মাদক সেবন আত্মঘাতী by কামাল আহমাদ
‘মাদক’ নেশা এমন এক নেশা, যা মানুষকে অতিদ্রুত মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। ‘মাদক’ সেবন আর আত্মঘাতী একই কথা। ‘মাদক’ মূলত নির্দিষ্ট কোনো কিছুর নাম নয়; যে বস্তু খেলে বা পান করলে মানুষের মস্তিষ্ক আগের মতো স্বাভাবিক থাকে না, চেতনা শক্তি হারিয়ে যায়, বিবেক-বুদ্ধি নষ্ট হয় Ñ এমন সব বস্তুকেই ‘মাদক’ বলে। রাসূল সা: বলেছেন, ‘প্রত্যেক ওই বস্তু যা বিবেকের তি করে সেসবই মাদক। আর সব ধরনের মাদকই হারাম’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৯০)। অন্যত্র রাসূল সা: বলেছেন,‘যে বস্তু বেশি ভণ করলে বিবেকের তি হয়, কম হলেও তা হারাম’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৯৩)। তিনি আরো বলেন,‘আমার কিছু উম্মত মদ পান করবে তার নাম রাখবে ভিন্ন’ অর্থাৎ তাকে ‘মদ’ না বলে অন্য নাম বলবে (ইবনু মাজাহ হা/৪০২০)। সুতরাং হাদিস থেকে স্পষ্ট, বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুল, ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা ইত্যাদি সবই নেশাদ্রব্য, সবই মাদক। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায়, এই মাদকের সাথে জড়িত বেশির ভাগ মানুষ। শিশু-কিশোর, ছাত্র-ছাত্রী, শিতি-অশিতি প্রায় লোকেই অন্য কোনো নেশায় জড়িত না হলেও সিগারেটের সাথে জড়িত। শিতি লোকেরাও বর্তমানে ধূমপান করে। তারা কিন্তু জানে ‘ধূমপানে মৃত্যু ঘটায়’ তবু তারা ধূমপান করে।
একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে গড়ে প্রতি দিন সাত কোটি ৯৮ লাখ টাকার ধূমপান করা হয়। যে টাকা দিয়ে ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫৩ লাখ শিশুকে দৈনিক একটি করে ডিম ও এক গ্লাস দুধ খেতে দেয়া সম্ভব। অথচ এ টাকা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে দরিদ্র দেশের মানুষ। আরেকটি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সিগারেটের তামাক শুকাতে নাকি বছরে তি হয় ১৭ হাজার কোটি টাকা। আবার প্যাকেটের গায়ে লেখা হচ্ছে ‘ধূমপানে মৃত্যু ঘটায়’ এ কেমন শিা? নয়া দিগন্ত পত্রিকা রিপোর্ট করেছে Ñ ‘প্রতিমাসে বাংলাদেশে ইয়াবা ট্যাবলেট আসছে শত কোটি টাকার।’ কারা সেবন করছে এসব মাদক? নিশ্চয় বাংলার মানুষ। কে এই মরণ নেশার আমদানিকারক? নিশ্চয় বাংলার মানুষ। সুতরাং আমাদের সন্তান নষ্ট হবে না তো কাদের সন্তান নষ্ট হবে? রিপোর্টে আরো বলা হয় Ñ ‘এক সপ্তাহে র্যাব সদস্য ৩৬ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে’ (২৭/৮/১৩)। জানি না কত ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে আছে।
আমারা কি আমাদের দেশটাকে মাদকের দিকে ঠেলে দিচ্ছি? নষ্ট করে দিচ্ছি কি আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ? কেন আজ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের হাতে এই মরণ নেশা? তারাই কি এর জন্য দায়ী? মানবজীবনের একটি সময় রয়েছে যাকে বলে বয়ঃসন্ধিকাল। এই সময় ছেলেমেয়েরা যখন নবযৌবনে পা রাখে, তখন তারা নতুন এক জগতে প্রবেশ করে। মন সব সময় নতুন কিছু পেতে চায়। শরীরের গঠন আকৃতির পরিবর্তন হয়। কণ্ঠসুরের পরিবর্তন ঘটে। শরীরে দেখা দেয় নতুন এক উজ্জ্বলতা। ছেলেমেয়ে তখন একে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তারা যেন তখন অন্য জগতের মানুষ। এই সময় রাষ্ট্র্র, সমাজ ও প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত তাদের আদরের
