মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর- মোটরসাইকেলে এনে দুই যুবককে গুলি করে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার সুদক্ষীরা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এঁদের পরিচয় মেলেনি। তাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হবে।
স্থানীয় ব্যক্তিদের দাবি অনুযায়ী, দুই মোটরসাইকেলে ছয় যুবক জনবসতিহীন ধলেশ্বরী নদীর তীরে ওই এলাকায় যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে চারজনকে মোটরসাইকেলে দ্রুত সাভারের দিকে চলে যেতে দেখা যায়। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে লোকজন গিয়ে দুজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এক যুবকের লাশ মাটির রাস্তার ওপর। আরেক যুবকের লাশ প্রায় পাঁচ গজ দূরে রাস্তার ঢালে পড়ে আছে। আশপাশের মাটি রক্তে ভেজা। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। এলাকার লোকজনও সেখানে জড়ো হয়।
নিহত যুবকদের দুজনের পরনেই ছিল জিনসের প্যান্ট। মুখে চাপ দাড়িওয়ালা যুবকের পরনে ছিল সাদা ছাপার শার্ট। তাঁর ডান হাতের দুই আঙুলে দুটি আংটি। অন্যজনের পরনে ছিল সাদা ফুল শার্ট। তার ওপর সবুজ রঙের হাফ হাতা গেঞ্জি। এর বয়স অন্যজনের চেয়ে কম বলে মনে হয়েছে।
ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত শহীদ রফিক সেতুর পশ্চিম তীরে সিঙ্গাইরের বিন্নাডাঙ্গী এলাকা। সেতু পার হলে হাতের বাঁ পাশের রাস্তায় আতাউল হকের চায়ের দোকান। এ দোকান থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে সিঙ্গাইরের জামির্তা ইউনিয়নের সুদক্ষীরা এলাকা।
চায়ের দোকানি আতাউল হক বলেন, বেলা তিনটার দিকে কালো ও লাল রঙের দুটি মোটরসাইকেলে করে ছয় যুবক সাভারের দিক থেকে এসে তাঁর দোকানের সামনে থামেন। আরোহীদের মধ্যে চাপ দাড়িওয়ালা একজন সঙ্গীদের বলেন, ‘ভাই, এখানে দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলেন। অন্য একজন বলেন, না, এখানে না, আরও সামনে গিয়ে বলি।’ এই বলে দুটি মোটরসাইকেল সুদক্ষীরার দিকে চলে যায়।
আতাউল বলেন, মিনিট বিশেক পর ওই দুটি মোটরসাইকেলে করে চার যুবককে তিনি ফিরে আসতে দেখেন। তাঁরা রফিক সেতুর পূর্ব দিকে দিয়ে সাভারের দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর লোকমুখে তিনি জানতে পারেন, সুদক্ষীরা এলাকায় দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গেলে দাড়িওয়ালা ওই যুবকের লাশ দেখতে পান। ঘটনাস্থলের পাশের গ্রাম বকচরের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, বেলা তিনটার দিকে গুলির শব্দ পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। তখন বিশাল বিলে জনা তিনেক কৃষক ছাড়া কেউ ছিলেন না। কৃষকদের কাছে তিনি শুনেছেন, ছয় যুবক প্রথমে মোটরসাইকেল থেকে নামেন। এরপর দুজনকে গুলি করে চারজন চলে যান।
সিঙ্গাইর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নির্মল চন্দ্র দেব বলেন, ‘নিহত এক যুবকের মাথায় দুটি, বুকে দুটি ও হাতের বাঁ তালুতে একটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। অপর যুবকের মাথা ও পেটে দুটি করে গুলি করা হয়েছে। ক্ষত দেখে মনে হচ্ছে, পিস্তল দিয়েই তাঁদের গুলি করা হয়েছে।’ ময়নাতদন্তের জন্য রাতে লাশ দুটি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
রাত সোয়া আটটার দিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী বলেন, নিহত ব্যক্তিদের একজনের কাছে সিমবিহীন একটি মুঠোফোন পাওয়া গেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই মুঠোফোনের মাধ্যমে নিহত ও খুনিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
সাভারে পাওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে: গত সোমবার রাতে সাভারের সলমাসি এলাকার ইটভাটা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত যুবকের নাম সুবীর চন্দ্র দাস (২১)। তিনি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
সুবীর সাভার উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজকর্মী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের ছেলে। সুবীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাঁর এক নারী সহপাঠী, তাঁর স্বামী শফিক আহমেদ এবং আরও দুই সহপাঠী ফয়সাল ও ইউসুফকে গ্রেপ্তার করেছে।
সুবীরের বাবা গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস অভিযোগ করেন, ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরেই সুবীর খুন হয়েছে। মেয়েটি ও তাঁর স্বামীসহ অন্যরা পরিকল্পিতভাবে সুবীরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে খুন করেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, সুবীর হত্যার বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। অন্যায়ভাবে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিশ ও সুবীরের পরিবার জানায়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শফিকের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়। সুবীরকে বিয়ের কথা জানানো হয় ১০ জানুয়ারি। ১২ জানুয়ারি নিখোঁজ হন সুবীর। ১৪ জানুয়ারি সাভার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর বাবা গৌরাঙ্গ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার থানার পরিদর্শক আমিনুর রহমান বলেন, সুবীরকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মুখমণ্ডলসহ তাঁর দেহের বিভিন্ন অংশ অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে প্রথমে লাশটি চেনা যায়নি। পরে নিহতের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র পাওয়া যায়।
ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর তাঁর স্বামী শফিক কৌশলে ডেকে নিয়ে সুবীরকে হত্যা করেন।
আরেকটি অজ্ঞাত লাশ: গতকাল সকাল ১০টার দিকে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির (৫৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এক যুবকের লাশ মাটির রাস্তার ওপর। আরেক যুবকের লাশ প্রায় পাঁচ গজ দূরে রাস্তার ঢালে পড়ে আছে। আশপাশের মাটি রক্তে ভেজা। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। এলাকার লোকজনও সেখানে জড়ো হয়।
নিহত যুবকদের দুজনের পরনেই ছিল জিনসের প্যান্ট। মুখে চাপ দাড়িওয়ালা যুবকের পরনে ছিল সাদা ছাপার শার্ট। তাঁর ডান হাতের দুই আঙুলে দুটি আংটি। অন্যজনের পরনে ছিল সাদা ফুল শার্ট। তার ওপর সবুজ রঙের হাফ হাতা গেঞ্জি। এর বয়স অন্যজনের চেয়ে কম বলে মনে হয়েছে।
ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত শহীদ রফিক সেতুর পশ্চিম তীরে সিঙ্গাইরের বিন্নাডাঙ্গী এলাকা। সেতু পার হলে হাতের বাঁ পাশের রাস্তায় আতাউল হকের চায়ের দোকান। এ দোকান থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে সিঙ্গাইরের জামির্তা ইউনিয়নের সুদক্ষীরা এলাকা।
চায়ের দোকানি আতাউল হক বলেন, বেলা তিনটার দিকে কালো ও লাল রঙের দুটি মোটরসাইকেলে করে ছয় যুবক সাভারের দিক থেকে এসে তাঁর দোকানের সামনে থামেন। আরোহীদের মধ্যে চাপ দাড়িওয়ালা একজন সঙ্গীদের বলেন, ‘ভাই, এখানে দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলেন। অন্য একজন বলেন, না, এখানে না, আরও সামনে গিয়ে বলি।’ এই বলে দুটি মোটরসাইকেল সুদক্ষীরার দিকে চলে যায়।
আতাউল বলেন, মিনিট বিশেক পর ওই দুটি মোটরসাইকেলে করে চার যুবককে তিনি ফিরে আসতে দেখেন। তাঁরা রফিক সেতুর পূর্ব দিকে দিয়ে সাভারের দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর লোকমুখে তিনি জানতে পারেন, সুদক্ষীরা এলাকায় দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গেলে দাড়িওয়ালা ওই যুবকের লাশ দেখতে পান। ঘটনাস্থলের পাশের গ্রাম বকচরের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, বেলা তিনটার দিকে গুলির শব্দ পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। তখন বিশাল বিলে জনা তিনেক কৃষক ছাড়া কেউ ছিলেন না। কৃষকদের কাছে তিনি শুনেছেন, ছয় যুবক প্রথমে মোটরসাইকেল থেকে নামেন। এরপর দুজনকে গুলি করে চারজন চলে যান।
সিঙ্গাইর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নির্মল চন্দ্র দেব বলেন, ‘নিহত এক যুবকের মাথায় দুটি, বুকে দুটি ও হাতের বাঁ তালুতে একটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। অপর যুবকের মাথা ও পেটে দুটি করে গুলি করা হয়েছে। ক্ষত দেখে মনে হচ্ছে, পিস্তল দিয়েই তাঁদের গুলি করা হয়েছে।’ ময়নাতদন্তের জন্য রাতে লাশ দুটি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
রাত সোয়া আটটার দিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী বলেন, নিহত ব্যক্তিদের একজনের কাছে সিমবিহীন একটি মুঠোফোন পাওয়া গেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই মুঠোফোনের মাধ্যমে নিহত ও খুনিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
সাভারে পাওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে: গত সোমবার রাতে সাভারের সলমাসি এলাকার ইটভাটা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত যুবকের নাম সুবীর চন্দ্র দাস (২১)। তিনি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
সুবীর সাভার উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজকর্মী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের ছেলে। সুবীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাঁর এক নারী সহপাঠী, তাঁর স্বামী শফিক আহমেদ এবং আরও দুই সহপাঠী ফয়সাল ও ইউসুফকে গ্রেপ্তার করেছে।
সুবীরের বাবা গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস অভিযোগ করেন, ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরেই সুবীর খুন হয়েছে। মেয়েটি ও তাঁর স্বামীসহ অন্যরা পরিকল্পিতভাবে সুবীরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে খুন করেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, সুবীর হত্যার বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। অন্যায়ভাবে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিশ ও সুবীরের পরিবার জানায়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শফিকের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়। সুবীরকে বিয়ের কথা জানানো হয় ১০ জানুয়ারি। ১২ জানুয়ারি নিখোঁজ হন সুবীর। ১৪ জানুয়ারি সাভার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর বাবা গৌরাঙ্গ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার থানার পরিদর্শক আমিনুর রহমান বলেন, সুবীরকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মুখমণ্ডলসহ তাঁর দেহের বিভিন্ন অংশ অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে প্রথমে লাশটি চেনা যায়নি। পরে নিহতের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র পাওয়া যায়।
ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর তাঁর স্বামী শফিক কৌশলে ডেকে নিয়ে সুবীরকে হত্যা করেন।
আরেকটি অজ্ঞাত লাশ: গতকাল সকাল ১০টার দিকে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির (৫৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
No comments