স্পর্শকাতর সামরিক তথ্য পাচার !
বাংলাদেশের গুরম্নত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাসমূহের অবস্থান ও সামরিকবাহিনীর স্পর্শকাতর তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারে। ব্যবসায়ী সেজে মিয়ানমারের একটি গুপ্তচর চক্র বাংলাদেশের অভ্যনত্মরে সক্রিয় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে স্পর্শকাতর তথ্যসহ আট বার্মিজ নাগরিক হাতেনাতে গ্রেফতার হয়েছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদেও গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনী সম্পর্কিত অনত্মত ৯টি দলিল পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে আরাকানিজ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে। খবর নতুনদেশ ডটকম।জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রম্নয়ারি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাংলাদেশের জলসীমানা থেকে আটজন বার্মিজ নাগরিককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পুলিশ বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর সদর দফতর ছাড়াও কক্সবাজার, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ নৌবাহিনীর স্থাপনার ছবি, ম্যাপ এবং সেনাবাহিনীর কিছু তথ্য, গুরম্নত্বপূর্ণ চিঠি এবং দলিলপত্র আটক করে। এদের গ্রেফতারের পর ১৫ ফেব্রম্নয়ারি থেকে টানা আরকানিজ বার্তা সংস্থা 'নারিনজারা' এই সম্পর্কে খবর পরিবেশন করে, যা পাকিসত্মানের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, আরাকান রাজ্যের মনোয়াঙ টাউনশিপ থেকে গরম্ন নিয়ে নৌকায় করে এই গ্রম্নপটি বাংলাদেশে সীমানত্মে ঢোকে। নাফ নদীর মুখে সীমানত্মবর্তী শাহপুরী দ্বীপে এসে তারা গরম্নগুলো বিক্রি করে দেয়। মোট ১৩০টি গরম্ন বিক্রি করে আরাকানে ফিরে যাবার পথে নৌবাহিনী তাদের আটক করে।
জানা যায়, নৌবাহিনীর জওয়ানরা বার্মিজদের নৌকাটি তলস্নাশি চালিয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার ফটো, ম্যাপসহ অন্যান্য তথ্য উদ্ধার করে। বার্মিজদের নৌকা থেকে উদ্ধার করা ডিজিটাল ক্যামেরায় বাংলাদেশের নৌ ও সেনাবাহিনীর ছবি ছাড়াও মিয়ানমারের নৌবাহিনীর কিছু সদস্যের ছবিও পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর নৌবাহিনী তাদের টেকনাফে পুলিশের হাতে হসত্মানত্মর করে। পরে তাদের কক্সবাজারে এনে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যনত্ম তারা পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে নৌবাহিনীর হাতে আটক হওয়া নৌকায় থাকা একজন ব্যবসায়ীর উদ্ধৃতি দিয়ে আরাকানিজ বার্তা সংস্থাটি জানায়, এই গ্রম্নপটির কর্মকা- সম্পর্কে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে অনেকদিন থেকেই রিপোর্ট ছিল। আর এ কারণেই বাংলাদেশ জলসীমানায় অবৈধভাবে প্রবেশ করলেও নৌবাহিনী বাধা দেয়নি। ফেরার পথে তাদের আটক করে ফেলে।
মিয়ানমার থেকে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক বার্মিজ বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে এই প্রথম কোন বার্মিজ নাগরিককে বাংলাদেশ গ্রেফতার করল। তবে সেনাবাহিনী তথা বাংলাদেশের অভ্যনত্মরীণ প্রতিরা সংক্রানত্ম তথ্য পাচারকালে হাতেনাতে গ্রেফতার হওয়াদের ঢাকায় না নিয়ে কক্সবাজারে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে কেন রাখা হয়েছে তা জানা যায়নি।
No comments