সান্তা মারিয়ার খোঁজে
সান্তা মারিয়া ডুবল ৫০০ বছরের বেশি
পেরিয়ে গেল। আর দুনিয়ার ইতিহাস পাল্টে দেওয়া সান্তা মারিয়ার খোঁজে
অভিযান চলছে সে-ও তো অনেক দিনের কথা। এই মে মাসে তো প্রায় উৎসবই শুরু হয়ে
গিয়েছিল সান্তা মারিয়াকে খুঁজে পাওয়ার আনন্দে! প্রায় এক দশক ধরে
চালানো এক অভিযান শেষে মার্কিন বিশেষজ্ঞ ব্যারি ক্লিফোর্ডের নেতৃত্বাধীন
অনুসন্ধান দল দাবি করেছিল হাইতির উপকূলে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সান্তা
মারিয়াকে খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এ নিয়ে সংশয় কাটছিল না অনেকেরই।
সান্তা মারিয়া, পিন্তা আর নিনা। এই তিন জাহাজের নৌবহর নিয়েই ভারত তথা এশিয়ায় আসার সংক্ষিপ্ত পথ খুঁজে বের করতে ১৪৯২ সালে স্পেন থেকে রওনা দিয়েছিলেন কলম্বাস। কিন্তু এশিয়ায় না পৌঁছে কলম্বাসের আমেরিকায় চলে যাওয়ার ইতিহাস তো সবারই জানা। তবে, আটলান্টিক পাড়ি দিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল সান্তা মারিয়া। ধারণা করা হয় শীতকালে বড়দিনের দিনেই হাইতি উপকূলের কাছাকাছি সাগরতলের কোনো একটা পাথুরে বা প্রবাল প্রাচীরে ধাক্কা খায় সান্তা মারিয়া। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি সেখানেই পরিত্যক্ত হয়।
সেই থেকে সান্তা মারিয়া পড়ে রইল সাগরের তলে। কিন্তু আধুনিক দুনিয়ার নতুন মানচিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা জাহাজটিকে খুঁজে বের করতে বদ্ধ পরিকর হাইতি। মে মাসে হাইতির উপকূলে ব্যারি ক্লিফোর্ডের পাওয়া জাহাজটি সান্তা মারিয়া নয় বলে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনের পরও দমে যান নি হাইতির সংস্কৃতিমন্ত্রী মনিক রোকোর্ত। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন সান্তা মারিয়ার খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত সম্ভাব্য সব স্থানেই তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাবে হাইতি।
হাইতি সরকারের অনুরোধে ইউনেসকোর বিশেষজ্ঞ দল ব্যারি ক্লিফোর্ডের পাওয়া জাহাজের ধবংসাবশেষ পরীক্ষা করে দেখে। তাঁরা জানান, প্রাপ্ত জাহাজটির কাঠামোতে ব্রোঞ্জ বা তামার পাতের ব্যবহার দেখা গেছে; যা ১৭ ও ১৮ শতকের জাহাজ নির্মাণশৈলীতে চালু হয়। সান্তা মারিয়া তৈরির সময় এমন নির্মাণশৈলীর কথা জানা যায় না। স্পেনের সাগরতলের প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরের সাবেক পরিচালক এবং জাহাজ ধংসাবশেষ বিশেষজ্ঞ নিয়েতো প্রিয়েতো ইউনেসকোর এই বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্ব দেন। সোমবার প্রকাশিত ইউনেসকোর প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের কাছে সন্দেহাতীত প্রমাণ আছে যে, ওই জাহাজটি আরও অনেক পরে তৈরি।’
ইউনেসকো প্রতিবেদনে জাহাজের নির্মাণশৈলীতে কয়েক শতকের পার্থক্য থাকা ছাড়াও ধ্বংসাবশেষের স্থান নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে। তাদের দাবি, ধ্বংসাবশেষের স্থানটি উপকূল থেকে অনেক দূরে। কিন্তু মার্কিন বিশেষজ্ঞ ব্যারি ক্লিফোর্ড ইউনেসকো প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত নন। ক্লিফোর্ড বলছেন, তাঁর পাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষে লোমবার্ড নামে যে বিশেষ ধরনের কামান পাওয়া গেছে, তা নিশ্চিতভাবেই কলম্বাসের যুগের জিনিস। ইউনেসকো প্রতিবেদনের দুদিন পর এক বিবৃতিতে ক্লিফোর্ড বলেন, ‘এটা জরুরি যে ইউনেসকো ধ্বংসাবশেষের পুরো জায়গাটি পর্যবেক্ষণ করে দেখবে এবং আমাদের তোলা ছবি ও সেখানকার বাস্তবতা মিলিয়ে নেবে।’ এ বিষয়ে ইউনেসকো বিশেষজ্ঞদের সহায়তা করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
