ব্যক্তিগত বিরোধেই শাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন!
অধ্যাপক জাফর ইকবারের প্রতিবাদ -ফাইল ছবি |
ব্যক্তিগত
বিরোধের জের ধরেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি)
ভিসিবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন 'মহান
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ ফোরামের'
শিক্ষকরা। সোমবার দুপুরে শাবির একাডেমিক ভবন ‘সি’র দ্বিতীয় তলায় এক সংবাদ
সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের আনীত অভিযোগের কারণেই ভিসি অপসারণ আন্দোলন হতে পারে না। এ আন্দোলন মূলত ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকেই উৎপত্তি হয়েছে । গত ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ভিসিবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম বলেন, শাবির ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. জহির বিন আলমের সাথে স্পেস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের একজন শিক্ষক দুর্ব্যবহার করেন। পরে এ নিয়ে ভূগোল বিভাগ এবং অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল’র স্ত্রী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়াসমিন হকসহ ১৯ জন শিক্ষক ভিসির কাছে গেলে ভিসি পর্যাপ্ত সময় না দেয়ার অভিযোগ করেন তারা। এরপরই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক ফোরামের শিক্ষকরা মিটিং করে আন্দোলনের নামে ভিসির পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত সভায় আন্দোলনকারীদের প্রতি আলোচনার আহবান জানালেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আন্দোলনকারীরা নিজেদের সরকার দলীয় দাবি করছেন। তাহলে কোন শক্তি বলে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং শিক্ষক সমিতির নির্দেশ অমান্য করেন । গত ৩০ আগস্ট শিক্ষকদের উপর ছাত্রদের চড়াও হওয়ার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক দাবি করলেও পরে তারাই আবার ভিসি বিরোধী আন্দোলনে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের জড়ান। তিনি শিক্ষকদের আন্দোলন থেকে সরে এসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানান।
‘ভিসি হওয়ার জন্যে শাবিকে অস্থিতিশীল করবেন না’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার প্রতিবাদে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ভিসি অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূঁইয়ার অপসারণ দাবির নামে শাবিকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে অভিযোগ এনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে শাবির শিক্ষকবৃন্দ।
মানববন্ধন-পরবর্তী সমাবেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম, শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কবির হোসেন, ছাত্রকল্যাণ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার, প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক দিলারা রহমান, অধ্যাপক সামসুন নাহার, শাবির আবাসিক হলের প্রভোস্টরা, সহকারী প্রক্টরগণসহ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আখতারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক রাশেদ তালুকদারের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কবির হোসেন, পলিটিক্যাল স্টাটিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক দিলারা রহমান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আখতারুল ইসলাম বলেন, পেশীর শক্তি দিয়ে শাবিকে অবরোধ করে রেখেছেন কিছু শিক্ষক। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাস পর্যবেক্ষণ করবেন বলে চিঠি দিলেও তারা সেটা মানছেন না বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক কবির হোসেন বলেন, সামান্য স্পেস নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে ভিসি অপসারণের মতো আন্দোলন হতে পারে না। আমরা কিন্তু ভিসি হওয়ার জন্য এটা করতে পারি না। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা সরকারের নির্দেশ মানছেন না। এমনকি নিয়ম মানছেন না। শাবি এক দিনের জন্যও বন্ধ করবেন না। আপনারা যদি ভিসি হয়ে চেয়ারে বসতে চান, তাহলে আপনাদের সাহায্য করবো। তিনি বলেন, সামনে আমাদের ভর্তি পরীক্ষা। এটাকে পুঁজি করে শাবিকে অস্থিতিশীল করবেন না।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের আনীত অভিযোগের কারণেই ভিসি অপসারণ আন্দোলন হতে পারে না। এ আন্দোলন মূলত ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকেই উৎপত্তি হয়েছে । গত ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ভিসিবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম বলেন, শাবির ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. জহির বিন আলমের সাথে স্পেস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের একজন শিক্ষক দুর্ব্যবহার করেন। পরে এ নিয়ে ভূগোল বিভাগ এবং অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল’র স্ত্রী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়াসমিন হকসহ ১৯ জন শিক্ষক ভিসির কাছে গেলে ভিসি পর্যাপ্ত সময় না দেয়ার অভিযোগ করেন তারা। এরপরই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক ফোরামের শিক্ষকরা মিটিং করে আন্দোলনের নামে ভিসির পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত সভায় আন্দোলনকারীদের প্রতি আলোচনার আহবান জানালেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আন্দোলনকারীরা নিজেদের সরকার দলীয় দাবি করছেন। তাহলে কোন শক্তি বলে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং শিক্ষক সমিতির নির্দেশ অমান্য করেন । গত ৩০ আগস্ট শিক্ষকদের উপর ছাত্রদের চড়াও হওয়ার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক দাবি করলেও পরে তারাই আবার ভিসি বিরোধী আন্দোলনে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের জড়ান। তিনি শিক্ষকদের আন্দোলন থেকে সরে এসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানান।
‘ভিসি হওয়ার জন্যে শাবিকে অস্থিতিশীল করবেন না’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার প্রতিবাদে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ভিসি অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূঁইয়ার অপসারণ দাবির নামে শাবিকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে অভিযোগ এনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে শাবির শিক্ষকবৃন্দ।
মানববন্ধন-পরবর্তী সমাবেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম, শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কবির হোসেন, ছাত্রকল্যাণ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার, প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক দিলারা রহমান, অধ্যাপক সামসুন নাহার, শাবির আবাসিক হলের প্রভোস্টরা, সহকারী প্রক্টরগণসহ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আখতারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক রাশেদ তালুকদারের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কবির হোসেন, পলিটিক্যাল স্টাটিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক দিলারা রহমান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আখতারুল ইসলাম বলেন, পেশীর শক্তি দিয়ে শাবিকে অবরোধ করে রেখেছেন কিছু শিক্ষক। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাস পর্যবেক্ষণ করবেন বলে চিঠি দিলেও তারা সেটা মানছেন না বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক কবির হোসেন বলেন, সামান্য স্পেস নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে ভিসি অপসারণের মতো আন্দোলন হতে পারে না। আমরা কিন্তু ভিসি হওয়ার জন্য এটা করতে পারি না। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা সরকারের নির্দেশ মানছেন না। এমনকি নিয়ম মানছেন না। শাবি এক দিনের জন্যও বন্ধ করবেন না। আপনারা যদি ভিসি হয়ে চেয়ারে বসতে চান, তাহলে আপনাদের সাহায্য করবো। তিনি বলেন, সামনে আমাদের ভর্তি পরীক্ষা। এটাকে পুঁজি করে শাবিকে অস্থিতিশীল করবেন না।
No comments