আইভরি কোস্ট সংকট-আফ্রিকান নেতাদের সমঝোতাচেষ্টা ব্যর্থ
আইভরি কোস্টে আলাসান ওয়াতারার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে লরাঁ বাগবোকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছেন আফ্রিকান নেতারা। পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট ইকোয়াস ও আফ্রিকান ইউনিয়নের চারজন প্রতিনিধি গত সোমবার বাগবো এবং ওয়াতারার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন।
তবে বৈঠকে কোনো সমঝোতা হয়নি। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ইকোয়াসের প্রধান গুডলাক জোনাথন গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বাগবোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রথম দফা ব্যর্থতার পর দ্বিতীয়বার আলোচনার জন্য গত সোমবার আবিদজানে পেঁৗছান বেনিনের প্রেসিডেন্ট বনি ইয়ায়ি, সিয়েরালিওনের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্তো বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পিরে। তাঁদের সঙ্গে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসেবে এবার যোগ দেন কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওদিঙ্গা। সোমবার বিকেলে তারা বাগবোর সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা বৈঠক করেন। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে বাগবোর ওপর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং তাঁর আর্থিক সম্পদের নিশ্চয়তার আশ্বাস দেন নেতারা। তবে তাঁদের আশ্বাসে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হননি বাগবো। বাগবোর পর ওয়াতারার সঙ্গে বৈঠক করেন আফ্রিকান নেতারা।
জোনাথন বলেন, 'অচলাবস্থা কাটেনি। একটা দেশে সংকট চললে আমরা হুট করে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ব আর রাতারাতি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে_এমনটা ভাববেন না। এ ধরনের লোকদের বোঝাতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োজন।'
ওদিঙ্গা জনাথনকে জানান, আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি পাওয়া ওয়াতারা আলোচনায় বসতে রাজি হলেও পরে ওয়াতারার পক্ষের লোকজন তাতে আপত্তি তোলে।
ওয়াতারা বলেছেন, বাগবোর সঙ্গে আলোচনার সময় পার হয়ে গেছে। তিনি সর্বশক্তি প্রয়োগ এবং বৈধ সামরিক অভিযান চালিয়ে বাগবোকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান ইকোয়াসের প্রতি।
বাগবোর নিয়ন্ত্রণাধীন নিরাপত্তা বাহিনী বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আইভরি কোস্টের দলীয় প্রধান কার্যালয়ে গতকাল তল্লাশি চালিয়েছে। দলের মুখপাত্র ভিনসেন্ট কুয়াসি জানান, আবিদজানের শহরতলি কোকোডিতে প্রধান কার্যালয়ে নিরাপত্তা বাহিনী হামলায় চালায়। এ সময় তাঁদের একজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। ব্লুমবার্গ পত্রিকাকে টেলিফোনে কুয়াসি বলেন, 'নিরাপত্তা বাহিনী দলীয় কার্যালয়ে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে_এমন অভিযোগ এনে ব্যাপক ভাঙচুর করে।'
বাগবোকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র
স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়লে বাগবোর জন্য সম্মানজনক প্রস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে তাঁর আত্মীয়স্বজন আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা চাই তিনি ক্ষমতা ছাড়ুন। তিনি যদি আমেরিকা আসতে চান তবে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের স্বার্থেই আমরা সে ব্যবস্থা করব। তবে তা শিগগির হতে হবে। কারণ, পরিস্থিতি যেভাবে বদলাচ্ছে, তাতে এ সুযোগ বেশিদিন নাও থাকতে পারে।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
প্রথম দফা ব্যর্থতার পর দ্বিতীয়বার আলোচনার জন্য গত সোমবার আবিদজানে পেঁৗছান বেনিনের প্রেসিডেন্ট বনি ইয়ায়ি, সিয়েরালিওনের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্তো বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পিরে। তাঁদের সঙ্গে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসেবে এবার যোগ দেন কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওদিঙ্গা। সোমবার বিকেলে তারা বাগবোর সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা বৈঠক করেন। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে বাগবোর ওপর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং তাঁর আর্থিক সম্পদের নিশ্চয়তার আশ্বাস দেন নেতারা। তবে তাঁদের আশ্বাসে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হননি বাগবো। বাগবোর পর ওয়াতারার সঙ্গে বৈঠক করেন আফ্রিকান নেতারা।
জোনাথন বলেন, 'অচলাবস্থা কাটেনি। একটা দেশে সংকট চললে আমরা হুট করে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ব আর রাতারাতি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে_এমনটা ভাববেন না। এ ধরনের লোকদের বোঝাতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োজন।'
ওদিঙ্গা জনাথনকে জানান, আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি পাওয়া ওয়াতারা আলোচনায় বসতে রাজি হলেও পরে ওয়াতারার পক্ষের লোকজন তাতে আপত্তি তোলে।
ওয়াতারা বলেছেন, বাগবোর সঙ্গে আলোচনার সময় পার হয়ে গেছে। তিনি সর্বশক্তি প্রয়োগ এবং বৈধ সামরিক অভিযান চালিয়ে বাগবোকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান ইকোয়াসের প্রতি।
বাগবোর নিয়ন্ত্রণাধীন নিরাপত্তা বাহিনী বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আইভরি কোস্টের দলীয় প্রধান কার্যালয়ে গতকাল তল্লাশি চালিয়েছে। দলের মুখপাত্র ভিনসেন্ট কুয়াসি জানান, আবিদজানের শহরতলি কোকোডিতে প্রধান কার্যালয়ে নিরাপত্তা বাহিনী হামলায় চালায়। এ সময় তাঁদের একজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। ব্লুমবার্গ পত্রিকাকে টেলিফোনে কুয়াসি বলেন, 'নিরাপত্তা বাহিনী দলীয় কার্যালয়ে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে_এমন অভিযোগ এনে ব্যাপক ভাঙচুর করে।'
বাগবোকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র
স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়লে বাগবোর জন্য সম্মানজনক প্রস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে তাঁর আত্মীয়স্বজন আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা চাই তিনি ক্ষমতা ছাড়ুন। তিনি যদি আমেরিকা আসতে চান তবে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের স্বার্থেই আমরা সে ব্যবস্থা করব। তবে তা শিগগির হতে হবে। কারণ, পরিস্থিতি যেভাবে বদলাচ্ছে, তাতে এ সুযোগ বেশিদিন নাও থাকতে পারে।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments