পোশাকশিল্পে বিনিয়োগ চায় ত্রিপুরা -বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখনো ভাবছেন না
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের মালিকদের ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি বলেছেন, ত্রিপুরাতে পোশাক কারখানা স্থাপনের জন্য জমি কোনো সমস্যা নয়। তা ছাড়া শিগগিরই রাজ্যে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্তও হবে।
এ বিষয়ে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গত বুধবার বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্ত্তী। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানান, মানিক সরকার বলেছেন ত্রিপুরাতে জমি ইজারা পাওয়া কোনো সমস্যা হবে না।
সন্দীপ চক্রবর্ত্তী সংবাদিকদের আরও বলেন, এ প্রস্তাব অনুসারে তিনি ঢাকায় পোশাকশিল্প ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলবেন।
এ বিনিয়োগ আহ্বান সম্পর্কে জানতে চাইলে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসায়ীরা যেখানে ভালো সুযোগ পাবেন, সেখানেই যাবেন। যেমন: চীন, ভারত, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এসেছে। দেশের পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরাও ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া বিনিয়োগ করেছেন। তবে ত্রিপুরায় শুল্ক ছাড়, নগদ সহায়তার মতো সুযোগ-সুবিধা না পেলে ব্যবসায়ীরা সেখানে যেতে চাইবেন না বলে মনে করেন তিনি।
বিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, ব্যবসায় বৈশ্বিক চিন্তা করার সময় এসেছে। তবে এ ক্ষেত্রে দেশের ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতার কিছুটা ঘাটতি আছে। তা ছাড়া বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ করা নিয়ে এখনো জটিলতা রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আইনি বাধা আছে। বৈদেশিক বিনিময় আইন ও বিধিবিধান অনুসারে কেবল চলতি হিসাব খাতে অর্থাৎ আমদানি-রপ্তানি এবং বিদেশ ভ্রমণ, চিকিৎসা ও বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে নেওয়া যায়। কিন্তু বিদেশে মূলধন বিনিয়োগের কোনো সুযোগ আইনে নেই অর্থাৎ মূলধন হিসাব উন্মুক্ত নয়।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা প্রথম আলোকে জানান, ত্রিপুরাতে বিনিয়োগের বিষয়ে তাঁদের কাছে এমন কোনো আলোচনা কেউ করেননি। তিনি বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন অনেক বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিদেশে বিনিয়োগের প্রস্তাব এলে তাঁরা প্রতিটি পৃথক প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখবেন। তিনি জানান, ওষুধশিল্প মালিকদের অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একবার গিয়েছিল আলোচনার জন্য। তখন তাদের বলা হয়েছিল সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠাতে। কিন্তু আর পরে কোনো প্রস্তাব আনেননি ওষুধশিল্পের মালিকেরা। একইভাবে আগেও কিছু আলোচনা হলেও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব যায়নি বাংলাদেশ ব্যাংকে। নাজনীন সুলতানা জানান, দেশের স্বার্থে লাভজনক হলে তাঁরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখবেন কী করা যায়।
অন্যদিকে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই। তবে এখন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছেন। ফলে সময়টা উপযুক্ত নয়। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজা ধসের পর কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কাজ চলছে। অনেক কারখানাকেই ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করতে হচ্ছে এবং হবে। আগামী তিন-চার বছর এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর পোশাকশিল্প একটা পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে। তখন ত্রিপুরার প্রস্তাবটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গত বুধবার বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্ত্তী। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানান, মানিক সরকার বলেছেন ত্রিপুরাতে জমি ইজারা পাওয়া কোনো সমস্যা হবে না।
সন্দীপ চক্রবর্ত্তী সংবাদিকদের আরও বলেন, এ প্রস্তাব অনুসারে তিনি ঢাকায় পোশাকশিল্প ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলবেন।
এ বিনিয়োগ আহ্বান সম্পর্কে জানতে চাইলে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসায়ীরা যেখানে ভালো সুযোগ পাবেন, সেখানেই যাবেন। যেমন: চীন, ভারত, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এসেছে। দেশের পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরাও ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া বিনিয়োগ করেছেন। তবে ত্রিপুরায় শুল্ক ছাড়, নগদ সহায়তার মতো সুযোগ-সুবিধা না পেলে ব্যবসায়ীরা সেখানে যেতে চাইবেন না বলে মনে করেন তিনি।
বিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, ব্যবসায় বৈশ্বিক চিন্তা করার সময় এসেছে। তবে এ ক্ষেত্রে দেশের ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতার কিছুটা ঘাটতি আছে। তা ছাড়া বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ করা নিয়ে এখনো জটিলতা রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আইনি বাধা আছে। বৈদেশিক বিনিময় আইন ও বিধিবিধান অনুসারে কেবল চলতি হিসাব খাতে অর্থাৎ আমদানি-রপ্তানি এবং বিদেশ ভ্রমণ, চিকিৎসা ও বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে নেওয়া যায়। কিন্তু বিদেশে মূলধন বিনিয়োগের কোনো সুযোগ আইনে নেই অর্থাৎ মূলধন হিসাব উন্মুক্ত নয়।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা প্রথম আলোকে জানান, ত্রিপুরাতে বিনিয়োগের বিষয়ে তাঁদের কাছে এমন কোনো আলোচনা কেউ করেননি। তিনি বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন অনেক বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিদেশে বিনিয়োগের প্রস্তাব এলে তাঁরা প্রতিটি পৃথক প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখবেন। তিনি জানান, ওষুধশিল্প মালিকদের অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একবার গিয়েছিল আলোচনার জন্য। তখন তাদের বলা হয়েছিল সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠাতে। কিন্তু আর পরে কোনো প্রস্তাব আনেননি ওষুধশিল্পের মালিকেরা। একইভাবে আগেও কিছু আলোচনা হলেও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব যায়নি বাংলাদেশ ব্যাংকে। নাজনীন সুলতানা জানান, দেশের স্বার্থে লাভজনক হলে তাঁরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখবেন কী করা যায়।
অন্যদিকে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই। তবে এখন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছেন। ফলে সময়টা উপযুক্ত নয়। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজা ধসের পর কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কাজ চলছে। অনেক কারখানাকেই ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করতে হচ্ছে এবং হবে। আগামী তিন-চার বছর এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর পোশাকশিল্প একটা পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে। তখন ত্রিপুরার প্রস্তাবটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
No comments