নয়াদিল্লি গণধর্ষণ- রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতাই নারী সহিংসতার কারণ
দিল্লির গণধর্ষণের প্রেক্ষিতে সরকারের
পক্ষ থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নে সুপারিশ
দেওয়ার লক্ষ্যে গঠিত বার্মা কমিটি বলেছে, “রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যর্থতাই
নারীর প্রতি সহিংসতার মূল কারণ।”
বিচারপতি জেএস বার্মার
নেতৃত্বাধীন এ কমিটিতে আরও ছিলেন হিমাচল প্রদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি
লাইলা শেঠ এবং সাবেক আইনজীবী জেনারেল গোপাল সুব্রামনিয়াম।
বুধবার
ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে
সুপারিশনামা দেওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির প্রধান বার্মা বলেন,
“আমাদের নিজেদের দায়িত্ব পালনে অবহেলাই এ ধরনের অপরাধ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব
ঘটনার পেছনের মূল কারণ রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতা। ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন
এসব অপকর্মকে ঠিক রুখে দিতে পারে।”
বার্মা বলেন, “প্রতিবেদনটি আমার নামে পরিচিত হলেও প্রাপ্ত পরামর্শগুলো ভারতসহ সারা বিশ্বের সচেতন মানুষদের। প্রায় ৮০ হাজার সুপারিশ গ্রহণ করেছি আমরা।”
বিচারপতি বলেন, “২৩ ডিসেম্বরে দায়িত্ব পাওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশনামা দেওয়ার কথা থাকলেও একদিন আগেই ২৯ দিনের পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত সুপারিশনামা জমা দিয়েছি আমরা।”
বার্মা বলেন, “আমাদের এ পরিশ্রম কতটুকু সফল হবে তা বুঝতে পারছি না।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দীর্ঘ এক প্রতিবেদন উপস্থাপন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বার্মা এসব কথা বলেন।
নারীর প্রতি অপরাধ কমাতে বার্মা কমিটির কয়েকটি পরামর্শ
সংঘাত এড়াতে ‘এএফএসপিএ’ (সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন)-এর পর্যালোচনা করা দরকার।
সশস্ত্র বাহিনীসহ যে কোনো ধরনের বাহিনীর অপরাধকে সাধারণ অপরাধ আইনের আওতায় আনা জরুরি।
নারীর প্রতি যৌন হয়রানির প্রতিকার করতে পর্যাপ্ত ক্ষমতাসহ বিশেষ কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে।
দিল্লি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ ও কার্যক্রম বিষয়ে অস্পষ্টতা দূর করতে হবে।
দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনায় ট্রাফিক আইনসহ সব ধরনের আইনের ব্যর্থতা প্রকাশ হয়ে গেছে। এসব আইনের বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রত্যেক জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিখোঁজ শিশু গণনার দায়িত্ব দিতে হবে।
দিল্লির গণধর্ষণের ঘটনায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের হামলা ভারতীয় গণতন্ত্রে আঘাত করেছে। ভবিষ্যতে এসব দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, “গণধর্ষণের ওই ঘটনাটির পর সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া হয়। তখন জাতীয় পার্লামেন্টের (লোকসভা) পরবর্তী অধিবেশনের তারিখ জেনে কাজ শুরু করা হয়।”
২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া পরবর্তী অধিবেশনে এ সংক্রান্ত আইন পাস হবে বলেও জানায় বার্মা কমিটি।
এ ঘটনার প্রতিবাদ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ায় সচেতন তরুণদের প্রশংসাও করে বার্মা কমিটি।
বার্মা বলেন, “প্রতিবেদনটি আমার নামে পরিচিত হলেও প্রাপ্ত পরামর্শগুলো ভারতসহ সারা বিশ্বের সচেতন মানুষদের। প্রায় ৮০ হাজার সুপারিশ গ্রহণ করেছি আমরা।”
বিচারপতি বলেন, “২৩ ডিসেম্বরে দায়িত্ব পাওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশনামা দেওয়ার কথা থাকলেও একদিন আগেই ২৯ দিনের পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত সুপারিশনামা জমা দিয়েছি আমরা।”
বার্মা বলেন, “আমাদের এ পরিশ্রম কতটুকু সফল হবে তা বুঝতে পারছি না।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দীর্ঘ এক প্রতিবেদন উপস্থাপন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বার্মা এসব কথা বলেন।
নারীর প্রতি অপরাধ কমাতে বার্মা কমিটির কয়েকটি পরামর্শ
সংঘাত এড়াতে ‘এএফএসপিএ’ (সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন)-এর পর্যালোচনা করা দরকার।
সশস্ত্র বাহিনীসহ যে কোনো ধরনের বাহিনীর অপরাধকে সাধারণ অপরাধ আইনের আওতায় আনা জরুরি।
নারীর প্রতি যৌন হয়রানির প্রতিকার করতে পর্যাপ্ত ক্ষমতাসহ বিশেষ কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে।
দিল্লি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ ও কার্যক্রম বিষয়ে অস্পষ্টতা দূর করতে হবে।
দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনায় ট্রাফিক আইনসহ সব ধরনের আইনের ব্যর্থতা প্রকাশ হয়ে গেছে। এসব আইনের বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রত্যেক জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিখোঁজ শিশু গণনার দায়িত্ব দিতে হবে।
দিল্লির গণধর্ষণের ঘটনায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের হামলা ভারতীয় গণতন্ত্রে আঘাত করেছে। ভবিষ্যতে এসব দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, “গণধর্ষণের ওই ঘটনাটির পর সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া হয়। তখন জাতীয় পার্লামেন্টের (লোকসভা) পরবর্তী অধিবেশনের তারিখ জেনে কাজ শুরু করা হয়।”
২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া পরবর্তী অধিবেশনে এ সংক্রান্ত আইন পাস হবে বলেও জানায় বার্মা কমিটি।
এ ঘটনার প্রতিবাদ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ায় সচেতন তরুণদের প্রশংসাও করে বার্মা কমিটি।
No comments