দুই পর্বেই বিশ্ব ইজতেমা-আখেরি মোনাজাত প্রথম পর্বে by সেলিম জাহিদ
দুই পর্বে ছয় দিনে বিশ্ব ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত পাল্টাচ্ছে না তাবলিগ জামাত। আগামী ২১ থেকে ২৩ ও ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত হবে এবারের ইজতেমা। তবে ইজতেমার মূল পর্ব হবে প্রথম তিন দিন। বিশ্ব ইজতেমার প্রধান অনুষঙ্গ 'আখেরি মোনাজাত' হবে ২৩ জানুয়ারি।
তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার একজন সদস্য গত রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইজতেমা মাঠে মুসলি্লদের জায়গা না হওয়া এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মুসল্লিদের দুর্ভোগের কথা ভেবে গত বছরই তাবলিগ জামাত কর্তৃপক্ষ এ বছর থেকে দুই পর্বে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল এক পর্বেই বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করার। কারণ তিন দিনের ইজতেমায় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে ইজতেমা ছয় দিন হলে নিরাপত্তার বিষয়টি ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দিয়ে এক পর্বে ইজতেমা শেষ করতে তাবলিগ জামাতকে অনুরোধ জানানো হয়। তা না হলে ইজতেমায় যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
তিন দিনে ইজতেমা আয়োজনের সমস্যা তুলে ধরে তাবলিগের একজন মুরুব্বি বলেন, অজু, গোসল, প্রাকৃতিক কর্ম, খাওয়াদাওয়া, হাঁটাচলায় সীমাহীন দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে অনেক মুসল্লির মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পর তাবলিগ জামাতের ১৫ সদস্যের মজলিসে শুরা জরুরি বৈঠকে বসে। কিন্তু তারা দুই পর্বেই ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এ বিষয়ে তাবলিগের একজন মুরুব্বি জানান, গত বছর ইজতেমা মাঠে বসেই তাবলিগ জামাতের পাঁচ মহাদেশের আমির, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বিরা দুই পর্বে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেন। এখন সিদ্ধান্ত বদলাতে হলে আবার সবাইকে একসঙ্গে বসতে হবে।
এদিকে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও সরকারের অনুরোধের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সার্বিক কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি ইজতেমার প্রথম তিন দিনই হবে মূল পর্ব। এ পর্বে বিদেশি জামাতসহ বৃহত্তর ঢাকা জেলা ও বাছাই করা জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। তবে প্রথম পর্বের আলোচকরা শেষ পর্বেও আলোচনা করবেন। ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আকারে ছোট হবে। এতে বাকি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। এ পর্বের শেষ দিনেও বিশেষ মোনাজাত হবে। গত বছর বিশ্বের ৮০টি দেশ থেকে প্রায় ২৫ হাজার মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নেন।
তাবলিগ জামাতের মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ নাছিম। গত রবিবার কাকরাইলে তাবলিগ জামাতের সদর দপ্তরে এক প্রশ্নের জবাবে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা সরকারের অনুরোধকে বাদ দিচ্ছি না। ইজতেমা দুই পর্বেই হবে, তবে আকারে ছোট-বড় করা হবে।'
জানা গেছে, প্রথম পর্বকে মূল পর্ব ধরেই কর্তৃপক্ষ নতুন করে জেলার ম্যাপ বানাচ্ছে। সে লক্ষ্যে শুরার সদস্যরা বিভিন্ন জেলা সফর করছেন। দুই পর্বে অংশগ্রহণকারী জেলাগুলোকে শিগগিরই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। দুই পর্বে ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী জেলার তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ নাছিম বলেন, 'এসব বিষয়ে গণমাধ্যমকে কিছু না বলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।'
ইজতেমা মাঠে মুসলি্লদের জায়গা না হওয়া এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মুসল্লিদের দুর্ভোগের কথা ভেবে গত বছরই তাবলিগ জামাত কর্তৃপক্ষ এ বছর থেকে দুই পর্বে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল এক পর্বেই বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করার। কারণ তিন দিনের ইজতেমায় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে ইজতেমা ছয় দিন হলে নিরাপত্তার বিষয়টি ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দিয়ে এক পর্বে ইজতেমা শেষ করতে তাবলিগ জামাতকে অনুরোধ জানানো হয়। তা না হলে ইজতেমায় যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
তিন দিনে ইজতেমা আয়োজনের সমস্যা তুলে ধরে তাবলিগের একজন মুরুব্বি বলেন, অজু, গোসল, প্রাকৃতিক কর্ম, খাওয়াদাওয়া, হাঁটাচলায় সীমাহীন দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে অনেক মুসল্লির মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পর তাবলিগ জামাতের ১৫ সদস্যের মজলিসে শুরা জরুরি বৈঠকে বসে। কিন্তু তারা দুই পর্বেই ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এ বিষয়ে তাবলিগের একজন মুরুব্বি জানান, গত বছর ইজতেমা মাঠে বসেই তাবলিগ জামাতের পাঁচ মহাদেশের আমির, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বিরা দুই পর্বে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেন। এখন সিদ্ধান্ত বদলাতে হলে আবার সবাইকে একসঙ্গে বসতে হবে।
এদিকে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও সরকারের অনুরোধের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সার্বিক কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি ইজতেমার প্রথম তিন দিনই হবে মূল পর্ব। এ পর্বে বিদেশি জামাতসহ বৃহত্তর ঢাকা জেলা ও বাছাই করা জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। তবে প্রথম পর্বের আলোচকরা শেষ পর্বেও আলোচনা করবেন। ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আকারে ছোট হবে। এতে বাকি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। এ পর্বের শেষ দিনেও বিশেষ মোনাজাত হবে। গত বছর বিশ্বের ৮০টি দেশ থেকে প্রায় ২৫ হাজার মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নেন।
তাবলিগ জামাতের মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ নাছিম। গত রবিবার কাকরাইলে তাবলিগ জামাতের সদর দপ্তরে এক প্রশ্নের জবাবে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা সরকারের অনুরোধকে বাদ দিচ্ছি না। ইজতেমা দুই পর্বেই হবে, তবে আকারে ছোট-বড় করা হবে।'
জানা গেছে, প্রথম পর্বকে মূল পর্ব ধরেই কর্তৃপক্ষ নতুন করে জেলার ম্যাপ বানাচ্ছে। সে লক্ষ্যে শুরার সদস্যরা বিভিন্ন জেলা সফর করছেন। দুই পর্বে অংশগ্রহণকারী জেলাগুলোকে শিগগিরই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। দুই পর্বে ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী জেলার তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ নাছিম বলেন, 'এসব বিষয়ে গণমাধ্যমকে কিছু না বলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।'
No comments