দুবাইয়ের হাবিবুরের মাধ্যমে টাকা পাচার করেন কোকো-সিঙ্গাপুরে ব্যবসা করাই ছিল লক্ষ্য by মেহেদী হাসান
দুবাইয়ের মো. হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে টাকা পাচার করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। আর সিঙ্গাপুরে সেই অর্থ নিজের অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন সে দেশের নাগরিক ও কোকোর সহযোগী লিম সিও চেং (৬৩)।
লিম সিওর বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরের আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, কোকোর পাচার করা প্রায় ২২ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা (৩১ লাখ ৭১ হাজার ডলার) নিজের ব্যাংক হিসাবে রাখা এবং এ বিষয়ে দুর্নীতি তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে না জানানোর অপরাধে সিঙ্গাপুরের আদালত গত সোমবার লিম সিও চেংকে ছয় লাখ ৩০ হাজার টাকা (৯ হাজার ডলার) জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে চ্যানেল নিউজএশিয়ার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাফাত রহমান কোকো সিঙ্গাপুরে ব্যবসা খুলতে আগ্রহী ছিলেন। হেনরি নুন সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী লিম সিও চেংয়ের সঙ্গে কোকোর সাক্ষাৎ হয় ২০০৪ সালে। তাঁদের ওই সাক্ষাতেই ঠিক হয়েছিল সিঙ্গাপুরে কোকোর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম হবে জাস ট্রেডিং অ্যান্ড কনসালটিং।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০০৪ সালের মে মাসে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে জাসের কার্যক্রম শুরু হয়। ওই মাসের শেষদিকে ইউনাইটেড ওভারসিস ব্যাংকে (ইউওবি) জাস ট্রেডিংয়ের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। পরিচালনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয় কোকো ও লিম সিও চেংয়ের নাম। তবে ২০০৫ সালের ৬ মে পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টে উল্লেখযোগ্য কোনো লেনদেন হয়নি। কিন্তু এরপর দুই বারে সাত কোটি টাকারও বেশি (১০ লাখ ডলারেরও বেশি) অর্থ জমা করা হয় ওই অ্যাকাউন্টে। কম্পানির নমিনি ডিরেক্টর ও শেয়ারহোল্ডার থাকার পাশাপাশি সাচিবিক দায়িত্ব পালনের জন্য লিম সিও চেং প্রতি মাসে ১০০ সিঙ্গাপুরি ডলার নিতেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
লিম সিও চেং আদালতকে বলেন, পরবর্তী সময়ে কোকো ফেয়ারহিল কনসালটিং নামে আরেকটি কম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ফেয়ারহিল কনসালটিং ও জাস ট্রেডিংয়ের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কারা টাকা জমা দিত, তা জানেন না বলে দাবি করেন লিম।
চ্যানেল নিউজএশিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, কোকোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ফেয়ারহিল কনসালটিংয়ের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একমাত্র পরিচালনাকারী ছিলেন লিম। ২০০৫ সালের মতো ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসেও কোকোর অর্থে পরিচালিত সিঙ্গাপুরের দুটি অ্যাকাউন্টে তিন লাখেরও বেশি সিঙ্গাপুরি ডলার জমা হয়। কোকোর পক্ষে দুবাই থেকে মো. হাবিবুর রহমান ওই অর্থ পাঠান। লিম দাবি করেছেন, মো. হাবিবুর রহমানকে তিনি চেনেন না।
২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমস্যার কথা জানিয়ে কোকো টেলিফোনে লিমকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দুটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই দুই অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত টাকা তুলে সাময়িকভাবে অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে জমা করারও নির্দেশ দেন তিনি।
লিম সিও চেং কোকোর নির্দেশ মেনে ২০০৭ সালে ফরাসি ব্যাংক ক্রেডিট ইন্ডাস্ট্রিয়েলেত কমার্সিয়েলে নিজের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ৩০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার জমা দেন।
