ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস জিতেই চলেছে
লড়াইটা ছিল দুই বন্ধু তামিম ও সাকিবের মধ্যেও! তাতে জয় সাকিবের। আসলে
কাউকে না কাউকে তো হারতে হবেই। তবে চ্যাম্পিয়নদের আটকাতে পারল না দুরন্ত
রাজশাহীও।
গতকাল খুলনা স্টেডিয়ামে অনেকটা সহজেই জয় পেল তারা ১৩ রানে। এ
নিয়ে টানা তিন ম্যাচেই জয় পেল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। শক্তিশালী এ দলের
বিরুদ্ধে যে লড়াইটা প্রয়োজন ছিল সেটা একমাত্র তামিম ছাড়া আর কেউই
পারেননি। যতক্ষণ তিনি ক্রিজে ছিলেন, মনে হচ্ছিল কিছু একটা হবে! কিন্তু
বন্ধু সাকিবের বলে হাফ সেঞ্চুরির পর আউট হওয়ার পর থেকেই ম্যাচে কর্তৃত্বে
চলে আসে ঢাকা। সে থেকে জিয়াউর রহমান ও অস্ট্রেলিয়ান সায়মন ক্যাটিচ
চেষ্টা করেছিলেন সাফল্যের মুখ দেখাতে কিন্তু হয়নি। শেষ দুই ওভারে জয়ের
জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৩ রানের। সাকিবের করা ১৯তম ওভার থেকে মাত্র ৭ রান
নিয়েই চাপে পড়ে যায়। শেষ ওভারে ২৮ রান। প্রায় অসম্ভব। তবুও টি-২০ তো
চার ছক্কারই খেলা। কী জানি! হতেও তো পারে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার
চমাসের ওই ওভারে সে সুযোগটা আর হয়নি। ফলে হেরে যায় অনায়াসে। ইনিংস
সূচনায় তামিম ৪১ বলে ৫৭ ও কভেন্ট্রি ২৪ বলে ১৬ করে কিছুটা প্রেসারে ফেলে
দিয়েছিলেন বিপক্ষ দলকে। তবে বল হাতে সাকিব ও লুক রাইট দারুণ করেছে। এদের
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেভাবে ব্যাটিংটা করা সম্ভব হয়নি তাদের। সাকিব ৪
ওভারে দিয়েছেন ১৮ রান। আর রাইট দিয়েছেন সমান ওভারে ২৮ রান। এতেই চাপে পরে
রাজশাহী, যা থেকে বের হতে আর পারেনি তারা।এর আগে প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে ইংলিশ ক্রিকেটার লুক রাইটের ৩৭ বলে ৫১, সাকিবের ২১ বলে ৩৭ রানের সুবাদে ১৫৬/৮ রান সংগ্রহ করেছিল ঢাকা। মঈন আলীর চমৎকার বোলিংয়ে এবার আর ২০০ প্লাস করা সম্ভবপর হয়নি তাদের। ম্যাচ জমে উঠবে বলেই ধারণা হয়েছিল এতে। কিন্তু রাজশাহীর দুর্বল ব্যাটিংয়ে সেটা আর সম্ভবপর না হলে জয় অব্যাহত রাখে মাশরাফি, আশরাফুল, সাকিবের ঢাকা। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন সাকিব।
উল্লেখ্য, এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে চিটাগাং কিংসকে হারিয়ে দিয়েছিল রংপুর রাইডার্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস : ১৫৬/৮ (২০ ওভার), লুক রাইট ৫১, সাকিব ৩৭, কব ১৬ অপ., এনামুল ১২, মঈন আলী ৩/১৯, মনির ২/২২।
দুরন্ত রাজশাহী : ১৪৩/৩ (২০ ওভার), তামিম ৫৭, ক্যাটিচ ৩৩ অপ., জিয়া ২৫ অপ., সাকিব ১/১৮, রুবেল ১/২০। ফল : ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ১৩ রানে জয়ী।
No comments