২০২৪ সালে নভোমণ্ডলে আর জলের অতলে!
আগামী এক দশকেই নাকি পর্যটনশিল্প
মানবজাতিকে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ে নিয়ে যাবে। পর্যটন ভবিষ্যতে ডানা মেলে
দেবে দূর নভোমণ্ডলে আর ডুব দেবে মহাসাগরের অতল জলের তলে। পৃথিবীর
পর্যটনশিল্পের ভবিষ্যৎ গতি-প্রকৃতি নিয়ে গবেষণার পর এমনটাই জানিয়েছেন
কয়েকজন ভবিষ্যৎ-তত্ত্ববিদ ও পর্যটনশিল্প বিশেষজ্ঞ। বার্তা সংস্থা এএফপির
বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস এ কথা জানিয়েছে।
সাহসী পর্যটকদের যাঁরা ইতিমধ্যেই অ্যান্টার্কটিকার মেরু অঞ্চলে গিয়ে শীল মাছেদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন কিংবা পাপুয়া নিউগিনির দুর্গম বনাঞ্চলের আদিবাসীদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করে এসেছেন, তাঁরা আগামী দিনে কোথায় যাবেন! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতল জলের আহ্বানে মহাসাগরের তলায় ডুব দিতে পারেন তাঁরা। কিংবা সত্যি সত্যিই উড়ে যেতে পারেন মহাশূন্যে! যদিও এমন দুঃসাহসী যাত্রায় বিত্ত আর সক্ষমতার প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দেবে। কিন্তু এটা ঠিক যে, আগামী এক দশকেই পর্যটনশিল্পের এই দুই নতুন গন্তব্যে নিয়মিত ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। ‘স্কাইস্ক্যানার রিপোর্ট ২০১৪’-তে এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহাশূন্যে যাত্রা
কয়েক বছর ধরেই বেসরকারি কোম্পানিগুলো পর্যটকদের নিয়ে মহাশূন্যে নিয়মিত নভোযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে এই প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল প্রতিযোগিতাও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু ২০১৪ সালের মধ্যেই হয়তো ভার্জিন গ্যালাকটিক এবং ওয়ার্ল্ড ভিউ এন্টারপ্রাইজের মতো প্রকল্পগুলো আলোর মুখ দেখতে শুরু করবে। অন্ততপক্ষে পৃথিবীর কক্ষপথে নিয়মিত পর্যটক পরিবহনের সুযোগ পেয়ে যাবে তারা। স্কাইস্ক্যানারের প্রতিবেদনের অন্যতম ভাষ্যকার ভবিষ্যৎ-তত্ত্ববিদ ড্যানিয়েল বুররুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘১০ বছরের সীমারেখার মধ্যেই আমরা এমন মহাকাশযাত্রার বুকিং শুরু করতে পারব, যেখানে মহাকাশের উত্তেজনাময় পরিবেশে সময় কাটিয়ে হাসি-আনন্দে ফিরে আসতে পারব আমরা।’
সাগরতলে ভ্রমণ
জলের তলে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু সাগরতলে ভ্রমণ নিয়ে আগামী ১০ বছরেই পর্যটনশিল্পের পুরোদস্তুর বাজার দাঁড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে স্কাইস্ক্যানার প্রতিবেদনে। উদাহরণ হিসেবে পোল্যান্ডের কোম্পানি ডিপ ওয়াটার টেকনোলজির কথা বলা যেতে পারে। এরা মহাকাশযানের মতো দেখতে গোলাকৃতির আংশিক জলে ডোবা হোটেল বানিয়েছেন। যেখানে গিয়ে সাগরতলের পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন অতিথিরা। দুবাই এবং মালদ্বীপে ভ্রমণের জন্য বিশেষভাবে বানানো এই ওয়াটার ডিসকাস হোটেলের তলার দিকে একটা আন্ডারওয়াটার ডেক থাকবে। প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতার এই ডেকে বসে অ্যাকুরিয়ামে বসে থাকার মতো করে সাগরের তলদেশ দেখা যাবে।
