প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য কেন? by এম. এ. রহমান
আমরা স্বাস্থ্য সহকারী (বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে মাঠপর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী) ১৯৮৫ সাল থেকে নিয়মিত টিকাদানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মডেল রূপে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। গউএ নির্ধারণের পর থেকে স্বাস্থ্য খাতের মাঠপর্যায়ে ব্যাপক কাজ করে চলেছি। যেমন :
১০টি রোগের প্রতিরোধমূলক টিকার মাধ্যমে আমরা প্রতিষেধক ব্যবস্থায় শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি করেছি। ১৫ থেকে ৪৫ বছরের মহিলাদের টিটি টিকার মাধ্যমে মহিলাদের ধনুষ্টঙ্কার অনেকাংশে কমিয়েছি। জাতীয় টিকা দিবসের কার্যক্রমে একসাথে একদিনে ৬৫ লাখ শিশুকে পোলিও খাওয়ানোর সফলতা অর্জন করেছি। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কমিউনিটি কিনিকের কার্যক্রম করে যাচ্ছি। আর্সেনিক প্রোগ্রামের কাজ করে যাচ্ছি। স্কুলভিত্তিক কৃমিনাশক কার্যক্রমের মাধ্যমে স্কুলগামী ও স্কুল বহির্ভূত শিক্ষার্থীদের কৃমিমুক্ত রাখতে সচেষ্ট হয়েছি। হাম ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে চার কোটি ছেলেমেয়েকে টিকার আওতায় এনেছি। যক্ষ্মা, AFP, FEF রোগী অনুসন্ধান এবং UHC রেফার করে যাচ্ছি। স্কুলভিত্তিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে জনসাধারণকে স্বাস্থ্য সচেতন করে যাচ্ছি। ডায়রিয়ার রোগীকে সেবাদানসহ শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন বিশেষ কার্যক্রম পালন করে যাচ্ছি। মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিমের আওতাভুক্ত দরিদ্র গর্ভবতী মহিলাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া এজ-এর মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠপর্যায়ে আমরা (স্বাস্থ্য সহকারী) আরো কমপক্ষে ২০টি আলাদা কাজে সম্পৃক্ত থেকে দেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নতিতে অবদান রেখে চলেছি।
আপনি নিশ্চয় জেনে থাকবেন স্বাস্থ্য খাতের শুধু মাঠপর্যায়ের কাজের অর্জন হিসেবেই আমরা পেয়েছি MDG-4, South South Award, Gavi Alliance পুরস্কার এবং ৩১-০৩-২০১৪ ইং সর্বশেষ গর্ব করার মতো অর্জন পোলিওমুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণা। প্রত্যেকটি অর্জনই এসেছে মাতৃমৃত্যুহার, শিশুমৃত্যুহার কমানোর মাধ্যমে। এত অর্জন সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বিশ্বের যেকোনো দেশের স্বাস্থ্য সহকারীদের তুলনায় খুবই নগণ্য। বহির্বিশ্বে যেখানে স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেয়া হয়েছে সেখানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতনভাতা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের চেয়েও খুবই অপ্রতুল। চলতি দশকে আমরা MDG-5 সহ HPNSSP সর্বক্ষেত্রে চরম সাফল্য আনতে পারতাম, কিন্তু সবচেয়ে বড় বাধাটি সরকার সৃষ্টি করেছে কমিউনিটি কিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এটি একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা এবং এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক অপলিপ্সা বিস্তৃতি করতে চাচ্ছে। এ জন্য আওয়ামীপন্থীদের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার পদে নিয়োগসহ সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদফতর কমিউনিটি কিনিকের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছে। প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসার যন্ত্রাংশ শুধু কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের প্রদান করা হচ্ছে। কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ তৈরি করে তাদের অপ্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকার অজস্র টাকা নষ্ট করছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের প্রতি সরকারের অন্ধ ভালোবাসার কারণে এবং কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের উগ্র ব্যবহারে মাঠপর্যায়ে সঙ্কটপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। রোগীদের কিনিকের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না, জানালা দিয়ে ভিক্ষুকের মতো দু-চারটি ওষুধ দেয়া হয় সেটাও টাকার বিনিময়ে। জবাবদিহিতা না থাকায় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডাররা প্রত্যেক সেবার নামে যত্রতত্র টাকা নিচ্ছে জনসাধারণের কাছ থেকে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এক অজানা কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে। আর গ্রামের অতি সাধারণ মানুষের এই যত্রতত্র ওষুধ সেবনের ফলে সুদূর প্রভাব যে মারাত্মক তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
