আইভরি কোস্ট সংকট-আলোচনায় বসতে রাজি বাগবো
আইভরি কোস্ট সংকটের 'শান্তিপূর্ণ' সমাধানের লক্ষ্যে নিঃশর্ত আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন লরাঁ বাগবো। পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট ইকোয়াস কমিশনের চেয়ারম্যান ভিক্টর বেহো গতকাল জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী নেতা আলাসান ওয়াতারার অস্থায়ী সদর দপ্তরের চারপাশ থেকে অবরোধ তুলে নিতেও রাজি হয়েছেন বাগবো। তবে গতকাল পর্যন্ত ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত তিনি দেননি।
আফ্রিকান ইউনিয়নের চারজন প্রতিনিধি গতকাল আবারও বাগবো ও ওয়াতারার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওয়াতারা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আইভরি কোস্টের নির্বাচনের ফলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ ফল মেনে নেওয়ার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বাগবোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে তাঁর আপত্তি নেই।
গত নির্বাচনে জয়ী ওয়াতারা বর্তমানে রাজধানী আবিদজানের হোটেল দু গলফে অবস্থান করছেন। বাগবোর সমর্থকরা হোটেলটি ঘিরে রাখলেও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা ওয়াতারার নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করছেন।
এর আগে প্রথম দফা আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসতে গত সোমবার আবিদজানে পেঁৗছান বেনিনের প্রেসিডেন্ট বনি ইয়ায়ি, সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্তো বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পিরে। তাঁদের সঙ্গে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসেবে এবার যোগ দেন কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওদিঙ্গা। সোম ও মঙ্গলবার তাঁরা বাগবোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে বাগবোর ওপর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং তাঁর আর্থিক সম্পদের নিশ্চয়তা দেওয়ারও আশ্বাস দেন তাঁরা। তবে তাঁদের আশ্বাসে তখন ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হননি বাগবো। বাগবোর পর ওয়াতারার সঙ্গে বৈঠক করেন আফ্রিকান নেতারা।
পরে নাইজেরিয়ার আবুজায় ফিরে ইকোয়াস কমিশনের চেয়ারম্যান ভিক্টর বেহোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন চার নেতা। বৈঠক শেষে বেহো ঘোষণা দেন, বাগবো আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। সেই সঙ্গে হোটেল দু গলফের চারপাশ থেকে অবরোধ তুলে নিতে রাজি হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আলাসান ওয়াতারাও তাঁর আগের অবস্থান থেকে সরে এসে বাগবোর সঙ্গে বসার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। নির্বাচনের ফল মেনে নিলে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাগবোর সম্মানজনক প্রস্থান নিশ্চিত করতেও তিনি রাজি হয়েছেন।
কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওদিঙ্গা সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা বাগবোকে বুঝিয়েছি যে নির্বাচনের এই ফলের পর ক্ষমতা ভাগাভাগির কোনো সুযোগ নেই। আর তা করতে গেলে গণতন্ত্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'
বাগবোকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র
স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়লে বাগবোর জন্য সম্মানজনক প্রস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে তাঁর আত্মীয়স্বজন আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা চাই তিনি ক্ষমতা ছাড়ুন। তিনি যদি আমেরিকায় আসতে চান তবে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের স্বার্থেই আমরা সে ব্যবস্থা করব। তবে তা শিগগির হতে হবে। কারণ পরিস্থিতি যেভাবে বদলাচ্ছে, তাতে এ সুযোগ বেশি দিন নাও থাকতে পারে।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
গত নির্বাচনে জয়ী ওয়াতারা বর্তমানে রাজধানী আবিদজানের হোটেল দু গলফে অবস্থান করছেন। বাগবোর সমর্থকরা হোটেলটি ঘিরে রাখলেও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা ওয়াতারার নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করছেন।
এর আগে প্রথম দফা আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসতে গত সোমবার আবিদজানে পেঁৗছান বেনিনের প্রেসিডেন্ট বনি ইয়ায়ি, সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্তো বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পিরে। তাঁদের সঙ্গে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসেবে এবার যোগ দেন কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওদিঙ্গা। সোম ও মঙ্গলবার তাঁরা বাগবোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে বাগবোর ওপর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং তাঁর আর্থিক সম্পদের নিশ্চয়তা দেওয়ারও আশ্বাস দেন তাঁরা। তবে তাঁদের আশ্বাসে তখন ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হননি বাগবো। বাগবোর পর ওয়াতারার সঙ্গে বৈঠক করেন আফ্রিকান নেতারা।
পরে নাইজেরিয়ার আবুজায় ফিরে ইকোয়াস কমিশনের চেয়ারম্যান ভিক্টর বেহোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন চার নেতা। বৈঠক শেষে বেহো ঘোষণা দেন, বাগবো আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। সেই সঙ্গে হোটেল দু গলফের চারপাশ থেকে অবরোধ তুলে নিতে রাজি হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আলাসান ওয়াতারাও তাঁর আগের অবস্থান থেকে সরে এসে বাগবোর সঙ্গে বসার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। নির্বাচনের ফল মেনে নিলে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাগবোর সম্মানজনক প্রস্থান নিশ্চিত করতেও তিনি রাজি হয়েছেন।
কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওদিঙ্গা সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা বাগবোকে বুঝিয়েছি যে নির্বাচনের এই ফলের পর ক্ষমতা ভাগাভাগির কোনো সুযোগ নেই। আর তা করতে গেলে গণতন্ত্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'
বাগবোকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র
স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়লে বাগবোর জন্য সম্মানজনক প্রস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে তাঁর আত্মীয়স্বজন আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা চাই তিনি ক্ষমতা ছাড়ুন। তিনি যদি আমেরিকায় আসতে চান তবে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের স্বার্থেই আমরা সে ব্যবস্থা করব। তবে তা শিগগির হতে হবে। কারণ পরিস্থিতি যেভাবে বদলাচ্ছে, তাতে এ সুযোগ বেশি দিন নাও থাকতে পারে।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments