এ জাতিকে বাঁচাবেন কে? by মাকসুদুল আলম
১৬ ডিসেম্বর ছিল আমাদের মহান বিজয় দিবসের
৪১ বছর পূর্তি। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা
নিবেদনসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত
হয় দিনটি।
একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় জাপানের নিম্নকক্ষের
সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনের বিজয়ী দল থেকে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এবারের নিম্নকক্ষের নির্বাচনে মোট ৪৮০টি আসনের মধ্যে
ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নোদার ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জাপান (ডিপিজে)
মাত্র ৫৭টি আসন পেয়েছে। পক্ষান্তরে, বিরোধী দল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) ২৯৪টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা
অর্জন করে। প্রধানমন্ত্রী আবে আগেই জানিয়েছেন, এলডিপি ও কওমেইতো আগের মতোই
জোটবদ্ধভাবে সরকার গঠন করবে। প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি আসনে বিজয়ী হয়ে
আবে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এতে করে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষা করতে
আমাদের দায়িত্বও অনেক বেশি বেড়ে গেল।’ কট্টরপন্থী নেতা আবে পাশের চীন ও
কোরিয়ার সাথে বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জ যথাক্রমে সেনকাকু দ্বীপ ও তাকেশিমা
দ্বীপ প্রসঙ্গে কঠোর অবস্থান নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও
জাপানের মালিকানাধীন এই দ্বীপপুঞ্জগুলো নিয়ে চীন ও কোরিয়ার সাথে বিবাদ
দীর্ঘ দিনের। ২০০৯ সালে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ
করেছিলেন আবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কথা রয়েছে তার। অপর
দিকে, নির্বাচনে ভরাডুবির পর প্রধানমন্ত্রী নোদা ডিপিজে প্রধানের পদ থেকে
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ও জাপান। রাষ্ট্র দু’টির জনসংখ্যা মোটামুটি কাছাকাছি। উভয়ের প্রধান খাবার ভাত। জাতীয় পতাকায় রয়েছে অনেক মিল। অমিল শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, রয়েছে আরো নানা দিকে। রাজনৈতিক দিক থেকে বলা যায়, এ দুটি একেবারেই ভিন্ন ধরনের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। জাপানে নেই আমাদের মতো প্রতিহিংসার রাজনীতি, সঙ্ঘাতময় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল-ধর্মঘট। ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে নেই রাজনৈতিক সহিংসতা। সেখানে এক দল অন্য দলের শত্রু নয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই কথিত ছাত্ররাজনীতি। ফলে স্বভাবতই চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে ডিগ্রিধারী দলীয় কোনো ক্যাডারও নেই। জাতিগতভাবে জাপানিরা খুবই দয়ালু। তবে নেই আমাদের মতো ‘দয়ালু’ কোনো প্রেসিডেন্ট, যিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী ও খুনিদের একে একে ক্ষমা করে দেন। এখানে নেই কালা জাহাঙ্গীর, সুইডেন আসলাম, লেংড়া শাহীন, পিচ্চি হান্নান, চোখ তোলা শাজাহান, চাপাতি শাকিল কিংবা মদ খাওয়া আলমগীরও। আদালতের নির্দেশে কঠোর গোপনীয়তায় কখনো মুক্তি দেয়া হয় না বিকাশ কুমারের মতো নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের। পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসীর মুক্তির জন্য পর্দার আড়ালে ভূমিকা রাখেন না প্রভাবশালী কোনো মন্ত্রী। মধ্য রাতে জাতীয় সংসদের স্টিকার লাগানো গাড়িতে করে বস্তাভর্তি টাকা যায় না মন্ত্রীর বাড়িতে। সাধারণ কর্মচারী থেকে অল্প সময়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়া এবং নিজেকে পত্রিকাগুলোতে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে সততার সার্টিফিকেট জোগাড়ে কোনো দেশপ্রেমিকের অপকর্মে সমগ্র জাতিকে খেসারত দিতে হয় না এখানে।
