নিজের গাড়ি নিজের মতো by হাসান ইমাম
ব্যস্ত রাস্তা ধরে শাঁই করে চলে গেল একটা গাড়ি। ফিরে তাকালেন অবাক হয়ে। গাড়িটি আকর্ষণীয় লাগছে। নিজের ব্যবহূত গাড়িটাও (প্রাইভেট কার) এমন ঝা-চকচকে করে তুলতে চান! গাড়িতে ব্যবহার করতে পারেন নানা অনুষঙ্গ, যা গাড়িকে করে তুলবে স্মার্ট।
নিজের গাড়ি সাজিয়ে নিতে পারেন নিজের মতো করে।
র্যাংগস লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও প্রাইভেট সেলসের প্রধান সাদিকুল মোস্তাক বলেন, সাধারণত নতুন গাড়িতে কেউ আলাদা করে কিছু সংযোজন করেন না। তবে রিকন্ডিশন্ড বা একটু পুরোনো গাড়িকে সাজিয়ে আবার নতুনের মতো করে তুলতে পারেন। যে কেউ চাইলেই তাঁর গাড়ি সাজিয়ে তুলতে পারেন মনের মতো করে। গাড়িতে ব্যবহার করতে পারেন নানা ধরনের অনুষঙ্গ। এতে গাড়ির জৌলুশ বেড়ে যায়। আপনার চেনা গাড়িটি সেজে উঠবে নতুনভাবে। তবে সবকিছুই করতে হবে ট্রাফিক আইন মেনে।
সিটকভার: গাড়িকে নতুনত্ব দিতে পুরোনো সিটকভার বদলে নিতে পারেন। আবার অনেকেই নতুন গাড়ির মূল সিটকভারটা অক্ষত রাখতে এর ওপর আলাদা করে সিটকভার লাগিয়ে নেন, যা ময়লা হলে পরিষ্কার করে নেওয়াও যায়। অনেকে আবার ড্রাইভিং সিটের ওপর পুঁতি বা চামড়ার আবরণ ব্যবহার করে থাকেন। এটিও আলাদা লুক এনে দেয় গাড়ির অন্দরে।
চাকার রিম: চাকায় চকচকে চাকতি অর্থাৎ রিমও লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে দেখতে যেমন ভালো লাগবে, তেমনি চাকার নিরাপত্তাও বাড়বে। গাড়ির সঙ্গে মানানসই রঙের রিম কেনা ভালো।
রেইনগার্ড: আচমকা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দেওয়ার আগেই লাগাতে পারেন রেইনগার্ড। এটি মূলত জানালার পাশ দিয়ে আলাদা একটি শেড, যা বৃষ্টি ঠেকায়। নানা ধরনের রেইনগার্ড বাজারে পাওয়া যায়। নিজের পছন্দমতো লাগিয়ে নিতে পারেন।
ডিভিডি প্লেয়ার: গাড়িতে চলতে চলতে গান শুনতে পারেন। এ ব্যবস্থা গাড়িতে সংযোজন করাই থাকে। কিন্তু চাইলে আপনার চাহিদামতো লাগিয়ে নিতে পারেন ডিভিডি প্লেয়ার। এ ক্ষেত্রে দোকানে গিয়ে গাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে কিনে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্লেয়ার সেট।
ঝুলন্ত শোপিস: নানা ধরনের ফুল, পাখি, পুঁতি বা পাথরের মালা, লকেট, বিভিন্ন নাম লেখা স্যুভেনির ইত্যাদি থাকতে পারে সামনের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায়। এ ছাড়া পেছনের দিকে ছোট্ট কুশন, পুতুল বা নানা ধরনের সবজির আকৃতি দেওয়া খেলনা রাখা যায়।
ছোট মনিটর: প্যাসেঞ্জার সিটের সামনে লাগাতে পারেন ছোট মনিটর। ভিডিও গান শোনার জন্য এটি অনেকেই ব্যবহার করেন গাড়িতে।
টেলিভিশন: গাড়িতে লাগাতে পারেন ছোট টেলিভিশন। তবে সেটা চালকের জন্য নয়, পেছনে বসা যাত্রীদের জন্য। চালক বা তাঁর পাশের সিটের পেছনে সেট করা যায় টেলিভিশন।
