রোনালদিনহো, ইংল্যান্ড এবং সেই গোল
ব্রাজিল, ইংল্যান্ড এবং রোনালদিনহো—নাম
তিনটি একসঙ্গে উচ্চারিত হলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই গোলটার ছবি। ২০০২
বিশ্বকাপে ফ্রি-কিক থেকে করা রোনালদিনহোর জাদুকরি যে গোল কোয়ার্টার ফাইনাল
থেকে ছিটকে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে।
সে ম্যাচে লাল কার্ডও পেয়েছিলেন রোনালদিনহো। কিন্তু মানুষ বেশি মনে রেখেছে ওই গোলটার কথাই।
গোলপোস্টের বাঁ পাশে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া রোনালদিনহোর বাঁক খাওয়ানো ফ্রি-কিকটি গোললাইন ছেড়ে এগিয়ে থাকা ডেভিড সিম্যানের মাথার ওপর দিয়ে দূরের পোস্টের কোনায় ঢুকে যায়। পরে সেটিই হয়ে যায় ম্যাচের জয়সূচক গোল।
তাঁর ওই গোলটি নিয়ে অনেক রকম আলোচনাই হয়েছে। আসলেই তিনি গোলে শট নিয়েছিলেন, নাকি স্রেফ ক্রস করতে গিয়ে শটটি কাকতালীয়ভাবে ঢুকে গেছে জালে—এ নিয়ে তর্কও হয়েছে। হঠাৎ করে ১১ বছরের পুরোনো সেই স্মৃতি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির কারণটাও অনুমেয়ই। গতকাল রাতেই একটা প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। রোনালদিনহো আবার ফিরেছেন ব্রাজিল দলে। কাকতালীয়ভাবে ব্রাজিলের কোচও ২০০২ বিশ্বকাপের সেই স্কলারিই। ওয়েম্বলির ম্যাচে রোনালদিনহো মাঠে নেমেছিলেন কি না বা নামলে কী করেছেন, এই প্রতিবেদন লেখার সময় সেটা বলার উপায় ছিল না। তবে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সেই রোনালদিনহোকে পেয়ে ইংলিশ সাংবাদিকেরা সেই গোল নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগটা হাতছাড়া করেনি। উত্তরে রোনালদিনহোও জানিয়ে দিয়েছেন, গোলটা ফ্লুক ছিল না, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমার চমৎকার স্মৃতি আছে। ওই ম্যাচটা আমার জীবনের ট্রেডমার্ক হয়ে আছে। সব সময়ই কেউ না-কেউ আমাকে প্রশ্নটা করে, আমি শটটা আসলেই গোলে নিয়েছিলাম কি না। কোনো সন্দেহই নেই, আমার লক্ষ্য ছিল গোল করা।’
সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছিল রোনালদিনহোর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টিও। ৩২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। পরে তো মানো মেনেজেস বাতিলের খাতায়ই ফেলে দিয়েছিলেন তাঁকে। মেনেজেসের বদলে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে স্কলারি তাঁর প্রথম দলেই ডেকেছেন ‘সাবেক’ শিষ্যকে।
দলে ফেরালেও স্কলারি স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, রোনালদিনহোকে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েই থাকতে হবে দলে। রোনালদিনহোও তা জানেন, চ্যালেঞ্জটা নিতেও তিনি প্রস্তুত। নেইমার, লুকাস, ফ্রেড—দলে তরুণদেরই আধিক্য। রোনালদিনহোর প্রধান কাজটা হবে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তরুণদের সাহায্য করা। দুবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারও জানেন এই বাড়তি দায়িত্বের কথা, ‘উত্তরাধিকার সূত্রে আমাদের দলটা বিরাট এক ঐতিহ্যের অধিকারী। আমি মনে করি, বিশ্বকাপ জয়ের সব সম্ভাবনাই আমাদের আছে। দলে তরুণ আর অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সমন্বয় আছে। আমিই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে দলকে সাহায্য করতে আমি সম্ভাব্য সবকিছুই করব।’ এএফপি, রয়টার্স।
গোলপোস্টের বাঁ পাশে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া রোনালদিনহোর বাঁক খাওয়ানো ফ্রি-কিকটি গোললাইন ছেড়ে এগিয়ে থাকা ডেভিড সিম্যানের মাথার ওপর দিয়ে দূরের পোস্টের কোনায় ঢুকে যায়। পরে সেটিই হয়ে যায় ম্যাচের জয়সূচক গোল।
তাঁর ওই গোলটি নিয়ে অনেক রকম আলোচনাই হয়েছে। আসলেই তিনি গোলে শট নিয়েছিলেন, নাকি স্রেফ ক্রস করতে গিয়ে শটটি কাকতালীয়ভাবে ঢুকে গেছে জালে—এ নিয়ে তর্কও হয়েছে। হঠাৎ করে ১১ বছরের পুরোনো সেই স্মৃতি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির কারণটাও অনুমেয়ই। গতকাল রাতেই একটা প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। রোনালদিনহো আবার ফিরেছেন ব্রাজিল দলে। কাকতালীয়ভাবে ব্রাজিলের কোচও ২০০২ বিশ্বকাপের সেই স্কলারিই। ওয়েম্বলির ম্যাচে রোনালদিনহো মাঠে নেমেছিলেন কি না বা নামলে কী করেছেন, এই প্রতিবেদন লেখার সময় সেটা বলার উপায় ছিল না। তবে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সেই রোনালদিনহোকে পেয়ে ইংলিশ সাংবাদিকেরা সেই গোল নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগটা হাতছাড়া করেনি। উত্তরে রোনালদিনহোও জানিয়ে দিয়েছেন, গোলটা ফ্লুক ছিল না, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমার চমৎকার স্মৃতি আছে। ওই ম্যাচটা আমার জীবনের ট্রেডমার্ক হয়ে আছে। সব সময়ই কেউ না-কেউ আমাকে প্রশ্নটা করে, আমি শটটা আসলেই গোলে নিয়েছিলাম কি না। কোনো সন্দেহই নেই, আমার লক্ষ্য ছিল গোল করা।’
সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছিল রোনালদিনহোর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টিও। ৩২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। পরে তো মানো মেনেজেস বাতিলের খাতায়ই ফেলে দিয়েছিলেন তাঁকে। মেনেজেসের বদলে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে স্কলারি তাঁর প্রথম দলেই ডেকেছেন ‘সাবেক’ শিষ্যকে।
দলে ফেরালেও স্কলারি স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, রোনালদিনহোকে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েই থাকতে হবে দলে। রোনালদিনহোও তা জানেন, চ্যালেঞ্জটা নিতেও তিনি প্রস্তুত। নেইমার, লুকাস, ফ্রেড—দলে তরুণদেরই আধিক্য। রোনালদিনহোর প্রধান কাজটা হবে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তরুণদের সাহায্য করা। দুবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারও জানেন এই বাড়তি দায়িত্বের কথা, ‘উত্তরাধিকার সূত্রে আমাদের দলটা বিরাট এক ঐতিহ্যের অধিকারী। আমি মনে করি, বিশ্বকাপ জয়ের সব সম্ভাবনাই আমাদের আছে। দলে তরুণ আর অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সমন্বয় আছে। আমিই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে দলকে সাহায্য করতে আমি সম্ভাব্য সবকিছুই করব।’ এএফপি, রয়টার্স।
No comments