ব্রিটেনের কারি শিল্পে ৫০ হাজার বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান সম্ভব- প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগঃ সুযোগ নিচ্ছে ভারতীয়রা by জিয়াউল হক মিজান
সাড়ে তিন হাজার বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগে তিলে তিলে গড়ে ওঠা ব্রিটেনের ঐতিহ্যবাহী কারি শিল্পে ৮০ শতাংশই বাংলাদেশীদের দখলে।
মালিকানা বাংলাদেশী হলেও এসব কারখানার শ্রমিকদের অধিকাংশই ভারতীয়। বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক উদ্যোগহীনতায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের শ্রমবাজার দখল করে নিয়েছে ভারতীয়রা। অথচ সরকারিভারে একটু উদ্যোগ নেয়া হলেই এ শিল্পে ৫০ হাজার বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান হতে পারে। অর্জিত হতে পারে কোটি কোটি পাউন্ড বৈদেশিক মুদ্রা।
ব্রিটেনের রাজপরিবার থেকে শুরু করে অতি সাধারণেরও রসনা বিলাসে ব্যাপক জনপ্রিয় বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টের রকমারি খাবার। পঞ্চাশের দশকে শুরু হওয়া এ ব্যবসায় আজ ব্রিটিশ অর্থনীতির অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ নিয়মিত বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টে খাবার গ্রহণ করছেন। দেশের বাইরে বাঙালিনিয়ন্ত্রিত এমন বিশাল শিল্প অন্য কোথাও নেই।
বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ১২ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে ১৯৬০ সালে গড়া প্রভাবশালী সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট মালিক ও কর্মীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করছে সংগঠনটি। বাংলাদেশের নানা দুর্যোগেও পাশে দাঁড়িয়েছে বিসিএ।
বিসিএ সভাপতি পাশা খন্দকার বলেন, দক্ষ শেফ ও ম্যানেজারের অভাবে আমরা প্রতি বছর ৩০ শতাংশ হারে ব্যবসায় হারাচ্ছি। কারণ আমাদের দক্ষ শেফদের অনেকেই অবসরে চলে যাচ্ছেন। সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা এবং পরিকল্পনার অভাবে তাদের স্থলে আমরা বাংলাদেশীদের নিয়োগ দিতে পারছি না। ভিসা জটিলতার কারণে নতুন নতুন বাংলাদেশীদের ব্রিটেনে নিয়ে যেতে পারছি না। দেশে উপযুক্ত ট্রেনিং সেন্টার না থাকায় আমাদের লোকেরা প্রশিক্ষপ্রাপ্ত হচ্ছে না। অথচ ভারত সরকার সে দেশে শত শত ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ইংল্যান্ডে পাঠাচ্ছে এবং বাংলাদেশের তৈরী করা শ্যামবাজার দখল করে নিচ্ছে।
বিসিএ সাধারণ সম্পাদক এম এ মুনিম এ প্রসঙ্গে বলেন, ১২ হাজারের বেশি রেস্টুরেন্টের মালিক বাংলাদেশী হলেও আমরা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনতে পারছি না। আমাদের ওপর ভর করে ভারতীয়রা একচেটিয়া ব্যবসায় করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার এগিয়ে এলে আমরা ১২ হাজার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেশপ্রেমের মনোভাব নিয়েই দেশের পাশে দাঁড়াতে পারি।
ব্রিটেনের রাজপরিবার থেকে শুরু করে অতি সাধারণেরও রসনা বিলাসে ব্যাপক জনপ্রিয় বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টের রকমারি খাবার। পঞ্চাশের দশকে শুরু হওয়া এ ব্যবসায় আজ ব্রিটিশ অর্থনীতির অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ নিয়মিত বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টে খাবার গ্রহণ করছেন। দেশের বাইরে বাঙালিনিয়ন্ত্রিত এমন বিশাল শিল্প অন্য কোথাও নেই।
বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ১২ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে ১৯৬০ সালে গড়া প্রভাবশালী সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট মালিক ও কর্মীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করছে সংগঠনটি। বাংলাদেশের নানা দুর্যোগেও পাশে দাঁড়িয়েছে বিসিএ।
বিসিএ সভাপতি পাশা খন্দকার বলেন, দক্ষ শেফ ও ম্যানেজারের অভাবে আমরা প্রতি বছর ৩০ শতাংশ হারে ব্যবসায় হারাচ্ছি। কারণ আমাদের দক্ষ শেফদের অনেকেই অবসরে চলে যাচ্ছেন। সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা এবং পরিকল্পনার অভাবে তাদের স্থলে আমরা বাংলাদেশীদের নিয়োগ দিতে পারছি না। ভিসা জটিলতার কারণে নতুন নতুন বাংলাদেশীদের ব্রিটেনে নিয়ে যেতে পারছি না। দেশে উপযুক্ত ট্রেনিং সেন্টার না থাকায় আমাদের লোকেরা প্রশিক্ষপ্রাপ্ত হচ্ছে না। অথচ ভারত সরকার সে দেশে শত শত ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ইংল্যান্ডে পাঠাচ্ছে এবং বাংলাদেশের তৈরী করা শ্যামবাজার দখল করে নিচ্ছে।
বিসিএ সাধারণ সম্পাদক এম এ মুনিম এ প্রসঙ্গে বলেন, ১২ হাজারের বেশি রেস্টুরেন্টের মালিক বাংলাদেশী হলেও আমরা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনতে পারছি না। আমাদের ওপর ভর করে ভারতীয়রা একচেটিয়া ব্যবসায় করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার এগিয়ে এলে আমরা ১২ হাজার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেশপ্রেমের মনোভাব নিয়েই দেশের পাশে দাঁড়াতে পারি।
No comments