জামায়াতের সঙ্গে কোন সমঝোতা করেনি সরকার- আওয়ামী সমর্থক জোটের বিক্ষোভে নেতৃবৃন্দ
আওয়ামী লীগ নেতারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,
একাত্তরের ঘাতক স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সঙ্গে সরকারের কোন গোপন সমঝোতা
হয়নি। সমঝোতার প্রশ্নই ওঠে না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গেই রায় দিয়েছে। তবে কাদের মোল্লার
বিরুদ্ধে রায় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। এ রায়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ
দেশবাসীর সঙ্গে আওয়ামী লীগও হতাশ হয়েছে। জাতি প্রত্যাশা করেছিল রায়ে কাদের
মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। জনপ্রত্যাশাবিরোধী এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার
আপীল করবে।
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে এবং একাত্তরের ঘাতক কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে বুধবার বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচীতে নেতারা এ কথা বলেন। সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের সভাপতি আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন। একাত্তরে মানুষ হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ প্রমাণিত হবার পরও কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ সাজা না হওয়ায় নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দেশাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে আব্দুল মান্নান খান বলেন, লাখ লাখ মানুষের মনের রায়কে সমর্থন জানানো উচিত ছিল। মানুষের অনুভূতিকে সম্মান জানানো উচিত ছিল। তিনি বলেন, মানুষ যে রায় আশা করেছিল রায় সে রকম হয়নি। মুক্তিযোদ্ধারা হতাশ হয়েছেন। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
কাদের মোল্লার বিষয়ে জামায়াতের সঙ্গে সরকার কোন আঁতাত করেনি দাবি করে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আঁতাতের প্রশ্নই ওঠে না। এ বিষয়ে কোন আঁতাত করা হয়নি। যারা এ কথা বলছে তারা বানোয়াট বক্তব্য দিচ্ছে এবং জঘন্য মিথ্যাচার করছে। সরকার আপীল করবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপীলের সুযোগ আছে। এ বিষয়ে প্রসিকিউশন নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আজকের মতো জনগণ আগে থেকে সোচ্চার হয়ে মাঠে থাকলে অন্য রকম (রায়) কিছু হতে পারত। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এ রায় মেনে নিতে পারিনি। সাধারণ মানুষ যা চেয়েছে রায়ে তা হয়নি। সাধারণ মানুষ এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুবলীগ দক্ষিণের সমাবেশ থেকেও রাজপথে থেকে স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরকে মোকাবেলা করার জন্য যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ইসমাইল হোসেন স¤্রাটের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, বদিউল আলম বদি, ফজলুল হক আতিক ও ওয়াহিদুল আলম আরিফ।
এদিকে সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে হরতালবিরোধী মিছিল করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ওলামা লীগ, ঢাকা সড়ক পরিবহন লীগ, নাগরিক সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হকার্স লীগ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, আওয়ামী সমর্থক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর সামনে হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে আসে। এসময় সংগঠনগুলোলোর নেতাকর্মীরা যুদ্ধারাধের মামলায় মঙ্গলবারের রায়ের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে স্লোগান দেন। ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি চাই’।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দি, এনামুল হক শামীম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা, যুবলীগের হারুন-অর-রশিদ, যুবমহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার এমপি, সাধারণ সম্পাদক আপু উকিল এমপি, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক লিয়াকত শিকদার, গোলাম সারোয়ার কবির ও ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল।
সকালে মিরপুর ১০ নম্বর হরতালবিরোধী মিছিলপূর্ব সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ বলেন, ওরা (জামায়াত) কি হরতাল দিচ্ছে, হরতাল দেয়ার কথা তো আমাদের। তিনি আরও বলেন, এ রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ, আমাদের আশার প্রতিফলন ঘটেনি। এই রায় কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। দেশের ১৬ কোটি মানুষও মর্মাহত হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে এবং একাত্তরের ঘাতক কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে বুধবার বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচীতে নেতারা এ কথা বলেন। সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের সভাপতি আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন। একাত্তরে মানুষ হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ প্রমাণিত হবার পরও কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ সাজা না হওয়ায় নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দেশাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে আব্দুল মান্নান খান বলেন, লাখ লাখ মানুষের মনের রায়কে সমর্থন জানানো উচিত ছিল। মানুষের অনুভূতিকে সম্মান জানানো উচিত ছিল। তিনি বলেন, মানুষ যে রায় আশা করেছিল রায় সে রকম হয়নি। মুক্তিযোদ্ধারা হতাশ হয়েছেন। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
কাদের মোল্লার বিষয়ে জামায়াতের সঙ্গে সরকার কোন আঁতাত করেনি দাবি করে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আঁতাতের প্রশ্নই ওঠে না। এ বিষয়ে কোন আঁতাত করা হয়নি। যারা এ কথা বলছে তারা বানোয়াট বক্তব্য দিচ্ছে এবং জঘন্য মিথ্যাচার করছে। সরকার আপীল করবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপীলের সুযোগ আছে। এ বিষয়ে প্রসিকিউশন নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আজকের মতো জনগণ আগে থেকে সোচ্চার হয়ে মাঠে থাকলে অন্য রকম (রায়) কিছু হতে পারত। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এ রায় মেনে নিতে পারিনি। সাধারণ মানুষ যা চেয়েছে রায়ে তা হয়নি। সাধারণ মানুষ এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুবলীগ দক্ষিণের সমাবেশ থেকেও রাজপথে থেকে স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরকে মোকাবেলা করার জন্য যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ইসমাইল হোসেন স¤্রাটের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, বদিউল আলম বদি, ফজলুল হক আতিক ও ওয়াহিদুল আলম আরিফ।
এদিকে সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে হরতালবিরোধী মিছিল করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ওলামা লীগ, ঢাকা সড়ক পরিবহন লীগ, নাগরিক সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হকার্স লীগ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, আওয়ামী সমর্থক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর সামনে হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে আসে। এসময় সংগঠনগুলোলোর নেতাকর্মীরা যুদ্ধারাধের মামলায় মঙ্গলবারের রায়ের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে স্লোগান দেন। ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি চাই’।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দি, এনামুল হক শামীম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা, যুবলীগের হারুন-অর-রশিদ, যুবমহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার এমপি, সাধারণ সম্পাদক আপু উকিল এমপি, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক লিয়াকত শিকদার, গোলাম সারোয়ার কবির ও ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল।
সকালে মিরপুর ১০ নম্বর হরতালবিরোধী মিছিলপূর্ব সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ বলেন, ওরা (জামায়াত) কি হরতাল দিচ্ছে, হরতাল দেয়ার কথা তো আমাদের। তিনি আরও বলেন, এ রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ, আমাদের আশার প্রতিফলন ঘটেনি। এই রায় কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। দেশের ১৬ কোটি মানুষও মর্মাহত হয়েছে।
No comments