জামায়াত-শিবিরের নাশকতা
গত দু’তিন বছর যাবত জামায়াত-শিবির চক্র
দেশে রীতিমতো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা এখন যুদ্ধাপরাধীদের
বিচারপ্রক্রিয়া বানচালের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার
মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্বিতীয় রায় ঘোষণার দিন তারা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
ডাকে। হরতালের আগের দিন জামায়াতের কর্মীরা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে
রাজধানীসহ দেশব্যাপী তা-বের সৃষ্টি করে। সোমবার রাতে উত্তরায় বাসে আগুন
দিয়ে একজনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এদিকে জামায়াত-শিবিরের হুমকি আর পুলিশের
প্রস্তুতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল নগরবাসী। দফায় দফায় শিবিরের ককটেল
বিস্ফোরণ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ আর পুলিশের প্রতিরোধে সোমবার সন্ধ্যা থেকে
রাজধানী আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয়। জামায়াতী জঙ্গীদের নাশকতামূলক কর্মকা-
আমাদের একাত্তরের ভয়াবহ দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধে
স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের কর্মীরা ছিল পাকিস্তানী হানাদারদের ঘনিষ্ঠ
সহযোগী। আজ তারা যেমন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য তা-বের সূচনা
করেছে; মুক্তিযুদ্ধকালে একইভাবে তারা এ দেশে নিরীহ জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে
পড়েছিল। আজও তাদের আচরণে কোন রীতিবোধের স্বাক্ষর পাওয়া যায়নি। একাত্তরে
তারা যেমন বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল; স্বাধীনতার পরও তারা
এদেশের মানুষ হত্যা করছে। বর্তমানে তারা পুলিশ বাহিনীকে আক্রমণের অন্যতম
লক্ষ্য করেছে। একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে
নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলার মধ্যদিয়ে তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল
করতে চায়। তিরিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতাকে
বিপন্ন করাই তাদের উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন হল এভাবে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার সাহস তারা পায় কোথা থেকে? ইতোপূর্বে কয়েক মাস আগে জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতি বিএনপি নীতিগত সমর্থন জানায়। সেদিন থেকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মুখোশ জনগণের কাছে উন্মেচিত হয়েছে। জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচীর প্রতি বিএনপির সমর্থন ঘোষণার পর থেকে জামায়াতের কর্মীদের তা-ব ও অপতৎপরতা আরও বেড়েছে। সরকারের উচিত, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ টিকিয়ে রাখতে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার। এরা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি, মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ও সেক্যুলার বাঙালী সংস্কৃতির বিরোধী।
এদের ঘন ঘন হরতালের জন্য আমাদের অর্থনৈতিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে; ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা নেই। সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এটাই সবার প্রত্যাশা।
প্রশ্ন হল এভাবে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার সাহস তারা পায় কোথা থেকে? ইতোপূর্বে কয়েক মাস আগে জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতি বিএনপি নীতিগত সমর্থন জানায়। সেদিন থেকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মুখোশ জনগণের কাছে উন্মেচিত হয়েছে। জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচীর প্রতি বিএনপির সমর্থন ঘোষণার পর থেকে জামায়াতের কর্মীদের তা-ব ও অপতৎপরতা আরও বেড়েছে। সরকারের উচিত, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ টিকিয়ে রাখতে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার। এরা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি, মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ও সেক্যুলার বাঙালী সংস্কৃতির বিরোধী।
এদের ঘন ঘন হরতালের জন্য আমাদের অর্থনৈতিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে; ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা নেই। সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এটাই সবার প্রত্যাশা।
No comments