সন্তানকে সুশিায় শিতি করা, অন্য শিার পাশাপাশি দ্বীনি শিার প্রতি গুরুত্বারোপ করা। ‘মাদক’ যে হারাম বা মাদক ভণে যে নেশা হয় এ কথা পৃথিবীর প্রায় মানুষই জানে, তবু মানুষ মাদকের সাথে সম্পৃক্ত। এই মাদককে মানুষ কখনো কখনো বাবা-মা, সন্তানাদির চেয়েও বেশি আপন মনে করে। মাদক সেবনের পর সে ভুলে যায় কে তার বাবা, কে তার মা। সেই তখন নেশাগ্রস্ত হয়ে কাউকে খুন করতেও দ্বিধা করে না। যার স্পষ্ট প্রমাণ বাবা-মাকে হত্যাকারিণী ঢাকা চামেলীবাগের ‘ঐশী রহমান’। এ খুনের জন্য দায়ী কে? কেন সে খুন করলো? সে কি সুস্থ মস্তিষ্কে খুন করেছে? নাকি নেশাগ্রস্ত মস্তিষ্কে খুন করেছে?
ইসলামের দৃষ্টিতে মাদক : আনাস রা: বলেন, রাসূল সা: ১০ ব্যক্তির প্রতি অভিশাপ করেছেনÑ * যে ব্যক্তি মদের নির্যাস বের করে তার প্রতি * মাদক প্রস্তুতকারকের প্রতি * মাদক সেবনকারীর প্রতি * যে ব্যক্তি অন্যকে মদ পান করায় তার প্রতি * যে ব্যক্তি মাদক আমদানি করে তার প্রতি * যার জন্য আমদানি করা হয় তার প্রতি * যে ব্যক্তি মাদক বিক্রি করে তার প্রতি * যে ব্যক্তি মাদক ক্রয় করে তার প্রতি * যে ব্যক্তি মাদক সরবরাহ করে তার প্রতি * যে ব্যক্তি মাদকের লভ্যাংশ ভোগ করে কার প্রতি (তিরমিজি, মিশকাত হা/২৭৭৬ সনদ ছহি)।
অন্যত্র রাসূল সা: বলেছেন, ‘সর্বদা নেশাদার দ্রব্য সেবন করা মূর্তিপূজার মতো অপরাধ’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭৫)। ‘সর্বদা নেশাদার দ্রব্য সেবনকারী জান্নাতে যাবে না’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭৬)। ‘যে ব্যক্তি নেশাদার দ্রব্য সেবন করে ৪০ দিন তার সালাত কবুল হবে না, যদি এ অবস্থায় মারা যায় তাহলে সে জাহান্নামে যাবে’ (ইবনু মাজাহ হা/২৭৩৮)। ‘অন্যায় ও অশ্লীল কর্মের মূল হচ্ছে মাদক সেবন করা’ (নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, হা/৩৩৭১)।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, পূজার আস্তানা ও ভাগ্য নির্ধারক শরসমূহ ঘৃণিত শয়তানের কাজ, অতএব তোমরা তা বর্জন করো; যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মাঝে শত্র“তা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে এবং তোমাদের আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে, কাজেই তোমরা কি (এ কাজ থেকে) বিরত থাকবে? তোমরা (সর্ব বিষয়ে) আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসূল সা:-এর আনুগত্য করো আর (মদ ও জুয়ার ধ্বংসকারিতা থেকে) সতর্ক থাকো, আর যদি তোমরা (রাসূলের আনুগত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে জেনে রেখো, আমার রাসূলের দায়িত্ব হচ্ছে সুস্পষ্টভাবে (আমার আদেশগুলো) পৌঁছে দেয়া’ (সূরা মায়িদা: ৯০-৯২)। ওই আয়াত থেকে বুঝা যায়, যারা মাদক সেবন করে তারা মূলত শয়তানেরই অনুসরণ করে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বহু আয়াতে বলেছেন, ‘তোমরা শয়তানের অনুসরণ করো না, নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্র“’ (সূরা বাকারা : ২০৮)। আল্লাহ তায়ালা