প্রসঙ্গত, কোকো বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। শর্তভঙ্গের অভিযোগে তাঁর প্যারোল বাতিল করা হয়েছে। তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে অর্থ পাচার মামলার বিচার কাজ চলছে।
প্রসঙ্গত, কোকোর পাচার করা প্রায় ২২ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা (৩১ লাখ ৭১ হাজার ডলার) নিজের ব্যাংক হিসাবে রাখা এবং এ বিষয়ে দুর্নীতি তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে না জানানোর অপরাধে সিঙ্গাপুরের আদালত গত সোমবার লিম সিও চেংকে ছয় লাখ ৩০ হাজার টাকা (৯ হাজার ডলার) জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে চ্যানেল নিউজএশিয়ার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাফাত রহমান কোকো সিঙ্গাপুরে ব্যবসা খুলতে আগ্রহী ছিলেন। হেনরি নুন সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী লিম সিও চেংয়ের সঙ্গে কোকোর সাক্ষাৎ হয় ২০০৪ সালে। তাঁদের ওই সাক্ষাতেই ঠিক হয়েছিল সিঙ্গাপুরে কোকোর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম হবে জাস ট্রেডিং অ্যান্ড কনসালটিং।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০০৪ সালের মে মাসে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে জাসের কার্যক্রম শুরু হয়। ওই মাসের শেষদিকে ইউনাইটেড ওভারসিস ব্যাংকে (ইউওবি) জাস ট্রেডিংয়ের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। পরিচালনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয় কোকো ও লিম সিও চেংয়ের নাম। তবে ২০০৫ সালের ৬ মে পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টে উল্লেখযোগ্য কোনো লেনদেন হয়নি। কিন্তু এরপর দুই বারে সাত কোটি টাকারও বেশি (১০ লাখ ডলারেরও বেশি) অর্থ জমা করা হয় ওই অ্যাকাউন্টে। কম্পানির নমিনি ডিরেক্টর ও শেয়ারহোল্ডার থাকার পাশাপাশি সাচিবিক দায়িত্ব পালনের জন্য লিম সিও চেং প্রতি মাসে ১০০ সিঙ্গাপুরি ডলার নিতেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
লিম সিও চেং আদালতকে বলেন, পরবর্তী সময়ে কোকো ফেয়ারহিল কনসালটিং নামে আরেকটি কম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ফেয়ারহিল কনসালটিং ও জাস ট্রেডিংয়ের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কারা টাকা জমা দিত, তা জানেন না বলে দাবি করেন লিম।
চ্যানেল নিউজএশিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, কোকোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ফেয়ারহিল কনসালটিংয়ের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একমাত্র পরিচালনাকারী ছিলেন লিম। ২০০৫ সালের মতো ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসেও কোকোর অর্থে পরিচালিত সিঙ্গাপুরের দুটি অ্যাকাউন্টে তিন লাখেরও বেশি সিঙ্গাপুরি ডলার জমা হয়। কোকোর পক্ষে দুবাই থেকে মো. হাবিবুর রহমান ওই অর্থ পাঠান। লিম দাবি করেছেন, মো. হাবিবুর রহমানকে তিনি চেনেন না।
২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমস্যার কথা জানিয়ে কোকো টেলিফোনে লিমকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দুটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই দুই অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত টাকা তুলে সাময়িকভাবে অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে জমা করারও নির্দেশ দেন তিনি।
লিম সিও চেং কোকোর নির্দেশ মেনে ২০০৭ সালে ফরাসি ব্যাংক ক্রেডিট ইন্ডাস্ট্রিয়েলেত কমার্সিয়েলে নিজের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ৩০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার জমা দেন।
প্রসঙ্গত, কোকো বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। শর্তভঙ্গের অভিযোগে তাঁর প্যারোল বাতিল করা হয়েছে। তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে অর্থ পাচার মামলার বিচার কাজ চলছে।
No comments