বাড়িভাড়া পাঁচ গুণ বেড়েও ৫০০ টাকা!-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা হতাশ ফের আন্দোলনের ডাক
এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে চিকিৎসা ভাতা ১৫০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভাতা বাড়ানোর এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, সীমিত সম্পদের মধ্যে শিক্ষকদের জন্য এটা করা হয়েছে। এ জন্য মন্ত্রী দিনটিকে বেসরকারি শিক্ষকদের জীবনে 'ঐতিহাসিক' বলে দাবি করেন। চলতি জানুয়ারি মাস থেকেই চার লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী এ ভাতা পাবেন।
শিক্ষক সংগঠনগুলো শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণায় খুশি নয়। সরকার ও বিরোধী দল সমর্থক শিক্ষক সংগঠনগুলো আলাদাভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, দিনটি কোনোভাবেই ঐতিহাসিক নয়। দুপুরে আধপোয়া বা ১২৫ গ্রামের পরিবর্তে এক চা চামচ ভাত দিলে ক্ষুুধার্ত ব্যক্তির যা হয় শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় শিক্ষকদের তা-ই হয়েছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল এত নগণ্য হতে পারে না। এ জন্য আলাদাভাবে শিক্ষক সংগঠনগুলো আবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষকদের জন্য ২৮ বছর পর বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানো হলেও শিক্ষামন্ত্রী সাধুবাদ পাচ্ছেন না। বরং শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। শিক্ষকরা বলছেন, যেখানে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা সর্বনিম্ন চার হাজার টাকা করে বাড়িভাড়া পান, সেখানে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকরা পাবেন মাত্র ৫০০ টাকা! এটা ভাবা যায়?
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা আগে যে ভাতা পাচ্ছিলেন তা খুবই অপ্রতুল। গত ২৮ বছর ধরে তাঁরা এভাবেই চলছিলেন। এই টাকা যথেষ্ট বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল, কিন্তু সম্ভব হয়নি। তবু শিক্ষকদের বিষয়গুলো অত্যন্ত সহৃদয়তার সঙ্গে বিবেচনা করে অনেক কষ্টের মাধ্যমে প্রায় ২৪৪ কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে। এ টাকা শিক্ষকদের এ দুই খাতের বিপরীতে ব্যয় হবে।
শিক্ষকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত ১০ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন করছে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারি করা বিশাল ব্যাপার। আর এ দাবি কেউ কেউ তুলছেন। সবাই তুললে বিষয়টি দেখা যাবে। এর পরই মন্ত্রী অন্য প্রসঙ্গে গিয়ে বলেন, মাসে ৫০০ টাকায় বর্তমানে বাসা ভাড়া পাওয়া অসম্ভব হলেও ভাতা বাড়ানোর ফলে শিক্ষকরা 'খুশি হবেন'। আন্দোলন বাদ দিয়ে ক্লাসে ফিরে যাবেন বলেও মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৮৪ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১০০ টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা ৬০ টাকা হয়। পরে চিকিৎসা ভাতা দুই দফা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হলেও বাড়িভাড়া আগের মতোই থেকে যায়। অতীতের কোনো সরকার এত কম পরিমাণ ভাতা দেওয়ার রেওয়াজ পরিবর্তন করেনি। কেবল আওয়ামী লীগ সরকারই তা করল।
এ ছাড়া মন্ত্রী জানান, স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের ভাতা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। আর প্রথমবারের মতো সহকারী গ্রন্থাগারিকের (লাইব্রেরিয়ান) পদও এমপিওভুক্ত করছে সরকার।
সরকারদলীয় শিক্ষক সংগঠন জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের আহ্বায়ক অধ্যাপক আসাদুল হক ও মো. আজিজুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুপুরের আধপোয়া বা ১২৫ গ্রামের পরিবর্তে এক চা চামচ ভাত দিলে ক্ষুধার্ত ব্যক্তির যা হয় আজ শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় তা-ই হয়েছে। তাঁরা বলেন, 'আমরা চেয়েছিলাম পর্যায়ক্রমে শিক্ষা জাতীয়করণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পূর্ণ চিকিৎসা ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা দিতে সরকার পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাতে কর্ণপাত না করায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষোভের মাত্রা বহুগুণ বেড়ে গেছে।' এ জন্য তাঁরা জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ করবেন ও দাবি আদায়ে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।
বিএনপি সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া বলেন, বাড়িভাড়া ৪০০ টাকা ও চিকিৎসা ভাতা ১৫০ টাকা বাড়িয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। তিনি বলেন, শিক্ষকসমাজ এখন রাজপথে নেমে এসেছে। চাকরি জাতীয়করণ ছাড়া সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন থামানে যাবে না।
বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কারী রঞ্জিত কুমার সাহা বলেছেন, ৪০০ ও ১৫০ টাকা বাড়ানো অসম্মানজনক। শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার জন্য সরকারের এ অপচেষ্টা। ঐক্য পরিষদ এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা হিসেবে এ টাকা না বাড়ালেও চলত। তিনি বলেন, ৩০ বছরের সংগ্রামের ফসল এত নগণ্য হতে পারে না। সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবি করেন তিনি।
শিক্ষক সংগঠনগুলো শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণায় খুশি নয়। সরকার ও বিরোধী দল সমর্থক শিক্ষক সংগঠনগুলো আলাদাভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, দিনটি কোনোভাবেই ঐতিহাসিক নয়। দুপুরে আধপোয়া বা ১২৫ গ্রামের পরিবর্তে এক চা চামচ ভাত দিলে ক্ষুুধার্ত ব্যক্তির যা হয় শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় শিক্ষকদের তা-ই হয়েছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল এত নগণ্য হতে পারে না। এ জন্য আলাদাভাবে শিক্ষক সংগঠনগুলো আবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষকদের জন্য ২৮ বছর পর বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানো হলেও শিক্ষামন্ত্রী সাধুবাদ পাচ্ছেন না। বরং শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। শিক্ষকরা বলছেন, যেখানে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা সর্বনিম্ন চার হাজার টাকা করে বাড়িভাড়া পান, সেখানে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকরা পাবেন মাত্র ৫০০ টাকা! এটা ভাবা যায়?
