সহিংস কর্মসূচিতে জনগণের স্বার্থ নেই- জামায়াতের হরতাল
সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে হরতাল! যে রাজনৈতিক বাস্তবতায় হরতাল মানেই জনমনে আতঙ্ক আর নাশকতা, সেই বাস্তবতায় এ রকম কর্মসূচি কেবল হঠকারীই নয়, গণবিরোধী হতে বাধ্য।
প্রতিবাদ আর নৈরাজ্য সৃষ্টির মধ্যে যেমন পার্থক্য রয়েছে, তেমনি জামায়াতের সমাবেশের সঙ্গে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চার মৌলিক পার্থক্য ঘটে গেছে। মানুষকে জিম্মি করে, ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে দাবি আদায় কোনোভাবেই সমর্থন পেতে পারে না।
গত কয়েক মাসে তো বটেই, গত কয়েক দিনেও জামায়াতে ইসলামীর শরিক সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির যেভাবে পুলিশ বাহিনীর ওপর সহিংস আক্রমণ করেছে, যেভাবে গাড়ি ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি চালিয়েছে, তা পরিষ্কারভাবে নৈরাজ্যমূলক আচরণ। সরাসরি পুলিশ বাহিনীকে নিশানা করে চোরাগোপ্তা হামলা পরিচালনা করা কোনো নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। রাজনীতির নামে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলতেও দেওয়া যায় না। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব চালিয়ে যাওয়ার জন্যই কি আরেকটি হরতাল ডাকা হয়েছে?
দ্বিতীয়ত, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত নেতাদের মুক্তির দাবিও মোটেই আইনসম্মত দাবি নয়। এটি অনৈতিক ও জনস্বার্থবিরোধী একটি দাবি। এটি স্পষ্ট যে যাঁদের অপরাধের বিরুদ্ধে বিচার চলছে, তাঁদের বিষয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি আইনের শাসনের বিরোধিতার জন্যই দেওয়া হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দল এভাবে খোলাখুলি আইন, সংবিধান ও নীতিনৈতিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে, সেই রাজনৈতিক দল জনগণের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে বলে মনে হবে। জামায়াতে ইসলামী যদি তা করে, তবে সরকারকে অবশ্যই তা প্রতিহত করতে হবে।
বুধবার হরতাল ঘোষণামাত্রই যেভাবে রাজধানীতে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে যায়, তাতে বোঝা যাচ্ছে, জামায়াতে ইসলামী পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাণ্ডুলিপি অনুসরণ করে যাচ্ছে। এ রকম অবস্থায় জনসমাজের হুঁশিয়ার থাকা যেমন প্রয়োজন, তেমনি সরকারেরও উচিত সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। কোনো রকম উসকানিতে পা না দিয়ে জনজীবনে শান্তি রক্ষায় সচেষ্ট থাকাই এখন সরকারের প্রথম দায়িত্ব।
এ অবস্থায় প্রধান বিরোধী দলেরও দায়িত্ব রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি একটি বৈধ রাজনৈতিক দাবি হিসেবে গণ্য হতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামে মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধকারী নেতাদের মুক্তির দাবিকে গুলিয়ে ফেলার সুযোগ নেই। এতে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটিই বরং আরও কলঙ্কিত হবে। জামায়াতের দ্বিতীয় দাবিটি জনদুর্ভোগের বিরুদ্ধে। হরতাল ও হামলা-নাশকতার মাধ্যমে যারা জনদুর্ভোগ ঘটাচ্ছে, অপ্রয়োজনীয় হরতাল করে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে, জনদুর্ভোগের প্রতিবাদের নৈতিক অধিকার তাদের কতটুকু আসলে?
যেকোনো রাজনৈতিক দাবি আদায় কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সহিংসতার চর্চাকে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে। এখন হরতাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সহিংসতার বাঁধনছেঁড়া প্রকাশ। অতীতে সহিংসতা আরও সহিংসতা ও বিপর্যয় টেনে এনেছে; এই শিক্ষা যেন সব কটি রাজনৈতিক দল গ্রহণ করে।
গত কয়েক মাসে তো বটেই, গত কয়েক দিনেও জামায়াতে ইসলামীর শরিক সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির যেভাবে পুলিশ বাহিনীর ওপর সহিংস আক্রমণ করেছে, যেভাবে গাড়ি ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি চালিয়েছে, তা পরিষ্কারভাবে নৈরাজ্যমূলক আচরণ। সরাসরি পুলিশ বাহিনীকে নিশানা করে চোরাগোপ্তা হামলা পরিচালনা করা কোনো নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। রাজনীতির নামে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলতেও দেওয়া যায় না। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব চালিয়ে যাওয়ার জন্যই কি আরেকটি হরতাল ডাকা হয়েছে?
দ্বিতীয়ত, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত নেতাদের মুক্তির দাবিও মোটেই আইনসম্মত দাবি নয়। এটি অনৈতিক ও জনস্বার্থবিরোধী একটি দাবি। এটি স্পষ্ট যে যাঁদের অপরাধের বিরুদ্ধে বিচার চলছে, তাঁদের বিষয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি আইনের শাসনের বিরোধিতার জন্যই দেওয়া হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দল এভাবে খোলাখুলি আইন, সংবিধান ও নীতিনৈতিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে, সেই রাজনৈতিক দল জনগণের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে বলে মনে হবে। জামায়াতে ইসলামী যদি তা করে, তবে সরকারকে অবশ্যই তা প্রতিহত করতে হবে।
বুধবার হরতাল ঘোষণামাত্রই যেভাবে রাজধানীতে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে যায়, তাতে বোঝা যাচ্ছে, জামায়াতে ইসলামী পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাণ্ডুলিপি অনুসরণ করে যাচ্ছে। এ রকম অবস্থায় জনসমাজের হুঁশিয়ার থাকা যেমন প্রয়োজন, তেমনি সরকারেরও উচিত সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। কোনো রকম উসকানিতে পা না দিয়ে জনজীবনে শান্তি রক্ষায় সচেষ্ট থাকাই এখন সরকারের প্রথম দায়িত্ব।
এ অবস্থায় প্রধান বিরোধী দলেরও দায়িত্ব রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি একটি বৈধ রাজনৈতিক দাবি হিসেবে গণ্য হতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামে মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধকারী নেতাদের মুক্তির দাবিকে গুলিয়ে ফেলার সুযোগ নেই। এতে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটিই বরং আরও কলঙ্কিত হবে। জামায়াতের দ্বিতীয় দাবিটি জনদুর্ভোগের বিরুদ্ধে। হরতাল ও হামলা-নাশকতার মাধ্যমে যারা জনদুর্ভোগ ঘটাচ্ছে, অপ্রয়োজনীয় হরতাল করে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে, জনদুর্ভোগের প্রতিবাদের নৈতিক অধিকার তাদের কতটুকু আসলে?
যেকোনো রাজনৈতিক দাবি আদায় কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সহিংসতার চর্চাকে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে। এখন হরতাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সহিংসতার বাঁধনছেঁড়া প্রকাশ। অতীতে সহিংসতা আরও সহিংসতা ও বিপর্যয় টেনে এনেছে; এই শিক্ষা যেন সব কটি রাজনৈতিক দল গ্রহণ করে।
No comments