তলায় আলো: চাইলে গাড়ির তলায় ব্যবহার করতে পারেন লাইট। নানা ধরনের লাইট আছে দোকানে। তলায় লাইট গাড়ির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলবে বহুগুণে, যা দূর থেকেও চোখে পড়বে।
কার স্টিকার: কার স্টিকারও গাড়িকে আকর্ষণীয় করে তোলে। বিভিন্ন ধরনের ছবি বা লেখাসংবলিত কার স্টিকার পাওয়া যায় গাড়ি ডেকোরেশনের দোকানে। লাগিয়ে নিতে পারেন এর কয়েকটি। তবে বেশি স্টিকার লাগালে সেটা অনেক সময় ভালো দেখায় না। সেদিকে খেয়াল রাখুন।
পাপোশ: গাড়ির নিচে যাতে ময়লা না জমে, তাই পাপোশ বিছিয়ে নিতে পারেন। সিটের সামনে যেখানে পা রাখা হয়, সেখানে পুরোটা জুড়ে নানা ধরনের পাপোশের ব্যবহার করতে পারেন।
এক্সট্রা ক্যারিয়ার (ছাদের ওপর): গাড়ির ওপরে ছাদে এক্সট্রা ক্যারিয়ার সংযোজন করে নিতে পারেন। কোথাও বেড়াতে গেলে এখানেই ব্যাগ-ব্যাগেজ ফেলে রাখতে পারেন। তা ছাড়া বিভিন্ন সময় দরকার পড়ে এটি, যা সাজের সঙ্গে কাজেরও বটে।
এয়ার ফ্রেশনার: গাড়িতে রাখতে পারেন এয়ার ফ্রেশনার। গাড়ির কাচ বন্ধ থাকায় গাড়িতে একটা ভাপসা গন্ধ হয়। তাই গাড়িতে চড়ে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে ভ্রমণ করতে পারেন সতেজতার সঙ্গে।
ঢাকার বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, পল্টন, গুলশান, তেজগাঁও, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, ফুলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ডেকোরেশনের অনেক দোকান রয়েছে। সেখানেও যেতে পারেন নিজের গাড়িকে মনের মতো করে সাজিয়ে নিতে।
র্যাংগস লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও প্রাইভেট সেলসের প্রধান সাদিকুল মোস্তাক বলেন, সাধারণত নতুন গাড়িতে কেউ আলাদা করে কিছু সংযোজন করেন না। তবে রিকন্ডিশন্ড বা একটু পুরোনো গাড়িকে সাজিয়ে আবার নতুনের মতো করে তুলতে পারেন। যে কেউ চাইলেই তাঁর গাড়ি সাজিয়ে তুলতে পারেন মনের মতো করে। গাড়িতে ব্যবহার করতে পারেন নানা ধরনের অনুষঙ্গ। এতে গাড়ির জৌলুশ বেড়ে যায়। আপনার চেনা গাড়িটি সেজে উঠবে নতুনভাবে। তবে সবকিছুই করতে হবে ট্রাফিক আইন মেনে।
সিটকভার: গাড়িকে নতুনত্ব দিতে পুরোনো সিটকভার বদলে নিতে পারেন। আবার অনেকেই নতুন গাড়ির মূল সিটকভারটা অক্ষত রাখতে এর ওপর আলাদা করে সিটকভার লাগিয়ে নেন, যা ময়লা হলে পরিষ্কার করে নেওয়াও যায়। অনেকে আবার ড্রাইভিং সিটের ওপর পুঁতি বা চামড়ার আবরণ ব্যবহার করে থাকেন। এটিও আলাদা লুক এনে দেয় গাড়ির অন্দরে।
চাকার রিম: চাকায় চকচকে চাকতি অর্থাৎ রিমও লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে দেখতে যেমন ভালো লাগবে, তেমনি চাকার নিরাপত্তাও বাড়বে। গাড়ির সঙ্গে মানানসই রঙের রিম কেনা ভালো।
