ি আক্রমণ করেনি? আগুন দেয়নি? আওয়ামী লীগ হচ্ছে এ রকম জিনিস।
গত রাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী উপলে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ প্রশ্ন করেন।
আওয়ামী লীগকে সাপের সাথে তুলনা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে আহ্বান রেখে বেগম জিয়া বলেন, একুশ শতকে আপনাদের চিন্তাধারার পরিবর্তন করুন। কিভাবে আজ আপনাদের সম্পদ, মা-বোনসহ সবার নিরাপত্তা বিনষ্ট হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সাপের থেকে কোনো অংশে কম নয়। আমি বলব, সাপ দংশন করলে ওঝা হয়ে ঝাড়তে যাবেন না। তারা (সাপ) যাতে দংশন করতে না পারে সে জন্য আপনারা সতর্ক থেকে সেভাবে কাজ করবেনÑ এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।
জন্মাষ্টমী উপলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রামকৃষ্ণ মঠের স্বামী কৃষ্ণ সেবানন্দ মহারাজ, স্বামী দিব্যযোগান্দ মহারাজ, ইসকন বাংলাদেশের মাধব মরারী দাশ ব্রহ্মচারী, তরুণ শ্যাম দাশ ব্রহ্মচারী, শুভ নিতাই গৌর দাশ ব্রহ্মচারী, সিতাপতি গোঁরমাই, ধানমন্ডি পূজামণ্ডপের দিলীপ চৌধুরী, বনানী পূজামণ্ডপের পান্না লাল দত্তসহ হিন্দু ধর্মের মানুষজনের সাথে খালেদা জিয়া শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আইনবিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তী, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বিজন কান্তি সরকার ও দলের সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা সুশীল বড়ুয়া, অমলেন্দু দাস অপু, নুকুল সাহা, রমেশ দত্ত, তরুণ দে, মিল্টন বৈদ্য, রতন বালা, মৃনাল বৈষ্ণব প্রমুখ নেতাও বক্তব্য রাখেন। ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার ছিল শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি দিন শুভ জন্মাষ্টমী।
বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল ও তাদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ মতায় এলে হিন্দুরা নির্যাতিত হয়। বিপদে পড়ে। স্বাধীনতার পর থেকে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে।
বিএনপিকে অসাম্প্রদায়িক দল অভিহিত করে তিনি বলেন, আমরা মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই বাংলাদেশী। আমরা সব ধর্মের সমান অধিকারে বিশ্বাস করি। সংখ্যালঘু আমরা ব্যবহার করি না। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে গয়েশ্বর রায়কে অন্তর্ভুক্তির কথা তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, যে দিন থেকে আমি রাজনীতিতে এসেছি, গয়েশ্বরকে আমি দেখেছি, চিনি। আমি তাকে বিশ্বাস করি। আমরা যদি তাকে বিশ্বাস না করতাম, তাহলে পার্টির সর্বোচ্চ ফোরামে রাখতাম না। কাজেই আমরা এটা বলে দিতে চাই, আপনাদের (হিন্দু সম্প্রদায়) মাঝ থেকে এ বিষয়টা আসতে হবে। এটা শুধু একপে একপেষে হতে পারে না।
দেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বেগম জিয়া বলেন, আজ কোনো ধর্মের মানুষ শান্তিতে নেই। এমনকি কোনো ধর্মের মেয়েরা নিরাপদে নেই। কাউকে ছাড় দেয় না। আবার যদি কোনো হিন্দু ধরা পড়ে, তাকে আরো বেশি পিটিয়ে বলে, তুই বিএনপি করিস কেন। তোদের আওয়ামী লীগে থাকতে হবে, আওয়ামী লীগে ভোট দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কিছু করবি নাÑ এ রকম চিন্তা তাদের।
সেজন্য আপনাদের (হিন্দু সম্প্রদায়) চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। এলাকাভিত্তিক অনেক জায়গায় আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশি ভোট পাই বলে আমাদের প্রার্থীরা জিতে। গত উপজেলা নির্বাচনে বগুড়ায় বিএনপির মনোনীত হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হওয়ার কথাও বলেন খালেদা জিয়া।
দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব ধর্মের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আসুন দেশটাকে বাঁচানোর জন্য সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। শ্রীকৃষ্ণ অন্যায় দূর করতে নেমে এসেছিলেন, তাই আপনাদেরও অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত। সারা দেশে বন্যায় দুর্গতদের মধ্যে কোনো ত্রাণ সরকার বিতরণ করছে না বলে অভিযোগও করেন তিনি।
তৎকালীন গণতন্ত্রী পার্টির নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। তার প্রসঙ্গ টেনে খালেদা জিয়া বলেন, অনেক দিন আগের কথা বলছি, ১৯৯১-৯২ সালের কথা। গণতন্ত্রী পার্টির সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যিনি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জানেন, তাকে একটি আলোচনা সভায় দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। তিনি জিয়াউর রহমানকে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে দেখেছেন, তা বলেছেন। জিয়াউর রহমান সম্পর্কে ভালো ভালো কথা তিনি বললেন কেন। সে জন্য তার বাড়ি আক্রমণ করেনি? আগুন দেয়নি? আওয়ামী লীগ হচ্ছে এ রকম জিনিস।
No comments