চট্টগ্রামে জলবায়ু তহবিল প্রকল্প-ছাত্রলীগের বাধায় ৫ কোটি টাকার টেন্ডার ভণ্ডুল
চট্টগ্রাম নগরে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিলের একটি প্রকল্পের টেন্ডারে কেউ
অংশ নিতে পারেননি। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ছিল টেন্ডার জমা
দেয়ার শেষ সময়।
পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর এলাকায় বন
গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঁচ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের টেন্ডার বাক্সের কাছেও
কোনো ঠিকাদার ঘেঁষতে পারেননি। স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দুই
গ্র“পের মধ্যে উত্তেজনা এবং বাধায় টেন্ডার জমা দেয়া সম্ভব হয়নি বলে
অভিযোগ রয়েছে। গতকাল এ সময় বিবদমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ঘটে বলে জানা গেছে।
এ দিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কায় সকাল ৮টা থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হলে কার্যালয়ের ভেতর কিছু হয়নি। ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা বলেন, বাইরে কিছুটা উত্তেজনা ছিল। টেন্ডার বাক্স যে ছিনতাই হয়নি, সেটাই বড় কথা।
ঘটনাস্থল পরিদর্র্শনকারী পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন নয়া দিগন্তকে বলেন, বন গবেষণাগারের সামনে অনেক লোকজন জমায়েত হয়েছিল। কিছুটা উত্তেজনা ছিল। তবে মারামারি কিংবা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়নি। টেন্ডার জমা দেয়ার জন্য কাউকে আসতে আমি দেখিনি।
জানা গেছে, দেশের নিচু অঞ্চলের লোকজনের বাড়িঘর বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে সিমেন্ট বন্ডেড পার্টিকেল বোর্ড কারখানা নির্মাণসংক্রান্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২০১১-২০১২ অর্থবছরে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠায় বন গবেষণা ইনস্টিটিউট। মোট পাঁচ ধাপে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয় চার কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
২০১২ সালের ফেব্র“য়ারিতে জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ডের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়। জুন মাসে ওই ফান্ড থেকে মন্ত্রণালয় চার লাখ ১৫ হাজার টাকা ছাড় করে। এর মধ্যে নগরীর কালুরঘাটে বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের জায়গায় কারখানা স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ওই জায়গায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানার ঘর নির্মাণের জন্য প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের টেন্ডার আহ্বান করা হয় গত অক্টোবরে। অভিযোগ রয়েছে, সেই সময়ও টেন্ডার জমাদানের শেষ দিনে খুব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা। কিন্তু এরপরও চারটি টেন্ডার জমা পড়েছিল। কিন্তু টেন্ডারে যিনি সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছিলেন, তার ব্যাংক গ্যারান্টি নিয়ে জটিলতায় ওই টেন্ডারটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর ডিসেম্বরে আবারো টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফা টেন্ডারে ছাত্রলীগের বাধায় কেউ তাতে অংশ নিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, সকাল ৮টা থেকে টেন্ডার বাক্স বন গবেষণা কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডের নিচে রাখা হয়। কিন্তু সকাল থেকে কেউই টেন্ডার জমা দিতে আসেননি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আস্তে আস্তে স্থানীয় ছাত্রলীগের আনোয়ার গ্র“প ও মাসুম গ্র“পের ৩৫ থেকে ৪০ জন তরুণ লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় গ্র“প মুখোমুখি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কিছুণ চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এর মধ্যে কয়েকজন ফাইলপত্র নিয়ে টেন্ডার জমাদানের জন্য এলেও ছাত্রলীগ নামধারীরা তাদের ধাওয়া করে। বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পুরো কার্যালয়ে এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। টেন্ডার জমাদানকারীদের বাধা দেয়ার খবর শুনে প্রকল্প পরিচালক ড. খুরশীদা আক্তার কার্যালয়ের প্রবেশপথে যান। তিনি পুলিশকে দ্রুত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলে পুলিশের হস্তেেপ এ সময় ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের লোকজন সরে যায়। কিন্তু ততণে দুপুর সাড়ে ১২টা গড়িয়ে যায়। আর টেন্ডার জমাদানকারীরাও আশপাশে কেউ ছিলেন না। এর ফলে বাক্সটি কার্যত টেন্ডারশূন্য অবস্থায় বন গবেষণাগারের অডিটোরিয়ামে নিয়ে নিয়মমাফিক খোলা হয়।