রেইনগার্ড: আচমকা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দেওয়ার আগেই লাগাতে পারেন রেইনগার্ড। এটি মূলত জানালার পাশ দিয়ে আলাদা একটি শেড, যা বৃষ্টি ঠেকায়। নানা ধরনের রেইনগার্ড বাজারে পাওয়া যায়। নিজের পছন্দমতো লাগিয়ে নিতে পারেন।
ডিভিডি প্লেয়ার: গাড়িতে চলতে চলতে গান শুনতে পারেন। এ ব্যবস্থা গাড়িতে সংযোজন করাই থাকে। কিন্তু চাইলে আপনার চাহিদামতো লাগিয়ে নিতে পারেন ডিভিডি প্লেয়ার। এ ক্ষেত্রে দোকানে গিয়ে গাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে কিনে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্লেয়ার সেট।
ঝুলন্ত শোপিস: নানা ধরনের ফুল, পাখি, পুঁতি বা পাথরের মালা, লকেট, বিভিন্ন নাম লেখা স্যুভেনির ইত্যাদি থাকতে পারে সামনের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায়। এ ছাড়া পেছনের দিকে ছোট্ট কুশন, পুতুল বা নানা ধরনের সবজির আকৃতি দেওয়া খেলনা রাখা যায়।
ছোট মনিটর: প্যাসেঞ্জার সিটের সামনে লাগাতে পারেন ছোট মনিটর। ভিডিও গান শোনার জন্য এটি অনেকেই ব্যবহার করেন গাড়িতে।
টেলিভিশন: গাড়িতে লাগাতে পারেন ছোট টেলিভিশন। তবে সেটা চালকের জন্য নয়, পেছনে বসা যাত্রীদের জন্য। চালক বা তাঁর পাশের সিটের পেছনে সেট করা যায় টেলিভিশন।
তলায় আলো: চাইলে গাড়ির তলায় ব্যবহার করতে পারেন লাইট। নানা ধরনের লাইট আছে দোকানে। তলায় লাইট গাড়ির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলবে বহুগুণে, যা দূর থেকেও চোখে পড়বে।
কার স্টিকার: কার স্টিকারও গাড়িকে আকর্ষণীয় করে তোলে। বিভিন্ন ধরনের ছবি বা লেখাসংবলিত কার স্টিকার পাওয়া যায় গাড়ি ডেকোরেশনের দোকানে। লাগিয়ে নিতে পারেন এর কয়েকটি। তবে বেশি স্টিকার লাগালে সেটা অনেক সময় ভালো দেখায় না। সেদিকে খেয়াল রাখুন।
পাপোশ: গাড়ির নিচে যাতে ময়লা না জমে, তাই পাপোশ বিছিয়ে নিতে পারেন। সিটের সামনে যেখানে পা রাখা হয়, সেখানে পুরোটা জুড়ে নানা ধরনের পাপোশের ব্যবহার করতে পারেন।
এক্সট্রা ক্যারিয়ার (ছাদের ওপর): গাড়ির ওপরে ছাদে এক্সট্রা ক্যারিয়ার সংযোজন করে নিতে পারেন। কোথাও বেড়াতে গেলে এখানেই ব্যাগ-ব্যাগেজ ফেলে রাখতে পারেন। তা ছাড়া বিভিন্ন সময় দরকার পড়ে এটি, যা সাজের সঙ্গে কাজেরও বটে।
এয়ার ফ্রেশনার: গাড়িতে রাখতে পারেন এয়ার ফ্রেশনার। গাড়ির কাচ বন্ধ থাকায় গাড়িতে একটা ভাপসা গন্ধ হয়। তাই গাড়িতে চড়ে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে ভ্রমণ করতে পারেন সতেজতার সঙ্গে।
ঢাকার বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, পল্টন, গুলশান, তেজগাঁও, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, ফুলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ডেকোরেশনের অনেক দোকান রয়েছে। সেখানেও যেতে পারেন নিজের গাড়িকে মনের মতো করে সাজিয়ে নিতে।
No comments