জিন শয়তানের পাশাপাশি মানুষ শয়তান থেকেও দূরে থাকতে বলেছেন। মানুষ শয়তানই মানুষের জন্য প্রকাশ্য শত্র“। যারা মানুষকে হত্যা করে, যারা এই ভয়ঙ্কর মাদকদ্রব্যকে আশ্রয় দেয়, যারা এই মাদক নেশাকে আমদানি করে অতঃপর বাংলার নব যুবক-যুবতী, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের হাতে মাদক তুলে দিয়ে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎকে নষ্ট করে, ধ্বংস করে তারা কখনো সুস্থ মনের মানুষ নয়। তারা মানবরূপী শয়তান। তারাই মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।
লেখক : প্রবন্ধকার
একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে গড়ে প্রতি দিন সাত কোটি ৯৮ লাখ টাকার ধূমপান করা হয়। যে টাকা দিয়ে ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫৩ লাখ শিশুকে দৈনিক একটি করে ডিম ও এক গ্লাস দুধ খেতে দেয়া সম্ভব। অথচ এ টাকা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে দরিদ্র দেশের মানুষ। আরেকটি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সিগারেটের তামাক শুকাতে নাকি বছরে তি হয় ১৭ হাজার কোটি টাকা। আবার প্যাকেটের গায়ে লেখা হচ্ছে ‘ধূমপানে মৃত্যু ঘটায়’ এ কেমন শিা? নয়া দিগন্ত পত্রিকা রিপোর্ট করেছে Ñ ‘প্রতিমাসে বাংলাদেশে ইয়াবা ট্যাবলেট আসছে শত কোটি টাকার।’ কারা সেবন করছে এসব মাদক? নিশ্চয় বাংলার মানুষ। কে এই মরণ নেশার আমদানিকারক? নিশ্চয় বাংলার মানুষ। সুতরাং আমাদের সন্তান নষ্ট হবে না তো কাদের সন্তান নষ্ট হবে? রিপোর্টে আরো বলা হয় Ñ ‘এক সপ্তাহে র্যাব সদস্য ৩৬ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে’ (২৭/৮/১৩)। জানি না কত ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে আছে।
আমারা কি আমাদের দেশটাকে মাদকের দিকে ঠেলে দিচ্ছি? নষ্ট করে দিচ্ছি কি আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ? কেন আজ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের হাতে এই মরণ নেশা? তারাই কি এর জন্য দায়ী? মানবজীবনের একটি সময় রয়েছে যাকে বলে বয়ঃসন্ধিকাল। এই সময় ছেলেমেয়েরা যখন নবযৌবনে পা রাখে, তখন তারা নতুন এক জগতে প্রবেশ করে। মন সব সময় নতুন কিছু পেতে চায়। শরীরের গঠন আকৃতির পরিবর্তন হয়। কণ্ঠসুরের পরিবর্তন ঘটে। শরীরে দেখা দেয় নতুন এক উজ্জ্বলতা। ছেলেমেয়ে তখন একে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তারা যেন তখন অন্য জগতের মানুষ। এই সময় রাষ্ট্র্র, সমাজ ও প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত তাদের আদরের
সন্তানকে সুশিায় শিতি করা, অন্য শিার পাশাপাশি দ্বীনি শিার প্রতি গুরুত্বারোপ করা। ‘মাদক’ যে হারাম বা মাদক ভণে যে নেশা হয় এ কথা পৃথিবীর প্রায় মানুষই জানে, তবু মানুষ মাদকের সাথে সম্পৃক্ত। এই মাদককে মানুষ কখনো কখনো বাবা-মা, সন্তানাদির চেয়েও বেশি আপন মনে করে। মাদক সেবনের পর সে ভুলে যায় কে তার বাবা, কে তার মা। সেই তখন নেশাগ্রস্ত হয়ে কাউকে খুন করতেও দ্বিধা করে না। যার স্পষ্ট প্রমাণ বাবা-মাকে হত্যাকারিণী ঢাকা চামেলীবাগের ‘ঐশী রহমান’। এ খুনের জন্য দায়ী কে? কেন সে খুন করলো? সে কি সুস্থ মস্তিষ্কে খুন করেছে? নাকি নেশাগ্রস্ত মস্তিষ্কে খুন করেছে?