বাংলাদেশ ও জাপানের গণমাধ্যমেও রয়েছে ব্যাপক অমিল। জাপানে দৈনিক পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি রয়েছে সান্ধ্যকালীন ও সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড, যাদের মূল কাজই হচ্ছে রাজনীতিবিদ, প্রফেশনাল খেলোয়াড়, চিত্রজগৎ কিংবা টেলিভিশন ট্যালেন্টদের যেকোনো অনিয়ম বা স্ক্যান্ডাল খুঁজে বের করা। সেলিব্রেটিদের ব্যক্তিগত প্রেম, ভালোবাসা থেকে শুরু করে বিয়ে, সন্তান প্রসব ইত্যাদি গোপন সংবাদও বাদ যায় না। সে দিক থেকে আমাদের গণমাধ্যম কর্মীরা অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে রিপোর্ট করেন। আমাদের দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত সব আমলেই। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য মাশুল দিতে হয়। নিদারুণ নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে হয় সংবাদমাধ্যম কর্মীদের। রাষ্ট্র্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে থাকে সরকার। সম্প্রতি বেলজিয়ামে অবস্থানরত এবং নির্মূল কমিটির সংশ্লিষ্ট একজন প্রবাসী বাংলাদেশীর সাথে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ সংলাপ প্রকাশের অভিযোগে একটি দৈনিক পত্রিকার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের বহিঃপ্রকাশ। সত্য লেখার দায়ে দৈনিক পত্রিকাটির সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা মামলা এবং তাকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জাপানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। অন্তত বিগত ২১ বছরে সে রকম কিছু ঘটেনি।
জাপানিরা ভালো করেই জানে, তাদের প্রয়োজন শিনজো আবের মতো নেতার, যিনি বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীন ও কোরিয়ার সাথে যে উত্তেজনা, তা প্রশমিত করে, ইতিবাচক পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবেন; যিনি পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক কল্যাণের জন্য কৌশলগত সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাবেন। দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন। গত বছরের ভূমিকম্প ও সুনামি-পরবর্তী বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনর্গঠিত করে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করবেন। অর্থনীতি চাঙ্গা করে বিপুল রাষ্ট্রীয় ঋণ থেকে জাতিকে মুক্তির পথ দেখাবেন। সর্বোপরি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন। অথচ আমাদের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। দেশের প্রধান দু’টি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় রাজনীতি হয়েছে, কলুষিত ও সঙ্ঘাতময়। দুর্বৃত্তায়নের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। দলীয় ক্যাডারদের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ। আমাদের সরকারি সংস্থাগুলোতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব তীব্র। মানবাধিকার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। গুম ও খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও নিপীড়নের মতো ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাপানিরা না হয় তাদের সাধারণ নির্বাচনে শিনজো আবেকে পেয়েছে। আমাদের কে রক্ষা করবে? দেখাবে কে আমাদের মুক্তির পথ?
