দুঃসময়ের জালে বন্দী গেইল by আরিফুল ইসলাম
সোহাগ গাজীকে তাঁর এমনিতেই ভুলে যাওয়ার
কথা নয়। এখন নিশ্চয়ই আরও বেশি করে মনে পড়ছে! সোহাগের হাত ধরে যে
দুঃস্বপ্নের শুরু, তাতেই যে এখনো ঘুরপাক খাচ্ছেন ক্রিস গেইল!
কাল
মানুকা ওভালে জেমস ফকনারের বলটি আরেকটু স্পষ্ট ফুটিয়ে তুলল গেইলের দুঃসময়।
লেংথ বলটিকে জায়গায় দাঁড়িয়ে ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন মিস, ব্যাট-প্যাডের ফাঁক
গলে বোল্ড। যেন গেইলের দুঃসময়ের প্রতীকী ছবি। অন্য কোনো সময় হলে হয়তো এই
বলকে ফ্লিক করে গ্যালারিতে ফেলতেন, কিংবা চাবুকের মতো চালিয়ে দিতেন সোজা।
কিন্তু এখন যে দুঃসময়!
‘দুঃসময়’ শব্দটিও যেন ঠিক যথেষ্ট নয় গেইলের দুঃসময় বোঝাতে। এককথায় বলে দেওয়া যায়, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। গত ৫ অক্টোবর আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১ বলে ৭৫ রানের সেই ইনিংসটির পর থেকেই ফিফটির দেখা নেই। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে কেটে গেছে ১৪টি ইনিংস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত লম্বা হাফ সেঞ্চুরি-খরায় আর ভুগতে হয়নি তাঁকে। এর কাছাকাছি দুঃসময় এসেছিল এক যুগ আগে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখনও পায়ের নিচে শক্ত জমি খুঁজে পাননি। ২০০০ সালের ২ এপ্রিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জ্যামাইকায় ফিফটি করার পর আরেকটি পঞ্চাশের দেখা পেয়েছিলেন পরের বছরের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গায়ানা টেস্টে। মাঝের ১২ ইনিংসে সর্বোচ্চ ছিল ৪২।
ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির ফাইনালে অজন্তা মেন্ডিসের বলে আউট হয়েছিলেন ৩ রানে। তবে গেইলের দুঃসময়ের শুরুটা বলা যায় মূলত বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই। সোহাগ গাজী নামের এক নবীন অফ স্পিনার ঘুম হারাম করে ছাড়লেন গেইল-দৈত্যের। ব্যাটিং-দক্ষতা তো আছেই, গেইলের মতো ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বড় সম্পদ আত্মবিশ্বাস। সোহাগ বড় ধাক্কা দিয়েছেন গেইলের সেই জায়গাটাতেই। সেটির জের অবশ্য এত দিন চলাটা একটু বিস্ময়করই।
ওয়ানডেতে পঞ্চাশের দেখা নেই টানা ১১ ইনিংস। দুঃসময়ের অধ্যায়ে যা আরেকটি কালো ছোপ। এর আগে ২০০০ সালের এপ্রিল থেকে পরের এপ্রিল ও ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দুই দফায় ফিফটিবিহীন ছিলেন টানা ১১ ইনিংস। শুধু রানখরা বলে নয়, দুঃসময়টা আরও বেশি চোখে পড়ছে ব্যাটিংয়ের ধরনে। বিস্ফোরক গেইল গত কিছুদিন যেন নিজের ছায়া। পঞ্চাশ-খরার এই ১১ ওয়ানডেতে স্ট্রাইক রেট যেমন মাত্র ৫৮.৭৬!
