শক্ত অবস্থান নিতে বিএনপিকে পাশে চায় জামায়াত by সেলিম জাহিদ
স্কাইপ বিতর্কের পর কিছুটা দম নেওয়া পরিস্থিতি থেকে দ্রুতই বেরিয়ে আসতে চাইছে জামায়াতে ইসলামী। এই প্রক্রিয়ায় দলটি ১৮ দলীয় জোটের প্রধান রাজনৈতিক সহযোগী বিএনপিকে সঙ্গে চাইছে। কিন্তু বিএনপির আছি-নাই অবস্থান জামায়াতকে ভাবিয়ে তুলছে।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সাবেক নেতা আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। দলটির নেতারা মনে করছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দলের প্রথম সারির দুই নেতার মামলার রায় ঘোষণা করতে পারেন ট্রাইব্যুনাল। তাঁরা হলেন, আবদুল কাদের মোল্লা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
জামায়াতের ঢাকা মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবুল কালাম আযাদকে দিয়ে জামায়াতকে পরিমাপ করা যাবে না। আযাদের ব্যাপারে শুরু থেকেই আমরা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছি। জামায়াতের নেতাদের ব্যাপারে এ ধরনের কিছু হলে নেতা-কর্মীরা জীবনের বিনিময়ে হলেও প্রতিরোধ করবেন।’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াতের নয়জন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার মামলা এখন রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় স্কাইপ বিতর্কের পর নতুন করে যুক্তি উপস্থাপন চলছে। দ্বিতীয় দফা যুক্তি-তর্ক আজ শেষ হওয়ার কথা।
এই পরিস্থিতিতে বিএনপিকে সঙ্গে নিয়েই যেকোনো মূল্যে এ বিচারের প্রতিবাদ জানাতে চায় জামায়াত। কিন্তু বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, ‘জামায়াতের এ ঝামেলায়’ এ মুহূর্তে জড়াতে চাইছে না বিএনপি। এতে দলটির নির্দলীয় সরকারের দাবি ও আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশঙ্কা।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে বিএনপি। এ কারণে দলের আগামী কয়েক মাসের আন্দোলন পরিকল্পনায় লাগাতার বা মারদাঙ্গা কোনো কর্মসূচি থাকছে না বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য।
জামায়াতের একাধিক সূত্র জানায়, এর আগে গত নভেম্বরে স্কাইপ সংলাপ বিতর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগের পর কিছুদিন স্বস্তিতে ছিল জামায়াত। কিন্তু সোমবার আযাদের মামলার রায়ের বর্ণনায় জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ভূমিকা ও দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের সম্পৃক্ততার কথা আসায় দলটির নীতিনির্ধারকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ, এ রায়ের প্রভাব মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারাধীন জামায়াতের নেতাদের মামলায়ও পড়ার লক্ষণ স্পষ্ট বলে মনে করছেন তাঁরা।
গত সোমবার রাতে জামায়াত বিবৃতি দিয়ে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেও। দলটি মনে করছে, জামায়াতের নেতাদের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ আযাদের মামলার দুটি বিষয় রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করে আইনি সুবিধা নিতে পারে। একটি হচ্ছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত আবুল কালাম আযাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের সম্পৃক্ততা। অপরটি হলো, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের ধ্বংসযজ্ঞের সহযোগী হিসেবে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতা। এর ধারাবাহিকতায় পরের মামলাগুলোতে এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আসতে পারে। এবং তার সূত্র ধরে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার যুক্তি ও দাবি উঠতে পারে বলে দলটির নেতার আশঙ্কা করছেন।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, আবদুল কাদের মোল্লার মামলায় যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর গত শুক্রবার জামায়াতের দুজন নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা এ সংকটকালে ১৮ দলীয় জোটের কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার আহ্বান জানান। বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। তবে, জোট ধরে রাখার কৌশল হিসেবে কর্মসূচির বিষয়টি আগামী মাসে বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে বিএনপির দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে দেশের বর্তমান জনমত বিএনপির পক্ষে। এ অবস্থায় ‘উগ্র’ কোনো কর্মসূচি দিয়ে জনগণকে বিরক্ত না করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আরও কিছুদিন জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দিয়ে গণজাগরণ গড়ে তুলতে চাইছে বিএনপি।
অবশ্য, এ অবস্থান নিয়েও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে দুটি মত রয়েছে। জামায়াতের প্রতি সহনশীল নেতাদের মত হচ্ছে, এখনই লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে নামা উচিত। এতে তিনটি উদ্দেশ্য সফল হবে। তাহলো: তাঁদের ভাষায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে দলীয় ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়নের যে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে, তা নস্যাৎ করা যাবে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চলমান মামলা থামানো যাবে। এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
আবার, জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলতে পছন্দ করেন বিএনপির এমন নেতারা মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলনকে ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের চেষ্টা’ বলে সরকার শুরু থেকে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এখন যুদ্ধাপরাধের মামলার কোনো রায়ের পর বড় কর্মসূচি দিলে সরকারের ওই প্রচারটিই সত্য বলে প্রতিষ্ঠা পাবে। একই সঙ্গে পুরো আন্দোলন জামায়াতনির্ভর হয়ে পড়বে। এই চিন্তাধারা পোষণকারী বিএনপির নেতারা এও মনে করছেন, যুদ্ধাপরাধের মামলার বিষয়টির এ সরকারের মেয়াদে নিষ্পত্তি হয়ে গেলে ভবিষ্যতে ঝামেলা কমে যাবে। কারণ, বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে, এসব মামলা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতে পারে।
অবশ্য, এসব বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে বিএনপির কোনো নেতা রাজি হননি। যুদ্ধাপরাধের প্রথম মামলার রায়ের বিষয়েও বিএনপি গতকাল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে, দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম দুটি আলোচনা সভায় এ বিষয়ে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার দল হিসেবে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারকে পূর্ণভাবে সমর্থন করেন। কিন্তু এ বিচার স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়নে বিচার চায় না বিএনপি।
