জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিক্রিয়া সাধারণ মানুষের জীবন এখন দুর্বিষহ
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর সাধারণ মানুষের জীবন এখন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির কারণে চাল, তেল, সবজিসহ প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।
এর মধ্যে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অবশ্য তেলের দাম বাড়ানোর সাথে সাথেই মহানগরীর পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও গণপরিবহনে যেভাবে ভাড়া বাড়ছে সেভাবে মানুষের আয় বাড়েনি। এর মধ্যে আবার নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর বাড়বে বাড়িভাড়া। এই বাড়তি বাড়িভাড়া শহরে বসবাসকারী মানুষের জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তুলবে।
সরকারিভাবে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়, তখন বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়েছিলÑ সরকার একটি অপরিণামদর্শী ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মূল্য সমন্বয় ও ভর্তুকি কমানোর জন্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের বক্তব্য ছিল অসত্য। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়েনি, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আর জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত ও দুর্নীতির কারণে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদেরা বিদ্যুতের ব্যবসায়ের জন্য এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেন। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে ভর্তুকি মূল্যে বিপুল জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে হয়। আবার এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকারকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হয়। দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের অর্থ আত্মসাতের একটি বড় ব্যবসায় হচ্ছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতির বোঝা এখন ভর্তুকি কমানোর নামে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ধরনের গণবিরোধী নীতি একটি নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে জনগণ আশা করে না। কার্যত জ্বালানি খাতের দুর্নীতির বোঝা বহন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে। খাদ্যপণ্য থেকে বাড়িভাড়া ও পরিবহনভাড়াসহ প্রতিটি খাতে যেভাবে ব্যয় বাড়ছে, তাতে মানুষকে শেষ পর্যন্ত সব কিছুতেই ব্যয় সঙ্কোচন করতে হচ্ছে। এর প্রথম প্রভাব পড়ছে, মানুষের খাবারের মান কমে যাচ্ছে। খাবার তালিকা ছোট করতে হচ্ছে। অনেক পরিবার শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিতে পারছেন না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি একটি পুষ্টিহীন জাতি তৈরি করছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সাথে এগুলো চেইন রিঅ্যাকশন হিসেবে মানুষের জীবনযাপনের ওপর প্রভাব ফেলছে। আমরা আশা করব, সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয় পুনর্বিবেচনা করবে। নতুন করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে না।
এর মধ্যে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অবশ্য তেলের দাম বাড়ানোর সাথে সাথেই মহানগরীর পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও গণপরিবহনে যেভাবে ভাড়া বাড়ছে সেভাবে মানুষের আয় বাড়েনি। এর মধ্যে আবার নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর বাড়বে বাড়িভাড়া। এই বাড়তি বাড়িভাড়া শহরে বসবাসকারী মানুষের জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তুলবে।
সরকারিভাবে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়, তখন বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়েছিলÑ সরকার একটি অপরিণামদর্শী ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মূল্য সমন্বয় ও ভর্তুকি কমানোর জন্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের বক্তব্য ছিল অসত্য। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়েনি, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আর জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত ও দুর্নীতির কারণে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদেরা বিদ্যুতের ব্যবসায়ের জন্য এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেন। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে ভর্তুকি মূল্যে বিপুল জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে হয়। আবার এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকারকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হয়। দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের অর্থ আত্মসাতের একটি বড় ব্যবসায় হচ্ছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতির বোঝা এখন ভর্তুকি কমানোর নামে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ধরনের গণবিরোধী নীতি একটি নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে জনগণ আশা করে না। কার্যত জ্বালানি খাতের দুর্নীতির বোঝা বহন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে। খাদ্যপণ্য থেকে বাড়িভাড়া ও পরিবহনভাড়াসহ প্রতিটি খাতে যেভাবে ব্যয় বাড়ছে, তাতে মানুষকে শেষ পর্যন্ত সব কিছুতেই ব্যয় সঙ্কোচন করতে হচ্ছে। এর প্রথম প্রভাব পড়ছে, মানুষের খাবারের মান কমে যাচ্ছে। খাবার তালিকা ছোট করতে হচ্ছে। অনেক পরিবার শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিতে পারছেন না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি একটি পুষ্টিহীন জাতি তৈরি করছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সাথে এগুলো চেইন রিঅ্যাকশন হিসেবে মানুষের জীবনযাপনের ওপর প্রভাব ফেলছে। আমরা আশা করব, সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয় পুনর্বিবেচনা করবে। নতুন করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে না।
No comments