স্বাস্থ্য সহকারী ও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার সমযোগ্যতা নিয়ে একই দফতরের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও তৈরি করা হয়েছে এক বিশাল বেতন বৈষম্য। শুধু কমিউনিটি কিনিকে কাজ করা সত্ত্বেও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের সাইকেল দেয়া হয়েছে অথচ বঞ্চিত করা হয়েছে স্বাস্থ্য সহকারীদের যারা পুরো ওয়ার্ডে কাজ করে থাকেন। প্রায় ৩০ বছর ধরে EPI কার্যক্রমের অনেক অর্জন থাকলেও, কেন্দ্রগুলোতে নেই কোনো বসার ব্যবস্থা। ঘরের বারান্দায়, রাস্তার ধারে এমনকি গাছের নিচে বসেও EPI কার্যক্রম করতে হচ্ছে স্বাস্থ্য সহকারীদের। ২০১২ সালে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে যোগদান করে দুই বছর হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত মৌলিক প্রশিক্ষণটুকুও পায়নি। অধিদফতর কমিউনিটি কিনিকের অবান্তর প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
এহেন অবস্থায় জাতির বিবেক হিসেবে সুশীলসমাজের কাছে প্রশ্ন, একই দফতরের অধীন সমযোগ্যতা নিয়ে যোগদান করেও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে বেতন ও সুবিধা বৈষম্যের রাজনীতি কেন? গ্রামের ভুক্তভোগী জনগণ কমিউনিটি কিনিকের আদৌ প্রয়োজন নেই মনে করলেও সচেতন নাগরিকসমাজ মনে করে কমিউনিটি কিনিকের যথার্থ সেবা পেতে হলে এটি NGO কে দিয়ে দেয়া উচিত; অন্যথায় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের গা ছাড়াভাব আর তাদের প্রতি রাজনৈতিক শুভদৃষ্টির কারণে প্রান্তিক জনগণ কখনো প্রত্যাশিত সেবা পাবে না। অথচ সরকার জোরপূর্বক প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই রাজস্বে স্থানান্তরের জন্য অনৈতিকভাবে অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি স্বাস্থ্য সহকারী ও কমিউনটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের বেতন সমন্বয় করে স্কেল নির্ধারণ করতে হবে; অন্যথায় রুটিন EPI বন্ধসহ প্রয়োজনে গণপদত্যাগ করার মতো কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো।
এম. এ. রহমান
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে
১০টি রোগের প্রতিরোধমূলক টিকার মাধ্যমে আমরা প্রতিষেধক ব্যবস্থায় শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি করেছি। ১৫ থেকে ৪৫ বছরের মহিলাদের টিটি টিকার মাধ্যমে মহিলাদের ধনুষ্টঙ্কার অনেকাংশে কমিয়েছি। জাতীয় টিকা দিবসের কার্যক্রমে একসাথে একদিনে ৬৫ লাখ শিশুকে পোলিও খাওয়ানোর সফলতা অর্জন করেছি। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কমিউনিটি কিনিকের কার্যক্রম করে যাচ্ছি। আর্সেনিক প্রোগ্রামের কাজ করে যাচ্ছি। স্কুলভিত্তিক কৃমিনাশক কার্যক্রমের মাধ্যমে স্কুলগামী ও স্কুল বহির্ভূত শিক্ষার্থীদের কৃমিমুক্ত রাখতে সচেষ্ট হয়েছি। হাম ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে চার কোটি ছেলেমেয়েকে টিকার আওতায় এনেছি। যক্ষ্মা, AFP, FEF রোগী অনুসন্ধান এবং UHC রেফার করে যাচ্ছি। স্কুলভিত্তিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে জনসাধারণকে স্বাস্থ্য সচেতন করে যাচ্ছি। ডায়রিয়ার রোগীকে সেবাদানসহ শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন বিশেষ কার্যক্রম পালন করে যাচ্ছি। মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিমের আওতাভুক্ত দরিদ্র গর্ভবতী মহিলাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া এজ-এর মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠপর্যায়ে আমরা (স্বাস্থ্য সহকারী) আরো কমপক্ষে ২০টি আলাদা কাজে সম্পৃক্ত থেকে দেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নতিতে অবদান রেখে চলেছি।
