এফডিসিতে এক চক্কর- ‘ভাইয়া, আর কতক্ষণ?’ by শফিক আল মামুন
দৃশ্য ১
বেলা দুইটা। এফডিসির প্রধান ফটক। কৌতূহলী মানুষের নিত্যদিনের ভিড়। দু-তিনজন লোক এলোমেলো ঘোরাঘুরি করছেন। কিছুক্ষণ পর পর গিয়ে দর্শনার্থীদের কানে কানে ফিসফাস করে কী যেন বলছেন। দূর থেকে তা আন্দাজ করা গেল। দর্শনার্থীদের একজন তুষার।
বেলা দুইটা। এফডিসির প্রধান ফটক। কৌতূহলী মানুষের নিত্যদিনের ভিড়। দু-তিনজন লোক এলোমেলো ঘোরাঘুরি করছেন। কিছুক্ষণ পর পর গিয়ে দর্শনার্থীদের কানে কানে ফিসফাস করে কী যেন বলছেন। দূর থেকে তা আন্দাজ করা গেল। দর্শনার্থীদের একজন তুষার।
এফডিসির প্রধান ফটকে প্রায়ই ঢুঁ মারেন তিনি। কানে কানে কী কথা হলো? জানতে চাইলে তুষার বললেন, ‘ভিতরে যাইতে দিব। তয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা লাগব।’ কে নেবে টাকা? ‘ওই যে যিনি কয়ে গেলেন।’ ওখানে দাঁড়ানো বেশ কয়েকজন জানালেন, লোকগুলো দালাল। ফটকের দারোয়ানের যোগসাজশে এ কাজ করেন।
দৃশ্য ২
৮ নম্বর ফ্লোরের সামনে আসতেই পেরেক পেটানো হাতুড়ির শব্দ কানে এল। দেখি, ফ্লোরের বারান্দাজুড়ে সেট। একজন কর্মী জানালেন, জেলখানার সেট।
পেছনে ফিরতেই ক্যানটিনের সামনের রাস্তায় পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামসহ কয়েকজনকে দেখা গেল। দাঁড়িয়ে খোশগল্প করছেন। পাশ দিয়ে চিত্রনায়িকা আঁচল দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ থামলেন। আরও দ্রুত পায়ে ফিরে এলেন। একই গতিতে নিজেও ওখানে পৌঁছে যাই। কান পাতি। হন্তদন্ত আঁচল চাষী নজরুল ইসলামকে সালাম করলেন। বললেন, ‘আংকেল, আমি খেয়াল করিনি। আপনি কেমন আছেন?’ ‘ভালো। তোমার তো অনেক প্রশংসা শুনছি। ভালো করে কাজ করো।’ বললেন চাষী নজরুল ইসলাম। ‘জি, আমার জন্য দোয়া করবেন।’
দৃশ্য ৩
মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের সামনের পরিবেশ ভিন্ন রকমের মনে হচ্ছে। অনেক মানুষের জটলা। কাছে এসে দেখি এলাহি কাণ্ড! ঝরনা স্পট থেকে কমপ্লেক্সের পুরো আঙিনা ছোটখাটো বাজার সাজানো। সব রকমের দোকানপাট গড়ে উঠেছে। বাজারের মাঝখানে একটা দৃশ্য দেখে তো চোখ কপালে!
ক্রেনে ঝোলানো তারের সঙ্গে উঁচুতে ঝুলছেন নায়িকা আঁচল। কী ঘটনা? পাশেই একজন বললেন, শাফি ভাইয়ের নতুন ছবির শুটিং। কী ছবি? প্রেম প্রেম পাগলামি। পরিচালক শাফি উদ্দীন শাফিকে দেখা গেল। ক্যামেরার পেছনে চিত্রগ্রাহক তপন আহমেদের সঙ্গে ক্যামেরা সাজিয়ে নিচ্ছেন। ওদিকে ক্রেনে ঝুলতে ঝুলতে আঁচল তো কাহিল! ‘ভাইয়া, আর কতক্ষণ...কতক্ষণ?’ বারবার বলছেন আঁচল।
