‘হুদ হুদ’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত
ঘূর্ণিঝড় ‘হুদ হুদ’ উত্তরপশ্চিম দিকে
অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি অবস্থান করছে
পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিনে এ তথ্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি থেকে ১৪০ কিমি পর্যন্ত লক্ষ্য করা গেছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ১২ অক্টোবর নাগাদ ঝড়টি বিশাখাপত্তম ও গোপালপুরের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে। গত বছর অক্টোবর-নভেম্বরে পাইলিন, হেলেন ও লহর নামে তিনটি ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানে। এর আগে ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে উড়িষ্যায় তাণ্ডব চালিয়ে যায় একটি সুপার সাইক্লোন, যাতে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলে ‘হুদ হুদ’ নামটি প্রস্তাব করে ওমান। হুদহুদ আরবের একটি পাখি, যার মাধ্যমে নবী সুলাইমান (আ.) সেবার রানী বিলকিসকে পত্র পাঠাতেন।
No comments