শান্তিতে নোবেল পেলেন মালালা ও কৈলাশ
এ বছর শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার
পেয়েছেন পাকিস্তানের নারী শিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই ও
ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থী।
আজ শুক্রবার বিবিসির অনলাইন, রয়টার্স ও এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, নরওয়ের নোবেল কমিটি আজ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। নাম ঘোষণা শেষে নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শিশু-কিশোর ও তরুণদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সব শিশুর জন্য শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ এ দুজনকে শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
নরওয়ের নোবেল কমিটির প্রধান থরবিয়ার্ন জাগল্যান বলেন, ‘একজন হিন্দু, অন্যজন মুসলমান; একদিকে একজন ভারতীয়, অন্যদিকে একজন পাকিস্তানি; একই লক্ষ্য নিয়ে, শিক্ষার অধিকারের দাবিতে এবং উগ্রবাদের বিরুদ্ধে তাঁরা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, যা নোবেল কমিটির কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।’
নারী ও শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে কাজ করার কারণে পাকিস্তানের তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠীর চক্ষুশূলে পরিণত হন মালালা। ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় তালেবানের এক জঙ্গি তাঁর মাথায় গুলি করে। তবে সৌভাগ্যক্রমে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে আসেন মালালা।
এর মধ্য দিয়ে সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার রেকর্ড গড়লো ১৭ বছর বয়সী মালালা। এর আগে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী লরেন্স ব্র্যাগ। ১৯১৫ সালে পদার্থবিজ্ঞানে বাবার সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি। সে সময় তাঁর বয়স ছিল ২৫ বৎসর।
অন্যদিকে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শের অনুসারী ভারতের কৈলাশ সত্যার্থী দীর্ঘদিন ধরে ‘বাচপান (শৈশব) বাঁচাও আন্দোলন’-নামে শিশু-অধিকার রক্ষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
জয়ী হওয়ায় পর এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের এই নোবেলজয়ী বলেন, এর মধ্য দিয়ে কোটি শিশুর কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত হয়েছে।
এদিকে, যখন পুরস্কার ঘোষণা করা হয় তখন মালালা যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম শহরের একটি স্কুলে ক্লাস করছিলেন বলে নোবেল কমিটির এক নারী মুখপাত্র জানান। আজ বিকেলে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে মালালা নিজের প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে ওই নারী মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এ বছর নোবেলে শান্তি পুরস্কারের জন্য ২৭৮ জন মনোনীত হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পোপ ফ্রান্সিস, অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনও।
No comments