এক ফোঁটা রক্তেই সব সমস্যার সমাধান
রক্ত পরীক্ষা করাতে সিরিঞ্জ-ভর্তি রক্ত দেয়ার দি শেষ। এবার মাত্র এক ফোঁটা রক্ত থেকেই মিলবে যাবতীয় জরুরি তথ্য। সৌজন্যে ৩০ বছরের মার্কিন ধনবতী এলিজাবেথ হোমস।
রক্ত দেখার অভিজ্ঞতা আর শরীরে দীর্ঘক্ষণ সূঁচ ফোটানোর ব্যথা এড়াতে অনেকের কাছেই রক্ত পরীক্ষা বিভীষিকার নামান্তর। সম্প্রতি রোগ নির্ণয়ের সাবেক পদ্ধতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছে মার্কিন সংস্থা থেরানোস। নয়া প্রক্রিয়ায় আঙুলের ডগায় সূচের আলতো খোঁচায় মেলা মাত্র এক ফোঁটা রক্ত পরীক্ষা করেই মিলবে রোগ সম্পর্কে জরুরি সমস্ত তথ্য। আর এই পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষা করাতে খরচও পড়বে অতি সামান্য।
এই ‘আবিষ্কারের’ সুবাদে ফোর্বস প্রকাশিত ৪০০ জন আমেরিকান কোটিপতির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন থেরানোস-এর কর্ণধার এলিজাবেথ হোমস। শুধু তাই নয়, বয়সের নিরিখে তালিকায় তিনিই কনিষ্ঠতম নারী।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে দেন এলিজাবেথ। আসলে তখন তাকে পেয়ে বসেছে এক নতুন স্বপ্ন। সনাতনী রক্ত পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় বদল ঘটাতে নিরলস গবেষণা শুরু করেন তিনি। উদ্দেশ্য, এমন এক রক্ত পরীক্ষা প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করা যার ফলে চিরাচরিত রীতির তুলনায় আরও বেশি দ্রুত, সফল, সস্তা ও সমস্যাহীন রোগ নির্ণয় সম্ভব।
হোমস লক্ষ্য করেছিলেন, ৬০-এর দশকে শুরু রক্ত পরীক্ষার আদত পদ্ধতিতে বড়সড় ফাঁক রয়ে গেছে। এই প্রক্রিয়ায় যেমন সময় বেশি দরকার, তেমনই ভুল হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল। এছাড়া শরীরে সূঁচ ফোটানোর ব্যাপারেও বহু মানুষের ভীতি কাজ করে।
শরীরের এক ফোঁটা রক্ত থেকে জরুরি তথ্য সংগ্রহের রীতি অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু অতীতে এক
ফোঁটা রক্ত থেকে নির্দিষ্ট পরীক্ষা করার পর অন্য পরীক্ষা করতে হলে ফের রক্ত সংগ্রহ করার প্রয়োজন হতো। হোমসের সংস্থা মাত্র এক ফোঁটা রক্ত থেকেই যাবতীয় পরীক্ষা সেরে ফেলতে সমর্থ হচ্ছে। তাছাড়া এর আগে কোনো রক্ত পরীক্ষায় এত দ্রুতও অব্যর্থ ফল প্রকাশ করার নজির নেই।
সাধারণত, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া রক্ত পরীক্ষা করতে রাজি হয় না বেশির ভাগ ল্যাবরেটরি। থেরানোস-এ প্রয়োজন মনে করলে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই রক্ত পরীক্ষা করা যায়। এর ফলে নিজের শরীরের সমস্যা সম্পর্কে অনেক বেশি ওয়াকিবহাল থাকা যায় বলে দাবিহোমসের।
শুরু থেকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাড়া ফেলে হোমসের আবিষ্কৃত প্রক্রিয়া। বর্তমানে আমেরিকাজুড়ে তার সংস্থা থেরানোস ওয়েলনেস সেন্টারের বহু শাখা ছড়িয়ে রয়েছে। সংস্থায় ৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে এক বছরে মোট ৯০ কোটি ডলার মুনাফা করেছেন এলিজাবেথ হোমস, যার ৫০ শতাংশের মালিকানা তার নিজের।
সূত্র : ওয়েবসাইট।
রক্ত দেখার অভিজ্ঞতা আর শরীরে দীর্ঘক্ষণ সূঁচ ফোটানোর ব্যথা এড়াতে অনেকের কাছেই রক্ত পরীক্ষা বিভীষিকার নামান্তর। সম্প্রতি রোগ নির্ণয়ের সাবেক পদ্ধতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছে মার্কিন সংস্থা থেরানোস। নয়া প্রক্রিয়ায় আঙুলের ডগায় সূচের আলতো খোঁচায় মেলা মাত্র এক ফোঁটা রক্ত পরীক্ষা করেই মিলবে রোগ সম্পর্কে জরুরি সমস্ত তথ্য। আর এই পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষা করাতে খরচও পড়বে অতি সামান্য।
এই ‘আবিষ্কারের’ সুবাদে ফোর্বস প্রকাশিত ৪০০ জন আমেরিকান কোটিপতির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন থেরানোস-এর কর্ণধার এলিজাবেথ হোমস। শুধু তাই নয়, বয়সের নিরিখে তালিকায় তিনিই কনিষ্ঠতম নারী।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে দেন এলিজাবেথ। আসলে তখন তাকে পেয়ে বসেছে এক নতুন স্বপ্ন। সনাতনী রক্ত পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় বদল ঘটাতে নিরলস গবেষণা শুরু করেন তিনি। উদ্দেশ্য, এমন এক রক্ত পরীক্ষা প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করা যার ফলে চিরাচরিত রীতির তুলনায় আরও বেশি দ্রুত, সফল, সস্তা ও সমস্যাহীন রোগ নির্ণয় সম্ভব।
হোমস লক্ষ্য করেছিলেন, ৬০-এর দশকে শুরু রক্ত পরীক্ষার আদত পদ্ধতিতে বড়সড় ফাঁক রয়ে গেছে। এই প্রক্রিয়ায় যেমন সময় বেশি দরকার, তেমনই ভুল হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল। এছাড়া শরীরে সূঁচ ফোটানোর ব্যাপারেও বহু মানুষের ভীতি কাজ করে।
শরীরের এক ফোঁটা রক্ত থেকে জরুরি তথ্য সংগ্রহের রীতি অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু অতীতে এক
ফোঁটা রক্ত থেকে নির্দিষ্ট পরীক্ষা করার পর অন্য পরীক্ষা করতে হলে ফের রক্ত সংগ্রহ করার প্রয়োজন হতো। হোমসের সংস্থা মাত্র এক ফোঁটা রক্ত থেকেই যাবতীয় পরীক্ষা সেরে ফেলতে সমর্থ হচ্ছে। তাছাড়া এর আগে কোনো রক্ত পরীক্ষায় এত দ্রুতও অব্যর্থ ফল প্রকাশ করার নজির নেই।
সাধারণত, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া রক্ত পরীক্ষা করতে রাজি হয় না বেশির ভাগ ল্যাবরেটরি। থেরানোস-এ প্রয়োজন মনে করলে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই রক্ত পরীক্ষা করা যায়। এর ফলে নিজের শরীরের সমস্যা সম্পর্কে অনেক বেশি ওয়াকিবহাল থাকা যায় বলে দাবিহোমসের।
শুরু থেকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাড়া ফেলে হোমসের আবিষ্কৃত প্রক্রিয়া। বর্তমানে আমেরিকাজুড়ে তার সংস্থা থেরানোস ওয়েলনেস সেন্টারের বহু শাখা ছড়িয়ে রয়েছে। সংস্থায় ৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে এক বছরে মোট ৯০ কোটি ডলার মুনাফা করেছেন এলিজাবেথ হোমস, যার ৫০ শতাংশের মালিকানা তার নিজের।
সূত্র : ওয়েবসাইট।
No comments