তৈরী পোশাকের বাজার সঙ্কোচনের আশঙ্কা- শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করাই সমাধান
দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরী পোশাক
রফতানি বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের
নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা, শ্রমমান বজায় না রাখা ও ট্রেড ইউনিয়নের
অধিকার হরণ করার কারণে বেশ কিছুদিন থেকে বিদেশী ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে
পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন।
এর
মধ্যে তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১১ জন শ্রমিকের মৃত্যুর পর
বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে হইচই শুরু হয়। বিখ্যাত সব ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে
পোশাক কেনার বিষয়টি নতুন করে বিবেচনার ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ তৈরী পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে যে বিশেষ শুল্কমুক্ত
সুবিধা (জিএসপি) পেয়ে আসছে তা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানানো
হয়েছে। এই বাতিলের কারণ হিসেবে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ মানসম্পন্ন না হওয়া
এবং শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামের প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে না
পারাকে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপীয় বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাত বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক প্রস্তাবে বাংলাদেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাক নেয়ার ব্যাপারেও তীক্ষè নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা, শ্রমিক ইউনিয়ন করার অধিকার দেয়া, গ্রহণযোগ্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ এবং শ্রমিকদের জন্য কল্যাণমূলক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করা হয়। এর আগে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ব্রাসেলস-ভিত্তিক ফরেন ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের তৈরী পোশাক কারখানার পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
জিএসপি সুবিধা বাতিলের প্রক্রিয়া, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাব এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিশ্বে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। ধীরে ধীরে হলেও এর প্রভাব তৈরী পোশাকের বাজারে পড়বে। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাক কেনার নীতি থেকে সরে আসতে পারে। ইতোমধ্যে তার আলামত দেখা যাচ্ছে। এর ফল হিসেবে রফতানি আয়েও বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এই অবস্থা অবসানের একটাই পথ হচ্ছে, তৈরী পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা। তাদের কর্মপরিবেশ উন্নত করা। একই সাথে শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং তাজরীন গার্মেন্টেসে অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া। না হলে তৈরী পোশাক খাতের বাজার সঙ্কোচনের এই বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না।
rinda;� � a c @� �o� amily:Vrinda’>হলেও তা একতরফা নাকি সবার অংশগ্রহণে হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। আর এই অনিশ্চয়তা যে অর্থনীতির ওপর বড় আকারের প্রভাব ফেলবে তাতে সন্দেহ নেই। জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সঙ্কট ও বিনিয়োগ-খরাকেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাধা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এর প্রতিটি সমস্যাই বাংলাদেশে তীব্রভাবে বিরাজমান। বাংলাদেশে সরকার নিয়ন্ত্রিত পণ্য ও সেবাগুলোর অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে অসহনীয় হয়ে পড়ছে মূল্যস্ফীতি। এতে স্থির আয়ের মানুষের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। দুর্দশা বাড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ-গ্যাস সমস্যার কোনো টেকসই সমাধান সরকার করতে পারছে না। এত দিন দুই টাকায় যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো, তা ১৮-২০ টাকায় পর্যন্ত কেনা হচ্ছে। এতে এক দিকে দুর্নীতি ও লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের জন্য; অন্য দিকে বিদ্যুতের দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় জনভোগান্তি আর পণ্য উৎপাদনের খরচ বাড়ছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। একই সাথে বিনিয়োগের ক্ষেত্রও হয়ে পড়ছে সঙ্কুচিত। এর মধ্যে রেমিট্যান্স অর্থনীতির গতি বজায় রাখতে যে ভূমিকা এত দিন রাখছিল, তা অব্যাহত থাকবে কি না, সেটা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
আমরা মনে করি, এ অবস্থায় রাজনৈতিক অস্থিরতার ঝুঁকি নেয়ার কোনো সুযোগ সরকারের নেই। আগামী নির্বাচন কবে কার অধীনে হবে তা এখনই নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে গ্যাস-বিদ্যুৎ অবকাঠামোর মতো অর্থনৈতিক বিকাশের চাবিকাঠিকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক দুর্নীতি ও ওপর মহলের পয়সা বানানোর হাতিয়ারে পরিণত করা উচিত হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপীয় বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাত বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক প্রস্তাবে বাংলাদেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাক নেয়ার ব্যাপারেও তীক্ষè নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা, শ্রমিক ইউনিয়ন করার অধিকার দেয়া, গ্রহণযোগ্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ এবং শ্রমিকদের জন্য কল্যাণমূলক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করা হয়। এর আগে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ব্রাসেলস-ভিত্তিক ফরেন ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের তৈরী পোশাক কারখানার পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
জিএসপি সুবিধা বাতিলের প্রক্রিয়া, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাব এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিশ্বে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। ধীরে ধীরে হলেও এর প্রভাব তৈরী পোশাকের বাজারে পড়বে। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাক কেনার নীতি থেকে সরে আসতে পারে। ইতোমধ্যে তার আলামত দেখা যাচ্ছে। এর ফল হিসেবে রফতানি আয়েও বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এই অবস্থা অবসানের একটাই পথ হচ্ছে, তৈরী পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা। তাদের কর্মপরিবেশ উন্নত করা। একই সাথে শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং তাজরীন গার্মেন্টেসে অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া। না হলে তৈরী পোশাক খাতের বাজার সঙ্কোচনের এই বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না।
rinda;� � a c @� �o� amily:Vrinda’>হলেও তা একতরফা নাকি সবার অংশগ্রহণে হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। আর এই অনিশ্চয়তা যে অর্থনীতির ওপর বড় আকারের প্রভাব ফেলবে তাতে সন্দেহ নেই। জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সঙ্কট ও বিনিয়োগ-খরাকেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাধা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এর প্রতিটি সমস্যাই বাংলাদেশে তীব্রভাবে বিরাজমান। বাংলাদেশে সরকার নিয়ন্ত্রিত পণ্য ও সেবাগুলোর অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে অসহনীয় হয়ে পড়ছে মূল্যস্ফীতি। এতে স্থির আয়ের মানুষের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। দুর্দশা বাড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ-গ্যাস সমস্যার কোনো টেকসই সমাধান সরকার করতে পারছে না। এত দিন দুই টাকায় যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো, তা ১৮-২০ টাকায় পর্যন্ত কেনা হচ্ছে। এতে এক দিকে দুর্নীতি ও লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের জন্য; অন্য দিকে বিদ্যুতের দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় জনভোগান্তি আর পণ্য উৎপাদনের খরচ বাড়ছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। একই সাথে বিনিয়োগের ক্ষেত্রও হয়ে পড়ছে সঙ্কুচিত। এর মধ্যে রেমিট্যান্স অর্থনীতির গতি বজায় রাখতে যে ভূমিকা এত দিন রাখছিল, তা অব্যাহত থাকবে কি না, সেটা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
আমরা মনে করি, এ অবস্থায় রাজনৈতিক অস্থিরতার ঝুঁকি নেয়ার কোনো সুযোগ সরকারের নেই। আগামী নির্বাচন কবে কার অধীনে হবে তা এখনই নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে গ্যাস-বিদ্যুৎ অবকাঠামোর মতো অর্থনৈতিক বিকাশের চাবিকাঠিকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক দুর্নীতি ও ওপর মহলের পয়সা বানানোর হাতিয়ারে পরিণত করা উচিত হবে না।
No comments