হাইতির সংস্কৃতিমন্ত্রী রোকোর্ত বলেছেন, ‘উপকূল ধরে সম্ভাব্য সব স্থানেই অনুসন্ধান চালিয়ে যাবে তাঁর দেশ। কেননা কোনো গবেষকই সংশয়ের ছায়া এড়িয়ে নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন না কলম্বাসের ঐতিহাসিক জাহাজটি ঠিক কোথায় ডুবেছিল।’
সান্তা মারিয়া, পিন্তা আর নিনা। এই তিন জাহাজের নৌবহর নিয়েই ভারত তথা এশিয়ায় আসার সংক্ষিপ্ত পথ খুঁজে বের করতে ১৪৯২ সালে স্পেন থেকে রওনা দিয়েছিলেন কলম্বাস। কিন্তু এশিয়ায় না পৌঁছে কলম্বাসের আমেরিকায় চলে যাওয়ার ইতিহাস তো সবারই জানা। তবে, আটলান্টিক পাড়ি দিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল সান্তা মারিয়া। ধারণা করা হয় শীতকালে বড়দিনের দিনেই হাইতি উপকূলের কাছাকাছি সাগরতলের কোনো একটা পাথুরে বা প্রবাল প্রাচীরে ধাক্কা খায় সান্তা মারিয়া। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি সেখানেই পরিত্যক্ত হয়।
সেই থেকে সান্তা মারিয়া পড়ে রইল সাগরের তলে। কিন্তু আধুনিক দুনিয়ার নতুন মানচিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা জাহাজটিকে খুঁজে বের করতে বদ্ধ পরিকর হাইতি। মে মাসে হাইতির উপকূলে ব্যারি ক্লিফোর্ডের পাওয়া জাহাজটি সান্তা মারিয়া নয় বলে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনের পরও দমে যান নি হাইতির সংস্কৃতিমন্ত্রী মনিক রোকোর্ত। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন সান্তা মারিয়ার খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত সম্ভাব্য সব স্থানেই তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাবে হাইতি।
হাইতি সরকারের অনুরোধে ইউনেসকোর বিশেষজ্ঞ দল ব্যারি ক্লিফোর্ডের পাওয়া জাহাজের ধবংসাবশেষ পরীক্ষা করে দেখে। তাঁরা জানান, প্রাপ্ত জাহাজটির কাঠামোতে ব্রোঞ্জ বা তামার পাতের ব্যবহার দেখা গেছে; যা ১৭ ও ১৮ শতকের জাহাজ নির্মাণশৈলীতে চালু হয়। সান্তা মারিয়া তৈরির সময় এমন নির্মাণশৈলীর কথা জানা যায় না। স্পেনের সাগরতলের প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরের সাবেক পরিচালক এবং জাহাজ ধংসাবশেষ বিশেষজ্ঞ নিয়েতো প্রিয়েতো ইউনেসকোর এই বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্ব দেন। সোমবার প্রকাশিত ইউনেসকোর প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের কাছে সন্দেহাতীত প্রমাণ আছে যে, ওই জাহাজটি আরও অনেক পরে তৈরি।’
ইউনেসকো প্রতিবেদনে জাহাজের নির্মাণশৈলীতে কয়েক শতকের পার্থক্য থাকা ছাড়াও ধ্বংসাবশেষের স্থান নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে। তাদের দাবি, ধ্বংসাবশেষের স্থানটি উপকূল থেকে অনেক দূরে। কিন্তু মার্কিন বিশেষজ্ঞ ব্যারি ক্লিফোর্ড ইউনেসকো প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত নন। ক্লিফোর্ড বলছেন, তাঁর পাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষে লোমবার্ড নামে যে বিশেষ ধরনের কামান পাওয়া গেছে, তা নিশ্চিতভাবেই কলম্বাসের যুগের জিনিস। ইউনেসকো প্রতিবেদনের দুদিন পর এক বিবৃতিতে ক্লিফোর্ড বলেন, ‘এটা জরুরি যে ইউনেসকো ধ্বংসাবশেষের পুরো জায়গাটি পর্যবেক্ষণ করে দেখবে এবং আমাদের তোলা ছবি ও সেখানকার বাস্তবতা মিলিয়ে নেবে।’ এ বিষয়ে ইউনেসকো বিশেষজ্ঞদের সহায়তা করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
হাইতির সংস্কৃতিমন্ত্রী রোকোর্ত বলেছেন, ‘উপকূল ধরে সম্ভাব্য সব স্থানেই অনুসন্ধান চালিয়ে যাবে তাঁর দেশ। কেননা কোনো গবেষকই সংশয়ের ছায়া এড়িয়ে নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন না কলম্বাসের ঐতিহাসিক জাহাজটি ঠিক কোথায় ডুবেছিল।’
No comments