স্মার্ট গামের্ন্টে অগ্নিকাণ্ডে ৭ শ্রমিকের মৃত্যু- চেয়ারম্যান ও এমডি গ্রেফতারঃ রিমান্ডে
মালিকদের অবহেলায় অগ্নিকাণ্ডে সাত শ্রমিকের মৃত্যু ঘটনায় মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার স্মার্ট ফ্যাশন এক্সপোর্ট গার্মেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে গ্রেফতার করে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গতকাল সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে স্মার্ট ফ্যাশনের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও এমডি শরীফ আহমেদকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। গত শনিবার মোহাম্মদপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন আগুনে নিহত শ্রমিক রাজিয়ার বাবা আলতাফ হোসেন। মামলার এজাহারে তিনি বলেন, মালিকপক্ষের অবহেলা ও গাফলতির কারণে এতগুলো শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
ডিবি পশ্চিম বিভাগের ডিসি মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে গার্মেন্ট পরিচালনা এবং অবহেলার কারণে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ওই গার্মেন্ট তৈরিতে সরকারের অনুমতি ছিল না। এ ছাড়া তাদের ইনস্যুরেন্সও নেই। তিনি বলেন, অতি লোভের আশায় নিয়ম-নীতি না মেনে গার্মেন্ট পরিচালনা করে আসছিলেন তারা।
ডিসি আরো বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ বা উদ্দেশ্য রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখতে গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। কারণ ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক পাঁচজন। তাদের সাথে কোনো গ্রুপিং থ্কাতে পারে। এ ছাড়া শত্রুতার কারণে একজন অন্যজনকে শায়েস্তা করতে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে। এসব বিষয়ে কিয়ার হওয়ার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একই সাথে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি ওই গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডে সাতজন নারী পোশাকশ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
স্মার্ট গামের্ন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ
এ দিকে আদালত প্রতিবেদক জানান, ‘স্মার্ট’ গামের্ন্টে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা স্থাপন না করা পর্যন্ত কারাখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর এ সময় শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধেরও নির্দেশ দেন আদালত। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক ফৌজদারি আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেন আদালত। স্মার্ট গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিকদের গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে এ আবেদনটি করা হয়।
আদালতে আবেদনের পে ছিলেন, অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। অমিত তালুকদার জানান, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি আদালত রুল জারি করেছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদিদের রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
রিটের বিবাদিরা হচ্ছেনÑ শ্রমসচিব, পুলিশের আইজি, ঢাকা জেলার প্রশাসক, মোহাম্মদপুর থানার ওসি, স্মার্ট গার্মেন্টের পরিচালক মো: শরীফ আহমেদ, জাকির আহমেদ ও সুভাষ এবং বিজিএমইএ।
ডিবি পশ্চিম বিভাগের ডিসি মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে গার্মেন্ট পরিচালনা এবং অবহেলার কারণে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ওই গার্মেন্ট তৈরিতে সরকারের অনুমতি ছিল না। এ ছাড়া তাদের ইনস্যুরেন্সও নেই। তিনি বলেন, অতি লোভের আশায় নিয়ম-নীতি না মেনে গার্মেন্ট পরিচালনা করে আসছিলেন তারা।
ডিসি আরো বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ বা উদ্দেশ্য রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখতে গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। কারণ ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক পাঁচজন। তাদের সাথে কোনো গ্রুপিং থ্কাতে পারে। এ ছাড়া শত্রুতার কারণে একজন অন্যজনকে শায়েস্তা করতে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে। এসব বিষয়ে কিয়ার হওয়ার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একই সাথে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি ওই গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডে সাতজন নারী পোশাকশ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
স্মার্ট গামের্ন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ
এ দিকে আদালত প্রতিবেদক জানান, ‘স্মার্ট’ গামের্ন্টে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা স্থাপন না করা পর্যন্ত কারাখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর এ সময় শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধেরও নির্দেশ দেন আদালত। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক ফৌজদারি আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেন আদালত। স্মার্ট গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিকদের গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে এ আবেদনটি করা হয়।
আদালতে আবেদনের পে ছিলেন, অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। অমিত তালুকদার জানান, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি আদালত রুল জারি করেছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদিদের রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
রিটের বিবাদিরা হচ্ছেনÑ শ্রমসচিব, পুলিশের আইজি, ঢাকা জেলার প্রশাসক, মোহাম্মদপুর থানার ওসি, স্মার্ট গার্মেন্টের পরিচালক মো: শরীফ আহমেদ, জাকির আহমেদ ও সুভাষ এবং বিজিএমইএ।
No comments