পর্যটনশিল্পের এই দুই ভবিষ্যৎ গন্তব্যের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে অবশ্য স্কাইস্ক্যানারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারেথ উইলিয়ামস বলেছেন, তিনি বাজি ধরতে পারেন, মানুষ আগে সাগরের তলাতেই বেশি যাবে। কেননা, মহাকাশযাত্রার বিপুল খরচের কারণেই জলের তলের চেয়ে নভোমণ্ডলে মানুষের পদচারণ তুলনামূলকভাবে কম হবে।
সাহসী পর্যটকদের যাঁরা ইতিমধ্যেই অ্যান্টার্কটিকার মেরু অঞ্চলে গিয়ে শীল মাছেদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন কিংবা পাপুয়া নিউগিনির দুর্গম বনাঞ্চলের আদিবাসীদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করে এসেছেন, তাঁরা আগামী দিনে কোথায় যাবেন! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতল জলের আহ্বানে মহাসাগরের তলায় ডুব দিতে পারেন তাঁরা। কিংবা সত্যি সত্যিই উড়ে যেতে পারেন মহাশূন্যে! যদিও এমন দুঃসাহসী যাত্রায় বিত্ত আর সক্ষমতার প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দেবে। কিন্তু এটা ঠিক যে, আগামী এক দশকেই পর্যটনশিল্পের এই দুই নতুন গন্তব্যে নিয়মিত ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। ‘স্কাইস্ক্যানার রিপোর্ট ২০১৪’-তে এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহাশূন্যে যাত্রা
কয়েক বছর ধরেই বেসরকারি কোম্পানিগুলো পর্যটকদের নিয়ে মহাশূন্যে নিয়মিত নভোযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে এই প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল প্রতিযোগিতাও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু ২০১৪ সালের মধ্যেই হয়তো ভার্জিন গ্যালাকটিক এবং ওয়ার্ল্ড ভিউ এন্টারপ্রাইজের মতো প্রকল্পগুলো আলোর মুখ দেখতে শুরু করবে। অন্ততপক্ষে পৃথিবীর কক্ষপথে নিয়মিত পর্যটক পরিবহনের সুযোগ পেয়ে যাবে তারা। স্কাইস্ক্যানারের প্রতিবেদনের অন্যতম ভাষ্যকার ভবিষ্যৎ-তত্ত্ববিদ ড্যানিয়েল বুররুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘১০ বছরের সীমারেখার মধ্যেই আমরা এমন মহাকাশযাত্রার বুকিং শুরু করতে পারব, যেখানে মহাকাশের উত্তেজনাময় পরিবেশে সময় কাটিয়ে হাসি-আনন্দে ফিরে আসতে পারব আমরা।’
সাগরতলে ভ্রমণ
জলের তলে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু সাগরতলে ভ্রমণ নিয়ে আগামী ১০ বছরেই পর্যটনশিল্পের পুরোদস্তুর বাজার দাঁড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে স্কাইস্ক্যানার প্রতিবেদনে। উদাহরণ হিসেবে পোল্যান্ডের কোম্পানি ডিপ ওয়াটার টেকনোলজির কথা বলা যেতে পারে। এরা মহাকাশযানের মতো দেখতে গোলাকৃতির আংশিক জলে ডোবা হোটেল বানিয়েছেন। যেখানে গিয়ে সাগরতলের পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন অতিথিরা। দুবাই এবং মালদ্বীপে ভ্রমণের জন্য বিশেষভাবে বানানো এই ওয়াটার ডিসকাস হোটেলের তলার দিকে একটা আন্ডারওয়াটার ডেক থাকবে। প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতার এই ডেকে বসে অ্যাকুরিয়ামে বসে থাকার মতো করে সাগরের তলদেশ দেখা যাবে।
পর্যটনশিল্পের এই দুই ভবিষ্যৎ গন্তব্যের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে অবশ্য স্কাইস্ক্যানারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারেথ উইলিয়ামস বলেছেন, তিনি বাজি ধরতে পারেন, মানুষ আগে সাগরের তলাতেই বেশি যাবে। কেননা, মহাকাশযাত্রার বিপুল খরচের কারণেই জলের তলের চেয়ে নভোমণ্ডলে মানুষের পদচারণ তুলনামূলকভাবে কম হবে।
No comments