আপনি নিশ্চয় জেনে থাকবেন স্বাস্থ্য খাতের শুধু মাঠপর্যায়ের কাজের অর্জন হিসেবেই আমরা পেয়েছি MDG-4, South South Award, Gavi Alliance পুরস্কার এবং ৩১-০৩-২০১৪ ইং সর্বশেষ গর্ব করার মতো অর্জন পোলিওমুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণা। প্রত্যেকটি অর্জনই এসেছে মাতৃমৃত্যুহার, শিশুমৃত্যুহার কমানোর মাধ্যমে। এত অর্জন সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বিশ্বের যেকোনো দেশের স্বাস্থ্য সহকারীদের তুলনায় খুবই নগণ্য। বহির্বিশ্বে যেখানে স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেয়া হয়েছে সেখানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতনভাতা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের চেয়েও খুবই অপ্রতুল। চলতি দশকে আমরা MDG-5 সহ HPNSSP সর্বক্ষেত্রে চরম সাফল্য আনতে পারতাম, কিন্তু সবচেয়ে বড় বাধাটি সরকার সৃষ্টি করেছে কমিউনিটি কিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এটি একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা এবং এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক অপলিপ্সা বিস্তৃতি করতে চাচ্ছে। এ জন্য আওয়ামীপন্থীদের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার পদে নিয়োগসহ সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদফতর কমিউনিটি কিনিকের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছে। প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসার যন্ত্রাংশ শুধু কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের প্রদান করা হচ্ছে। কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ তৈরি করে তাদের অপ্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকার অজস্র টাকা নষ্ট করছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের প্রতি সরকারের অন্ধ ভালোবাসার কারণে এবং কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের উগ্র ব্যবহারে মাঠপর্যায়ে সঙ্কটপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। রোগীদের কিনিকের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না, জানালা দিয়ে ভিক্ষুকের মতো দু-চারটি ওষুধ দেয়া হয় সেটাও টাকার বিনিময়ে। জবাবদিহিতা না থাকায় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডাররা প্রত্যেক সেবার নামে যত্রতত্র টাকা নিচ্ছে জনসাধারণের কাছ থেকে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এক অজানা কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে। আর গ্রামের অতি সাধারণ মানুষের এই যত্রতত্র ওষুধ সেবনের ফলে সুদূর প্রভাব যে মারাত্মক তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
স্বাস্থ্য সহকারী ও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার সমযোগ্যতা নিয়ে একই দফতরের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও তৈরি করা হয়েছে এক বিশাল বেতন বৈষম্য। শুধু কমিউনিটি কিনিকে কাজ করা সত্ত্বেও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের সাইকেল দেয়া হয়েছে অথচ বঞ্চিত করা হয়েছে স্বাস্থ্য সহকারীদের যারা পুরো ওয়ার্ডে কাজ করে থাকেন। প্রায় ৩০ বছর ধরে EPI কার্যক্রমের অনেক অর্জন থাকলেও, কেন্দ্রগুলোতে নেই কোনো বসার ব্যবস্থা। ঘরের বারান্দায়, রাস্তার ধারে এমনকি গাছের নিচে বসেও EPI কার্যক্রম করতে হচ্ছে স্বাস্থ্য সহকারীদের। ২০১২ সালে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে যোগদান করে দুই বছর হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত মৌলিক প্রশিক্ষণটুকুও পায়নি। অধিদফতর কমিউনিটি কিনিকের অবান্তর প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
এহেন অবস্থায় জাতির বিবেক হিসেবে সুশীলসমাজের কাছে প্রশ্ন, একই দফতরের অধীন সমযোগ্যতা নিয়ে যোগদান করেও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে বেতন ও সুবিধা বৈষম্যের রাজনীতি কেন? গ্রামের ভুক্তভোগী জনগণ কমিউনিটি কিনিকের আদৌ প্রয়োজন নেই মনে করলেও সচেতন নাগরিকসমাজ মনে করে কমিউনিটি কিনিকের যথার্থ সেবা পেতে হলে এটি NGO কে দিয়ে দেয়া উচিত; অন্যথায় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের গা ছাড়াভাব আর তাদের প্রতি রাজনৈতিক শুভদৃষ্টির কারণে প্রান্তিক জনগণ কখনো প্রত্যাশিত সেবা পাবে না। অথচ সরকার জোরপূর্বক প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই রাজস্বে স্থানান্তরের জন্য অনৈতিকভাবে অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি স্বাস্থ্য সহকারী ও কমিউনটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের বেতন সমন্বয় করে স্কেল নির্ধারণ করতে হবে; অন্যথায় রুটিন EPI বন্ধসহ প্রয়োজনে গণপদত্যাগ করার মতো কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো।
এম. এ. রহমান
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে
No comments