ইসলামের দৃষ্টিতে মাদক : আনাস রা: বলেন, রাসূল সা: ১০ ব্যক্তির প্রতি অভিশাপ করেছেনÑ * যে ব্যক্তি মদের নির্যাস বের করে তার প্রতি * মাদক প্রস্তুতকারকের প্রতি * মাদক সেবনকারীর প্রতি * যে ব্যক্তি অন্যকে মদ পান করায় তার প্রতি * যে ব্যক্তি মাদক আমদানি করে তার প্রতি * যার জন্য আমদানি করা হয় তার প্রতি * যে ব্যক্তি মাদক বিক্রি করে তার প্রতি * যে ব্যক্তি মাদক ক্রয় করে তার প্রতি * যে ব্যক্তি মাদক সরবরাহ করে তার প্রতি * যে ব্যক্তি মাদকের লভ্যাংশ ভোগ করে কার প্রতি (তিরমিজি, মিশকাত হা/২৭৭৬ সনদ ছহি)।
অন্যত্র রাসূল সা: বলেছেন, ‘সর্বদা নেশাদার দ্রব্য সেবন করা মূর্তিপূজার মতো অপরাধ’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭৫)। ‘সর্বদা নেশাদার দ্রব্য সেবনকারী জান্নাতে যাবে না’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭৬)। ‘যে ব্যক্তি নেশাদার দ্রব্য সেবন করে ৪০ দিন তার সালাত কবুল হবে না, যদি এ অবস্থায় মারা যায় তাহলে সে জাহান্নামে যাবে’ (ইবনু মাজাহ হা/২৭৩৮)। ‘অন্যায় ও অশ্লীল কর্মের মূল হচ্ছে মাদক সেবন করা’ (নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, হা/৩৩৭১)।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, পূজার আস্তানা ও ভাগ্য নির্ধারক শরসমূহ ঘৃণিত শয়তানের কাজ, অতএব তোমরা তা বর্জন করো; যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মাঝে শত্র“তা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে এবং তোমাদের আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে, কাজেই তোমরা কি (এ কাজ থেকে) বিরত থাকবে? তোমরা (সর্ব বিষয়ে) আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসূল সা:-এর আনুগত্য করো আর (মদ ও জুয়ার ধ্বংসকারিতা থেকে) সতর্ক থাকো, আর যদি তোমরা (রাসূলের আনুগত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে জেনে রেখো, আমার রাসূলের দায়িত্ব হচ্ছে সুস্পষ্টভাবে (আমার আদেশগুলো) পৌঁছে দেয়া’ (সূরা মায়িদা: ৯০-৯২)। ওই আয়াত থেকে বুঝা যায়, যারা মাদক সেবন করে তারা মূলত শয়তানেরই অনুসরণ করে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বহু আয়াতে বলেছেন, ‘তোমরা শয়তানের অনুসরণ করো না, নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্র“’ (সূরা বাকারা : ২০৮)। আল্লাহ তায়ালা জিন শয়তানের পাশাপাশি মানুষ শয়তান থেকেও দূরে থাকতে বলেছেন। মানুষ শয়তানই মানুষের জন্য প্রকাশ্য শত্র“। যারা মানুষকে হত্যা করে, যারা এই ভয়ঙ্কর মাদকদ্রব্যকে আশ্রয় দেয়, যারা এই মাদক নেশাকে আমদানি করে অতঃপর বাংলার নব যুবক-যুবতী, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের হাতে মাদক তুলে দিয়ে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎকে নষ্ট করে, ধ্বংস করে তারা কখনো সুস্থ মনের মানুষ নয়। তারা মানবরূপী শয়তান। তারাই মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।
লেখক : প্রবন্ধকার
No comments