এক ফাঁকে এ দৃশ্য সম্পর্কে বললেন শাফি। ‘শপিংয়ে এসে আঁচল একদল গুন্ডার আক্রমণে পড়েন। নায়ক বাপ্পি এসে গুন্ডাদলের হাত থেকে রক্ষা করবেন।’ দৃশ্য ধারণের প্রস্তুতি শেষ। তপন বললেন, ‘ওকে, আমরা যাই।’ শাফিও বললেন, ‘ওকে।’ পরিচালক বললেন, ‘অ্যাকশন।’...একদল গুন্ডা আঁচলের দিকে ছুটে আসছে। আঁচল দৌড়াচ্ছেন। ধরে ফেলবে ফেলবে...এমন সময় বাপ্পি এসে আঁচলের হাত ধরে উঁচু করে ক্রেনের তারের সাহায্যে গুন্ডাদের মাথার ওপর দিয়ে আঁচলকে ছুড়ে ফেললেন। ‘কাট...কাট...কাট...’ বলে চিত্র গ্রাহক তপন চিৎকার দিয়ে বললেন, দৃশ্যে পরিচালক ও সহযোগী পরিচালক দুজনই ঢুকে গেছেন।’ চারপাশে হাসির রোল! হাসতে হাসতে শাফি বললেন, ‘থাকি না ভাই! আর কতকাল ক্যামেরার পেছনে থাকব।’
একই দৃশ্য ধারণের প্রস্তুতি শুরু হলো আবার। আমি বেছে নিলাম ফেরার রাস্তা।
দৃশ্য ২
৮ নম্বর ফ্লোরের সামনে আসতেই পেরেক পেটানো হাতুড়ির শব্দ কানে এল। দেখি, ফ্লোরের বারান্দাজুড়ে সেট। একজন কর্মী জানালেন, জেলখানার সেট।
পেছনে ফিরতেই ক্যানটিনের সামনের রাস্তায় পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামসহ কয়েকজনকে দেখা গেল। দাঁড়িয়ে খোশগল্প করছেন। পাশ দিয়ে চিত্রনায়িকা আঁচল দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ থামলেন। আরও দ্রুত পায়ে ফিরে এলেন। একই গতিতে নিজেও ওখানে পৌঁছে যাই। কান পাতি। হন্তদন্ত আঁচল চাষী নজরুল ইসলামকে সালাম করলেন। বললেন, ‘আংকেল, আমি খেয়াল করিনি। আপনি কেমন আছেন?’ ‘ভালো। তোমার তো অনেক প্রশংসা শুনছি। ভালো করে কাজ করো।’ বললেন চাষী নজরুল ইসলাম। ‘জি, আমার জন্য দোয়া করবেন।’
দৃশ্য ৩
মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের সামনের পরিবেশ ভিন্ন রকমের মনে হচ্ছে। অনেক মানুষের জটলা। কাছে এসে দেখি এলাহি কাণ্ড! ঝরনা স্পট থেকে কমপ্লেক্সের পুরো আঙিনা ছোটখাটো বাজার সাজানো। সব রকমের দোকানপাট গড়ে উঠেছে। বাজারের মাঝখানে একটা দৃশ্য দেখে তো চোখ কপালে!
ক্রেনে ঝোলানো তারের সঙ্গে উঁচুতে ঝুলছেন নায়িকা আঁচল। কী ঘটনা? পাশেই একজন বললেন, শাফি ভাইয়ের নতুন ছবির শুটিং। কী ছবি? প্রেম প্রেম পাগলামি। পরিচালক শাফি উদ্দীন শাফিকে দেখা গেল। ক্যামেরার পেছনে চিত্রগ্রাহক তপন আহমেদের সঙ্গে ক্যামেরা সাজিয়ে নিচ্ছেন। ওদিকে ক্রেনে ঝুলতে ঝুলতে আঁচল তো কাহিল! ‘ভাইয়া, আর কতক্ষণ...কতক্ষণ?’ বারবার বলছেন আঁচল।
এক ফাঁকে এ দৃশ্য সম্পর্কে বললেন শাফি। ‘শপিংয়ে এসে আঁচল একদল গুন্ডার আক্রমণে পড়েন। নায়ক বাপ্পি এসে গুন্ডাদলের হাত থেকে রক্ষা করবেন।’ দৃশ্য ধারণের প্রস্তুতি শেষ। তপন বললেন, ‘ওকে, আমরা যাই।’ শাফিও বললেন, ‘ওকে।’ পরিচালক বললেন, ‘অ্যাকশন।’...একদল গুন্ডা আঁচলের দিকে ছুটে আসছে। আঁচল দৌড়াচ্ছেন। ধরে ফেলবে ফেলবে...এমন সময় বাপ্পি এসে আঁচলের হাত ধরে উঁচু করে ক্রেনের তারের সাহায্যে গুন্ডাদের মাথার ওপর দিয়ে আঁচলকে ছুড়ে ফেললেন। ‘কাট...কাট...কাট...’ বলে চিত্র গ্রাহক তপন চিৎকার দিয়ে বললেন, দৃশ্যে পরিচালক ও সহযোগী পরিচালক দুজনই ঢুকে গেছেন।’ চারপাশে হাসির রোল! হাসতে হাসতে শাফি বললেন, ‘থাকি না ভাই! আর কতকাল ক্যামেরার পেছনে থাকব।’
একই দৃশ্য ধারণের প্রস্তুতি শুরু হলো আবার। আমি বেছে নিলাম ফেরার রাস্তা।
No comments