টেস্ট-ওয়ানডেকে না হয় একটু পাশে সরিয়ে রাখা যাক, টি-টোয়েন্টির তো তিনি প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছেন। অথচ বিগ ব্যাশে প্রথম ৬ ম্যাচে মোট ৭২ রান করতে পেরেছিলেন ৯৯ বলে, শেষ ম্যাচে ৪৩ বলে ৬৫ করার পরও টুর্নামেন্ট স্ট্রাইক রেট ৯৬.৪৭! পরে ক্যারিবিয়ান টি-টোয়েন্টির দুই ম্যাচে ৮৫ ও ১২২ করায় মনে হচ্ছিল ছিঁড়তে পেরেছেন দুঃসময়ের জাল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতেই আবার সেই জালে বন্দী।
আগামীকাল সিডনিতে কি ছিঁড়তে পারবেন সেই জাল, নাকি সেটি আরও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে তাঁকে!
‘দুঃসময়’ শব্দটিও যেন ঠিক যথেষ্ট নয় গেইলের দুঃসময় বোঝাতে। এককথায় বলে দেওয়া যায়, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। গত ৫ অক্টোবর আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১ বলে ৭৫ রানের সেই ইনিংসটির পর থেকেই ফিফটির দেখা নেই। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে কেটে গেছে ১৪টি ইনিংস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত লম্বা হাফ সেঞ্চুরি-খরায় আর ভুগতে হয়নি তাঁকে। এর কাছাকাছি দুঃসময় এসেছিল এক যুগ আগে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখনও পায়ের নিচে শক্ত জমি খুঁজে পাননি। ২০০০ সালের ২ এপ্রিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জ্যামাইকায় ফিফটি করার পর আরেকটি পঞ্চাশের দেখা পেয়েছিলেন পরের বছরের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গায়ানা টেস্টে। মাঝের ১২ ইনিংসে সর্বোচ্চ ছিল ৪২।
ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির ফাইনালে অজন্তা মেন্ডিসের বলে আউট হয়েছিলেন ৩ রানে। তবে গেইলের দুঃসময়ের শুরুটা বলা যায় মূলত বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই। সোহাগ গাজী নামের এক নবীন অফ স্পিনার ঘুম হারাম করে ছাড়লেন গেইল-দৈত্যের। ব্যাটিং-দক্ষতা তো আছেই, গেইলের মতো ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বড় সম্পদ আত্মবিশ্বাস। সোহাগ বড় ধাক্কা দিয়েছেন গেইলের সেই জায়গাটাতেই। সেটির জের অবশ্য এত দিন চলাটা একটু বিস্ময়করই।
ওয়ানডেতে পঞ্চাশের দেখা নেই টানা ১১ ইনিংস। দুঃসময়ের অধ্যায়ে যা আরেকটি কালো ছোপ। এর আগে ২০০০ সালের এপ্রিল থেকে পরের এপ্রিল ও ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দুই দফায় ফিফটিবিহীন ছিলেন টানা ১১ ইনিংস। শুধু রানখরা বলে নয়, দুঃসময়টা আরও বেশি চোখে পড়ছে ব্যাটিংয়ের ধরনে। বিস্ফোরক গেইল গত কিছুদিন যেন নিজের ছায়া। পঞ্চাশ-খরার এই ১১ ওয়ানডেতে স্ট্রাইক রেট যেমন মাত্র ৫৮.৭৬!
টেস্ট-ওয়ানডেকে না হয় একটু পাশে সরিয়ে রাখা যাক, টি-টোয়েন্টির তো তিনি প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছেন। অথচ বিগ ব্যাশে প্রথম ৬ ম্যাচে মোট ৭২ রান করতে পেরেছিলেন ৯৯ বলে, শেষ ম্যাচে ৪৩ বলে ৬৫ করার পরও টুর্নামেন্ট স্ট্রাইক রেট ৯৬.৪৭! পরে ক্যারিবিয়ান টি-টোয়েন্টির দুই ম্যাচে ৮৫ ও ১২২ করায় মনে হচ্ছিল ছিঁড়তে পেরেছেন দুঃসময়ের জাল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতেই আবার সেই জালে বন্দী।
আগামীকাল সিডনিতে কি ছিঁড়তে পারবেন সেই জাল, নাকি সেটি আরও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে তাঁকে!
No comments