কুশল সংবাদ- শীতের সকালে হাঁটতে যেতে... by তানজিনা হোসেন
শীত পড়েছে। তাই বলে হাঁটতে যাওয়া যাবে না, তা তো নয়। একটু প্রস্তুতি নিলে প্রতিদিনের হাঁটা হবে। ঠান্ডা লাগবে না; যদিও শীতের প্রকটতা অনেক কমে এসেছে। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, স্থূলতা ও হূদেরাগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত হাঁটতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা আরও বেশি যত্নবান হবেন শীতে হাঁটার সময়।
এ বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো।
প্রতিদিন না হেঁটে সপ্তাহে মোট ১৫০ মিনিট, অর্থাৎ প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট করে অন্তত তিন দিন নিয়মিত হাঁটলে একই ধরনের উপকার পাওয়া যায়। শীতকালে তাই প্রতিদিন না বের হয়ে এক দিন অন্তর অন্তর হাঁটতে গেলেও চলে। যেদিন একটু বেশি ঠান্ডা পড়বে, সেদিন হাঁটা বাদ দেওয়া যেতে পারে।
শীতের দিনে ভোরবেলা ও সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ে। তাপমাত্রাও অন্য সময়ের তুলনায় বেশি কমে যায়। তাই শীতকালে হাঁটার সময় পরিবর্তন করে নেওয়াই ভালো। খুব ভোরে বা সন্ধ্যার পর বের না হয়ে বিকেলে একটু রোদ থাকতে অথবা সকাল ১০টা বা বেলা ১১টার দিকে হাঁটতে গেলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা কম।
যাঁদের ঠান্ডার ধাত আছে—যেমন কোল্ড অ্যালার্জি বা হাঁপানি—প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহে তাঁদের বের না হওয়াই ভালো।
শীতকালে হাঁটতে যাওয়ার সময় যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে বের হতে হবে। পায়ে উলের মোজা, মাথায় উলের টুপি, গলায় মাফলার ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিত। মাথায় যেন কুয়াশা বা শিশির পড়ে ভিজে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অনেক ভারী জ্যাকেট পরার চেয়ে দু-তিনটি মোটামুটি ভারী গেঞ্জি, উলের শার্ট, সোয়েটার, পুলওভার ইত্যাদি একের ওপর একটি পরে নিলে শরীর বেশি শীত প্রতিরোধ করতে পারে। কেননা, দু-তিনটি জামার মধ্যকার আটকে থাকা বাতাস তাপ পরিবহনে সাহায্য করে।
হাঁটতে বেরিয়ে প্রথমে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট জগিং বা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করে ওয়ার্মআপ বা শরীর গরম করে নিন। এতে শরীর পরবর্তী ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত হয় এবং মেটাবলিজম বেড়ে দেহে প্রয়োজনীয় তাপ উৎপন্ন হয়।
কোনো কারণে বুকে কফ, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দেখা দিলে হাঁটা বন্ধ রাখুন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং বিশ্রাম নিন।
লেখক: চিকিৎসক
এ বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো।
প্রতিদিন না হেঁটে সপ্তাহে মোট ১৫০ মিনিট, অর্থাৎ প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট করে অন্তত তিন দিন নিয়মিত হাঁটলে একই ধরনের উপকার পাওয়া যায়। শীতকালে তাই প্রতিদিন না বের হয়ে এক দিন অন্তর অন্তর হাঁটতে গেলেও চলে। যেদিন একটু বেশি ঠান্ডা পড়বে, সেদিন হাঁটা বাদ দেওয়া যেতে পারে।
শীতের দিনে ভোরবেলা ও সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ে। তাপমাত্রাও অন্য সময়ের তুলনায় বেশি কমে যায়। তাই শীতকালে হাঁটার সময় পরিবর্তন করে নেওয়াই ভালো। খুব ভোরে বা সন্ধ্যার পর বের না হয়ে বিকেলে একটু রোদ থাকতে অথবা সকাল ১০টা বা বেলা ১১টার দিকে হাঁটতে গেলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা কম।
যাঁদের ঠান্ডার ধাত আছে—যেমন কোল্ড অ্যালার্জি বা হাঁপানি—প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহে তাঁদের বের না হওয়াই ভালো।
শীতকালে হাঁটতে যাওয়ার সময় যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে বের হতে হবে। পায়ে উলের মোজা, মাথায় উলের টুপি, গলায় মাফলার ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিত। মাথায় যেন কুয়াশা বা শিশির পড়ে ভিজে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অনেক ভারী জ্যাকেট পরার চেয়ে দু-তিনটি মোটামুটি ভারী গেঞ্জি, উলের শার্ট, সোয়েটার, পুলওভার ইত্যাদি একের ওপর একটি পরে নিলে শরীর বেশি শীত প্রতিরোধ করতে পারে। কেননা, দু-তিনটি জামার মধ্যকার আটকে থাকা বাতাস তাপ পরিবহনে সাহায্য করে।
হাঁটতে বেরিয়ে প্রথমে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট জগিং বা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করে ওয়ার্মআপ বা শরীর গরম করে নিন। এতে শরীর পরবর্তী ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত হয় এবং মেটাবলিজম বেড়ে দেহে প্রয়োজনীয় তাপ উৎপন্ন হয়।
কোনো কারণে বুকে কফ, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দেখা দিলে হাঁটা বন্ধ রাখুন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং বিশ্রাম নিন।
লেখক: চিকিৎসক
No comments