কৃষিতে বিশেষ সহায়তার প্রতিশ্রুতি উন্নয়ন সহযোগীদের by মিজান চৌধুরী
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দাতা সংস্থার কাছে ১৬টি খাতে শর্তহীন সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। উন্নয়ন ফোরামে দাতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব সহায়তা চাওয়া হয়।
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই সহায়তা কাজে লাগানো হবে। দাতা সংস্থাগুলো ওই ফোরামের বৈঠকে বাংলাদেশকে কৃষিখাত উন্নয়ন আগামীতে নির্ধারিত কর্মসূচীতে সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে। বৈঠকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা সরকারের প থেকে তুলে ধরা হয়। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছে পানি ও সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সহায়তা, বায়োটেকনোলজিসহ গবেষণা খাত ও জলবায়ু পরিবর্তনে তির মোকাবেলায় সহায়তা, এইচওয়াইভি এবং হাইব্রিড বীজ উৎপাদন বাড়াতে সমতা অর্জন, কৃষি পণ্য উৎপাদন বাড়াতে মাটি গবেষণা ও মাটি পরীা খাত উন্নয়ন, চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, পণ্য উৎপাদনের পর বাজারজাত করণে পদ্ধতিগত উন্নয়ন, বীজ পরীাগার উন্নয়ন, এইচ আরডি বিজ্ঞান ও কৃষি গবেষণা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, ল্যাব ও পরিবহন ব্যবস্থাপনার েেত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কৃষকের জন্য এক্সকুসিভ বাজার প্রতিষ্ঠা এবং কৃষি পণ্য রফতানির জন্য উদ্যোক্তা তৈরি খাতে এ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।বাংলাদেশের প থেকে বলা হয়, ১১টি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে কৃষিপণ্য উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে সরকার এগুচ্ছে। এ বছর মাথাপিছু খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ও উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাথাপিছু দৈনিক ৫২৪ গ্রাম হিসাব করে উৎপাদনের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ২০০৯-১০ অর্থবছরে দৈনিক মাথাপিছু ৫৫৫ গ্রাম খাদ্য গ্রহণের হিসাব ধরে কৃষি পণ্য উৎপাদনের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের প থেকে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান ও ভবিষতে সরকারকে ১১ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে নিম্নমুখী ভূর্গবস্থ পানির সত্মর, মাটির গুণাগুণ হ্রাস ও কম সংখ্যক খামার নিয়ে অভ্যনত্মরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া দুর্বল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনের ল্যমাত্রা অর্জন করা, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন, সার ব্যবহারের েেত্র অব্যবস্থাপনা, দুর্বল বীজ, সার ও সেচ প্রযুক্তি, সেচের জন্য কম দামে ডিজেল, বিদু্যত ও প্রযুক্তির উপদান সরবরাহ, কৃষি বাজারের জন্য আধুনিক তথ্য কেন্দ্র সৃষ্টি, কৃষি খাতে শ্রম কর্মসংস্থান তৈরি করা হচ্ছে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
দাতা সংস্থাগুলোর কাছে বলা হয়, সরকার এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এছাড়া খাদ্য মজুদ রাখতে আগামী চার বছরের জন্য গুদামের ধারণমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বিশেষ করে বর্তমান ১০ লাখ ৪৭ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য ধারণ করার মতাসম্পন্ন গুদাম রয়েছে। আগামীতে আরও ৭৮ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য রাখার জন্য গুদাম ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।
অবশ্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের ফসল নিজেরাই উৎপাদন করব। কিন্তু ফসল উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত পানি ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য টেকনিক্যাল বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছে শর্তহীন সহায়তা চাওয়া হয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছে। দাতা সংস্থাগুলো আগে সহায়তার েেত্র বিভিন্ন শর্ত আরোপ করেছে। এ জন্য এবার শর্তহীন সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
No comments