বাহরাইন থেকে এসেছে ১৩ বাংলাদেশীর লাশ-পরিবারের কাছে হস্তান্তর

বাহরাইনের রাজধানী মানামা থেকে ১৩ বাংলাদেশীর লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফাইটে লাশগুলো ঢাকার হজরত শাহজালাল রহ: আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলে বিমানবন্দরের কার্গো গেটে কফিনগুলো প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গ্রহণ করেন।
তিনি লাশগুলো দাফনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকার দুই লাখ টাকা করে অনুদান দেবে বলে জানানো হয়েছে। নিহতরা হলেনÑ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোয়ালী গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে জসিম, কাইতলা গ্রামের মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে স্বপন ও সাইফুল ইসলাম ওরফে সবুজ, গৌরীগ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আনোয়ার, চান মিয়ার ছেলে জরু মিয়া, কুমিল্লা সদর দণি উপজেলার বড় বানিশা গ্রামের জয়নুল আবেদীনের ছেলে মফিজুল ইসলাম, চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ধনপতি গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে শাহীন খান, কচুয়া উপজেলার নওয়াপাড়ার আলমের ছেলে টিটো মিয়া ও শাহাদাত, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার কাশীপুর গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে ওসমান গনি, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর চরখিজিপুর এলাকার সগির আহমেদের ছেলে নাজির আহমেদ, পটিয়া উপজেলার বাতুয়া গ্রামের হাজী রশিদ আহমেদের ছেলে মাহবুব আলম ও একই উপজেলার মারিপাড়া গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে জামাল। পরে নিহতদের কফিন তাদের পরিবারের সদস্যরা গ্রহণ করেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।
এ দিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া লাশগুলো ঢাকায় এসে পৌঁছলে বিমানবন্দরে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের কান্নায় গোটা বিমানবন্দর এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। একটুখানি সুখের আশায় তাদের কেউ কেউ বাপের ভিটেমাটি ও সহায়সম্বল বিক্রি করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল। কিন্তু অর্থ উপার্জন তো দূরের কথা হতভাগ্য এ যুবকদের নিজ ভিটায় ফিরতে হলো লাশ হয়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় নিহত যুবকদের পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম। সব হারিয়ে তারা এখন শোকে মুহ্যমান।
গত ১১ জানুয়ারি বাহরাইনের রাজধানী মানামায় মুখারকা এলাকার একটি শ্রমিক শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতভাগ্য এই ১৩ বাংলাদেশী শ্রমিক নিহত হন।



No comments

Powered by Blogger.