লেখক : জাপান প্রবাসী
বাংলাদেশ ও জাপান। রাষ্ট্র দু’টির জনসংখ্যা মোটামুটি কাছাকাছি। উভয়ের প্রধান খাবার ভাত। জাতীয় পতাকায় রয়েছে অনেক মিল। অমিল শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, রয়েছে আরো নানা দিকে। রাজনৈতিক দিক থেকে বলা যায়, এ দুটি একেবারেই ভিন্ন ধরনের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। জাপানে নেই আমাদের মতো প্রতিহিংসার রাজনীতি, সঙ্ঘাতময় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল-ধর্মঘট। ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে নেই রাজনৈতিক সহিংসতা। সেখানে এক দল অন্য দলের শত্রু নয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই কথিত ছাত্ররাজনীতি। ফলে স্বভাবতই চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে ডিগ্রিধারী দলীয় কোনো ক্যাডারও নেই। জাতিগতভাবে জাপানিরা খুবই দয়ালু। তবে নেই আমাদের মতো ‘দয়ালু’ কোনো প্রেসিডেন্ট, যিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী ও খুনিদের একে একে ক্ষমা করে দেন। এখানে নেই কালা জাহাঙ্গীর, সুইডেন আসলাম, লেংড়া শাহীন, পিচ্চি হান্নান, চোখ তোলা শাজাহান, চাপাতি শাকিল কিংবা মদ খাওয়া আলমগীরও। আদালতের নির্দেশে কঠোর গোপনীয়তায় কখনো মুক্তি দেয়া হয় না বিকাশ কুমারের মতো নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের। পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসীর মুক্তির জন্য পর্দার আড়ালে ভূমিকা রাখেন না প্রভাবশালী কোনো মন্ত্রী। মধ্য রাতে জাতীয় সংসদের স্টিকার লাগানো গাড়িতে করে বস্তাভর্তি টাকা যায় না মন্ত্রীর বাড়িতে। সাধারণ কর্মচারী থেকে অল্প সময়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়া এবং নিজেকে পত্রিকাগুলোতে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে সততার সার্টিফিকেট জোগাড়ে কোনো দেশপ্রেমিকের অপকর্মে সমগ্র জাতিকে খেসারত দিতে হয় না এখানে।
বাংলাদেশ ও জাপানের গণমাধ্যমেও রয়েছে ব্যাপক অমিল। জাপানে দৈনিক পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি রয়েছে সান্ধ্যকালীন ও সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড, যাদের মূল কাজই হচ্ছে রাজনীতিবিদ, প্রফেশনাল খেলোয়াড়, চিত্রজগৎ কিংবা টেলিভিশন ট্যালেন্টদের যেকোনো অনিয়ম বা স্ক্যান্ডাল খুঁজে বের করা। সেলিব্রেটিদের ব্যক্তিগত প্রেম, ভালোবাসা থেকে শুরু করে বিয়ে, সন্তান প্রসব ইত্যাদি গোপন সংবাদও বাদ যায় না। সে দিক থেকে আমাদের গণমাধ্যম কর্মীরা অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে রিপোর্ট করেন। আমাদের দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত সব আমলেই। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য মাশুল দিতে হয়। নিদারুণ নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে হয় সংবাদমাধ্যম কর্মীদের। রাষ্ট্র্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে থাকে সরকার। সম্প্রতি বেলজিয়ামে অবস্থানরত এবং নির্মূল কমিটির সংশ্লিষ্ট একজন প্রবাসী বাংলাদেশীর সাথে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ সংলাপ প্রকাশের অভিযোগে একটি দৈনিক পত্রিকার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের বহিঃপ্রকাশ। সত্য লেখার দায়ে দৈনিক পত্রিকাটির সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা মামলা এবং তাকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জাপানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। অন্তত বিগত ২১ বছরে সে রকম কিছু ঘটেনি।
জাপানিরা ভালো করেই জানে, তাদের প্রয়োজন শিনজো আবের মতো নেতার, যিনি বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীন ও কোরিয়ার সাথে যে উত্তেজনা, তা প্রশমিত করে, ইতিবাচক পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবেন; যিনি পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক কল্যাণের জন্য কৌশলগত সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাবেন। দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন। গত বছরের ভূমিকম্প ও সুনামি-পরবর্তী বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনর্গঠিত করে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করবেন। অর্থনীতি চাঙ্গা করে বিপুল রাষ্ট্রীয় ঋণ থেকে জাতিকে মুক্তির পথ দেখাবেন। সর্বোপরি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন। অথচ আমাদের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। দেশের প্রধান দু’টি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় রাজনীতি হয়েছে, কলুষিত ও সঙ্ঘাতময়। দুর্বৃত্তায়নের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। দলীয় ক্যাডারদের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ। আমাদের সরকারি সংস্থাগুলোতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব তীব্র। মানবাধিকার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। গুম ও খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও নিপীড়নের মতো ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাপানিরা না হয় তাদের সাধারণ নির্বাচনে শিনজো আবেকে পেয়েছে। আমাদের কে রক্ষা করবে? দেখাবে কে আমাদের মুক্তির পথ?
লেখক : জাপান প্রবাসী
No comments