বিএনপি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে কি না, তা জানতে চাইলে তরিকুল ইসলাম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের খবর আমার জানা নেই।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবুল কালাম আযাদকে দিয়ে জামায়াতকে পরিমাপ করা যাবে না। আযাদের ব্যাপারে শুরু থেকেই আমরা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছি। জামায়াতের নেতাদের ব্যাপারে এ ধরনের কিছু হলে নেতা-কর্মীরা জীবনের বিনিময়ে হলেও প্রতিরোধ করবেন।’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াতের নয়জন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার মামলা এখন রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় স্কাইপ বিতর্কের পর নতুন করে যুক্তি উপস্থাপন চলছে। দ্বিতীয় দফা যুক্তি-তর্ক আজ শেষ হওয়ার কথা।
এই পরিস্থিতিতে বিএনপিকে সঙ্গে নিয়েই যেকোনো মূল্যে এ বিচারের প্রতিবাদ জানাতে চায় জামায়াত। কিন্তু বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, ‘জামায়াতের এ ঝামেলায়’ এ মুহূর্তে জড়াতে চাইছে না বিএনপি। এতে দলটির নির্দলীয় সরকারের দাবি ও আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশঙ্কা।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে বিএনপি। এ কারণে দলের আগামী কয়েক মাসের আন্দোলন পরিকল্পনায় লাগাতার বা মারদাঙ্গা কোনো কর্মসূচি থাকছে না বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য।
জামায়াতের একাধিক সূত্র জানায়, এর আগে গত নভেম্বরে স্কাইপ সংলাপ বিতর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগের পর কিছুদিন স্বস্তিতে ছিল জামায়াত। কিন্তু সোমবার আযাদের মামলার রায়ের বর্ণনায় জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ভূমিকা ও দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের সম্পৃক্ততার কথা আসায় দলটির নীতিনির্ধারকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ, এ রায়ের প্রভাব মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারাধীন জামায়াতের নেতাদের মামলায়ও পড়ার লক্ষণ স্পষ্ট বলে মনে করছেন তাঁরা।
গত সোমবার রাতে জামায়াত বিবৃতি দিয়ে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেও। দলটি মনে করছে, জামায়াতের নেতাদের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ আযাদের মামলার দুটি বিষয় রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করে আইনি সুবিধা নিতে পারে। একটি হচ্ছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত আবুল কালাম আযাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের সম্পৃক্ততা। অপরটি হলো, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের ধ্বংসযজ্ঞের সহযোগী হিসেবে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতা। এর ধারাবাহিকতায় পরের মামলাগুলোতে এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আসতে পারে। এবং তার সূত্র ধরে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার যুক্তি ও দাবি উঠতে পারে বলে দলটির নেতার আশঙ্কা করছেন।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, আবদুল কাদের মোল্লার মামলায় যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর গত শুক্রবার জামায়াতের দুজন নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা এ সংকটকালে ১৮ দলীয় জোটের কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার আহ্বান জানান। বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। তবে, জোট ধরে রাখার কৌশল হিসেবে কর্মসূচির বিষয়টি আগামী মাসে বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে বিএনপির দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে দেশের বর্তমান জনমত বিএনপির পক্ষে। এ অবস্থায় ‘উগ্র’ কোনো কর্মসূচি দিয়ে জনগণকে বিরক্ত না করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আরও কিছুদিন জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দিয়ে গণজাগরণ গড়ে তুলতে চাইছে বিএনপি।
অবশ্য, এ অবস্থান নিয়েও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে দুটি মত রয়েছে। জামায়াতের প্রতি সহনশীল নেতাদের মত হচ্ছে, এখনই লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে নামা উচিত। এতে তিনটি উদ্দেশ্য সফল হবে। তাহলো: তাঁদের ভাষায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে দলীয় ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়নের যে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে, তা নস্যাৎ করা যাবে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চলমান মামলা থামানো যাবে। এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
আবার, জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলতে পছন্দ করেন বিএনপির এমন নেতারা মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলনকে ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের চেষ্টা’ বলে সরকার শুরু থেকে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এখন যুদ্ধাপরাধের মামলার কোনো রায়ের পর বড় কর্মসূচি দিলে সরকারের ওই প্রচারটিই সত্য বলে প্রতিষ্ঠা পাবে। একই সঙ্গে পুরো আন্দোলন জামায়াতনির্ভর হয়ে পড়বে। এই চিন্তাধারা পোষণকারী বিএনপির নেতারা এও মনে করছেন, যুদ্ধাপরাধের মামলার বিষয়টির এ সরকারের মেয়াদে নিষ্পত্তি হয়ে গেলে ভবিষ্যতে ঝামেলা কমে যাবে। কারণ, বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে, এসব মামলা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতে পারে।
অবশ্য, এসব বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে বিএনপির কোনো নেতা রাজি হননি। যুদ্ধাপরাধের প্রথম মামলার রায়ের বিষয়েও বিএনপি গতকাল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে, দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম দুটি আলোচনা সভায় এ বিষয়ে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার দল হিসেবে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারকে পূর্ণভাবে সমর্থন করেন। কিন্তু এ বিচার স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়নে বিচার চায় না বিএনপি।
বিএনপি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে কি না, তা জানতে চাইলে তরিকুল ইসলাম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের খবর আমার জানা নেই।’
No comments