এ দিকে ভেতরে টেন্ডার জমা দিতে কোনো সমস্যা ছিল না উল্লেখ করে সিমেন্ট বন্ডেড পার্টিকেল বোর্ড নির্মাণসংক্রান্ত প্রকল্পটির পরিচালক ও বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. খুরশীদা আক্তার বলেন, শুনেছি বাইরে সমস্যার কারণে কেউ টেন্ডার জমা দিতে আসতে পারেননি। এ জন্য একটি টেন্ডারও জমা পড়েনি। এখন আমাদের আবারো টেন্ডার আহ্বান করতে হবে।
এ দিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কায় সকাল ৮টা থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হলে কার্যালয়ের ভেতর কিছু হয়নি। ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা বলেন, বাইরে কিছুটা উত্তেজনা ছিল। টেন্ডার বাক্স যে ছিনতাই হয়নি, সেটাই বড় কথা।
ঘটনাস্থল পরিদর্র্শনকারী পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন নয়া দিগন্তকে বলেন, বন গবেষণাগারের সামনে অনেক লোকজন জমায়েত হয়েছিল। কিছুটা উত্তেজনা ছিল। তবে মারামারি কিংবা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়নি। টেন্ডার জমা দেয়ার জন্য কাউকে আসতে আমি দেখিনি।
জানা গেছে, দেশের নিচু অঞ্চলের লোকজনের বাড়িঘর বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে সিমেন্ট বন্ডেড পার্টিকেল বোর্ড কারখানা নির্মাণসংক্রান্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২০১১-২০১২ অর্থবছরে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠায় বন গবেষণা ইনস্টিটিউট। মোট পাঁচ ধাপে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয় চার কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
২০১২ সালের ফেব্র“য়ারিতে জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ডের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়। জুন মাসে ওই ফান্ড থেকে মন্ত্রণালয় চার লাখ ১৫ হাজার টাকা ছাড় করে। এর মধ্যে নগরীর কালুরঘাটে বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের জায়গায় কারখানা স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ওই জায়গায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানার ঘর নির্মাণের জন্য প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের টেন্ডার আহ্বান করা হয় গত অক্টোবরে। অভিযোগ রয়েছে, সেই সময়ও টেন্ডার জমাদানের শেষ দিনে খুব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা। কিন্তু এরপরও চারটি টেন্ডার জমা পড়েছিল। কিন্তু টেন্ডারে যিনি সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছিলেন, তার ব্যাংক গ্যারান্টি নিয়ে জটিলতায় ওই টেন্ডারটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর ডিসেম্বরে আবারো টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফা টেন্ডারে ছাত্রলীগের বাধায় কেউ তাতে অংশ নিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, সকাল ৮টা থেকে টেন্ডার বাক্স বন গবেষণা কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডের নিচে রাখা হয়। কিন্তু সকাল থেকে কেউই টেন্ডার জমা দিতে আসেননি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আস্তে আস্তে স্থানীয় ছাত্রলীগের আনোয়ার গ্র“প ও মাসুম গ্র“পের ৩৫ থেকে ৪০ জন তরুণ লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় গ্র“প মুখোমুখি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কিছুণ চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এর মধ্যে কয়েকজন ফাইলপত্র নিয়ে টেন্ডার জমাদানের জন্য এলেও ছাত্রলীগ নামধারীরা তাদের ধাওয়া করে। বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পুরো কার্যালয়ে এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। টেন্ডার জমাদানকারীদের বাধা দেয়ার খবর শুনে প্রকল্প পরিচালক ড. খুরশীদা আক্তার কার্যালয়ের প্রবেশপথে যান। তিনি পুলিশকে দ্রুত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলে পুলিশের হস্তেেপ এ সময় ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের লোকজন সরে যায়। কিন্তু ততণে দুপুর সাড়ে ১২টা গড়িয়ে যায়। আর টেন্ডার জমাদানকারীরাও আশপাশে কেউ ছিলেন না। এর ফলে বাক্সটি কার্যত টেন্ডারশূন্য অবস্থায় বন গবেষণাগারের অডিটোরিয়ামে নিয়ে নিয়মমাফিক খোলা হয়।
এ দিকে ভেতরে টেন্ডার জমা দিতে কোনো সমস্যা ছিল না উল্লেখ করে সিমেন্ট বন্ডেড পার্টিকেল বোর্ড নির্মাণসংক্রান্ত প্রকল্পটির পরিচালক ও বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. খুরশীদা আক্তার বলেন, শুনেছি বাইরে সমস্যার কারণে কেউ টেন্ডার জমা দিতে আসতে পারেননি। এ জন্য একটি টেন্ডারও জমা পড়েনি। এখন আমাদের আবারো টেন্ডার আহ্বান করতে হবে।
No comments