আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
দেশ বিভাগের আগে ১৯৪৭ সাল পর্যনত্ম বাঙালী মুসলমানরা উদর্ু জানাকে নিজেদের বংশ গৌরবের অংশ হিসেবেই মনে করতেন। তাদের দৃষ্টিতে যাঁরা উর্দু জানতেন না, তাঁরা সৎ বংশজাত মুসলমান হিসেবে পরিচিতি পেতেন না।
শুধু তাই নয়, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকার করতেও তাদের সামাজিক মর্যাদা ৰুণ্ন হতো। তবে বাঙালী মুসলমানদের এই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। এই আন্দোলনের সূচনার পর থেকেই মুসলমানদের ভাষার প্রতি ভালবাসা প্রকাশ পেতে থাকে। এর আগে উচ্চ শ্রেণীর মুসলমানরা মনে করতেন সৎ বংশজাত মুসলমান মানেই তাদের পূর্বপুুরম্নষ আরব, ইরান বা তুকর্ী থেকে আগত। যার ফলে মুসলমানরা নিম্ন পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হওয়া মাত্র সামাজিক মর্যাদা লাভের জন্য মিথ্যা বংশ পরিচয় তালিকা রচনা করতেন।এভাবেই মুসলমানরা আত্মিক দিক থেকে স্বদেশে থাকলেন পরবাসী হয়ে। এই মুসলমানদের সকল ভ্রানত্ম ধারণা দূর হয়ে যায় বাঙালীদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসার ও প্রচারের মাধ্যমে। সে ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এই একুশের মাসেই চলে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমীর মূল মঞ্চে আলোচনা হবে ভাষা সংগ্রামী শহীদ আলতাফ মাহমুদকে নিয়ে। এতে সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক করম্নণাময় গোস্বামী। আরও আলোচনা করবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম ও শিমুল ইউসুফ।
No comments