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা আগে যে ভাতা পাচ্ছিলেন তা খুবই অপ্রতুল। গত ২৮ বছর ধরে তাঁরা এভাবেই চলছিলেন। এই টাকা যথেষ্ট বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল, কিন্তু সম্ভব হয়নি। তবু শিক্ষকদের বিষয়গুলো অত্যন্ত সহৃদয়তার সঙ্গে বিবেচনা করে অনেক কষ্টের মাধ্যমে প্রায় ২৪৪ কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে। এ টাকা শিক্ষকদের এ দুই খাতের বিপরীতে ব্যয় হবে।
শিক্ষকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত ১০ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন করছে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারি করা বিশাল ব্যাপার। আর এ দাবি কেউ কেউ তুলছেন। সবাই তুললে বিষয়টি দেখা যাবে। এর পরই মন্ত্রী অন্য প্রসঙ্গে গিয়ে বলেন, মাসে ৫০০ টাকায় বর্তমানে বাসা ভাড়া পাওয়া অসম্ভব হলেও ভাতা বাড়ানোর ফলে শিক্ষকরা 'খুশি হবেন'। আন্দোলন বাদ দিয়ে ক্লাসে ফিরে যাবেন বলেও মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৮৪ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১০০ টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা ৬০ টাকা হয়। পরে চিকিৎসা ভাতা দুই দফা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হলেও বাড়িভাড়া আগের মতোই থেকে যায়। অতীতের কোনো সরকার এত কম পরিমাণ ভাতা দেওয়ার রেওয়াজ পরিবর্তন করেনি। কেবল আওয়ামী লীগ সরকারই তা করল।
এ ছাড়া মন্ত্রী জানান, স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের ভাতা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। আর প্রথমবারের মতো সহকারী গ্রন্থাগারিকের (লাইব্রেরিয়ান) পদও এমপিওভুক্ত করছে সরকার।
সরকারদলীয় শিক্ষক সংগঠন জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের আহ্বায়ক অধ্যাপক আসাদুল হক ও মো. আজিজুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুপুরের আধপোয়া বা ১২৫ গ্রামের পরিবর্তে এক চা চামচ ভাত দিলে ক্ষুধার্ত ব্যক্তির যা হয় আজ শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় তা-ই হয়েছে। তাঁরা বলেন, 'আমরা চেয়েছিলাম পর্যায়ক্রমে শিক্ষা জাতীয়করণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পূর্ণ চিকিৎসা ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা দিতে সরকার পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাতে কর্ণপাত না করায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষোভের মাত্রা বহুগুণ বেড়ে গেছে।' এ জন্য তাঁরা জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ করবেন ও দাবি আদায়ে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।
বিএনপি সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া বলেন, বাড়িভাড়া ৪০০ টাকা ও চিকিৎসা ভাতা ১৫০ টাকা বাড়িয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। তিনি বলেন, শিক্ষকসমাজ এখন রাজপথে নেমে এসেছে। চাকরি জাতীয়করণ ছাড়া সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন থামানে যাবে না।
বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কারী রঞ্জিত কুমার সাহা বলেছেন, ৪০০ ও ১৫০ টাকা বাড়ানো অসম্মানজনক। শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার জন্য সরকারের এ অপচেষ্টা। ঐক্য পরিষদ এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা হিসেবে এ টাকা না বাড়ালেও চলত। তিনি বলেন, ৩০ বছরের সংগ্রামের ফসল এত নগণ্য হতে পারে না। সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবি করেন তিনি।
No comments