মানবতাবিরোধী অপরাধে সংশ্লিষ্টতা- সংকটে পড়তে পারে জামায়াত by তানভীর সোহেল
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের সঙ্গে গঠনতন্ত্রে অসামঞ্জস্যতার কারণে এমনিতেই সংকটে আছে জামায়াতে ইসলামী। এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের কারণে দলটি নতুন সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও নির্বাচন করার বৈধতার ওপর ট্রাইব্যুনালের রায় পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য আদালত জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে নির্বাচন কমিশনের হাতে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া প্রথম রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার জন্য জামায়াতকেও দায়ী করা হয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জামায়াতের নিবন্ধন থাকা ও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নির্বাচন কমিশন ও আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করতে হলে সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তিকে কমিশনের কাছে আপিল করতে হবে। আর সুপ্রিম কোর্ট যদি ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন, সে ক্ষেত্রে জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিশনের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে পারবে।
তাঁরা বলছেন, ভবিষ্যতে আপিল হলে এবং আপিল বিভাগ রায় বহাল রাখলে সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আইনগত বাধ্যবাধকতার মধ্যে চলে আসবে। তবে আপিল না হলেও ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়কে রেফারেন্স হিসেবে দেখা যাবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে জানান, রায়ের পুরো বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা এখনো অবগত নন। জামায়াতে ইসলামীকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী করে যদি কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়, সে ক্ষেত্রে তাঁরা যা করা দরকার করবেন। তবে কমিশন নিজ উদ্যোগে কিছু করবে না। রায়ের কপিও চাইবে না। কেউ আবেদন করলে কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ের পরই বলা যাবে না যে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। কেউ আবেদন করলে কমিশনকে তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট রায় দিলে তা আইনে পরিণত হবে। তখন ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। আপিল বিভাগ বহাল রাখলে তা বিবেচ্য হিসেবে নিতে হবে।
শাহদীন মালিক বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াতের জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে। জামায়াতের জন্য ভয়ের কারণ হলো, এ ধরনের আরও মামলা বিচারাধীন আছে। ট্রাইব্যুনাল যদি আরও কয়েকটি মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা পায় ও রায়ে তা উল্লেখ করে, তখন অনেকগুলো রেফারেন্স পাওয়া যাবে। এর একটিও যদি আপিল বিভাগে টিকে যায়, তাহলে দলটিকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনী আইনের ১২ ধারায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আদালত কর্তৃক মানবতাবিরোধী বা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দণ্ডিত হলে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ কারণেই দল হিসেবে একই অপরাধে অভিযুক্ত হলে সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও সামনে আসে। তিনি বলেন, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী একই অপরাধে অপরাধী হলে বর্তমান যে আইন আছে তার রেফারেন্স টানা যায়।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের ধ্বংসযজ্ঞে সহযোগী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করা হয়। রায়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অংশের তৃতীয় ও চতুর্থ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বাঙালি পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের নিশ্চিহ্ন করা, বাঙালি রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী ও ছাত্রদের হত্যা এবং গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়। পাকিস্তান রক্ষার নামে জামায়াতে ইসলামী প্যারা-মিলিশিয়া বাহিনী বা সহযোগী বাহিনী গঠন করে নিরস্ত্র বাঙালিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া প্রথম রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার জন্য জামায়াতকেও দায়ী করা হয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জামায়াতের নিবন্ধন থাকা ও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নির্বাচন কমিশন ও আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করতে হলে সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তিকে কমিশনের কাছে আপিল করতে হবে। আর সুপ্রিম কোর্ট যদি ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন, সে ক্ষেত্রে জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিশনের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে পারবে।
তাঁরা বলছেন, ভবিষ্যতে আপিল হলে এবং আপিল বিভাগ রায় বহাল রাখলে সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আইনগত বাধ্যবাধকতার মধ্যে চলে আসবে। তবে আপিল না হলেও ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়কে রেফারেন্স হিসেবে দেখা যাবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে জানান, রায়ের পুরো বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা এখনো অবগত নন। জামায়াতে ইসলামীকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী করে যদি কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়, সে ক্ষেত্রে তাঁরা যা করা দরকার করবেন। তবে কমিশন নিজ উদ্যোগে কিছু করবে না। রায়ের কপিও চাইবে না। কেউ আবেদন করলে কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ের পরই বলা যাবে না যে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। কেউ আবেদন করলে কমিশনকে তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট রায় দিলে তা আইনে পরিণত হবে। তখন ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। আপিল বিভাগ বহাল রাখলে তা বিবেচ্য হিসেবে নিতে হবে।
শাহদীন মালিক বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াতের জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে। জামায়াতের জন্য ভয়ের কারণ হলো, এ ধরনের আরও মামলা বিচারাধীন আছে। ট্রাইব্যুনাল যদি আরও কয়েকটি মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা পায় ও রায়ে তা উল্লেখ করে, তখন অনেকগুলো রেফারেন্স পাওয়া যাবে। এর একটিও যদি আপিল বিভাগে টিকে যায়, তাহলে দলটিকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনী আইনের ১২ ধারায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আদালত কর্তৃক মানবতাবিরোধী বা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দণ্ডিত হলে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ কারণেই দল হিসেবে একই অপরাধে অভিযুক্ত হলে সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও সামনে আসে। তিনি বলেন, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী একই অপরাধে অপরাধী হলে বর্তমান যে আইন আছে তার রেফারেন্স টানা যায়।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের ধ্বংসযজ্ঞে সহযোগী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করা হয়। রায়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অংশের তৃতীয় ও চতুর্থ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বাঙালি পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের নিশ্চিহ্ন করা, বাঙালি রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী ও ছাত্রদের হত্যা এবং গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়। পাকিস্তান রক্ষার নামে জামায়াতে ইসলামী প্যারা-মিলিশিয়া বাহিনী বা সহযোগী বাহিনী গঠন করে নিরস্ত্র বাঙালিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
No comments