কুকুরের পেটে কচ্ছপের জীবন! by আব্দুল কুদ্দুস
‘সন্ধ্যার পর দল বেঁধে কুকুরের দল ছুটে বেড়ায় সৈকতে। এ সময় সাগর থেকে ডিম পাড়তে সৈকতে ওঠে মা-কচ্ছপ। বালুচরে গর্ত খুঁড়ে ৫০ থেকে ৬০টি করে ডিম পাড়ে। কুকুরের দল নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে ওই কচ্ছপকে পর্যবেক্ষণ করে।
কিছুক্ষণ পর মা-কচ্ছপ আবার সাগরে নেমে যাওয়ার সময় কুকুরের দল এটিকে ঘিরে ধরে, শুরু করে আক্রমণ। শেষ পর্যন্ত কুকুরের পেটে চলে যায় কচ্ছপ আর গর্তের ডিম।’ বঙ্গোপসাগরের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ করিম (৫৫) এভাবেই নিজের দেখা ঘটনার বর্ণনা দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেন্ট মার্টিনে বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচারে বিপন্ন হয়ে উঠেছে কচ্ছপের জীবন। এই দ্বীপের লোকসংখ্যা এখন প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। কিন্তু বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা কমপক্ষে পাঁচ হাজার। বিপুলসংখ্যক কুকুর খাবারের সন্ধানে রাত-দিন সমানে সৈকতে বিচরণ করে। সাগরে ফেলা জালে আটকা পড়ে মরে যাওয়া কচ্ছপ সৈকতে ভেসে এলেই কুকুরের দল হামলে পড়ে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে দ্বীপের প্রায় ৭০০ বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা হয়েছিল। আরও কয়েক হাজার নিধনের চেষ্টা চলছে। কুকুরের উৎপাতে পর্যটকেরাও নানামুখী সমস্যায় পড়ছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের কেউ না থাকায় কচ্ছপ ও ডিম রক্ষা করা যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি মূলত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার শহরে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি কার্যালয় স্থাপন করা হলেও লোকবল নেই বললেই চলে।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আয়াছুর রহমান জানান, গত দুই মাসে সেন্ট মার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ, সোনাদিয়া সৈকতে আট শতাধিক কচ্ছপের মৃতদেহ ভেসে আসে। ডিম পাড়তে এসে কুকুরের কামড়ে মারা গেছে আরও শতাধিক মা-কচ্ছপ। সমুদ্রে ফেলা রাখা নিষিদ্ধ জাল উচ্ছেদ এবং বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা না হলে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমে আরও কয়েক হাজার মা-কচ্ছপের মৃত্যু ঘটতে পারে।
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ হুমায়ুন মোর্শেদ বলেন, জালে আটকা পড়েই মা-কচ্ছপের মৃত্যু হচ্ছে বেশি। আবার প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনসহ বিভিন্ন সৈকতে মা-কচ্ছপ উঠলে বেওয়ারিশ কুকুরের দল আক্রমণ করে খেয়ে ফেলে।
কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সাগরে ফেলা জালে গর্ভবতী কচ্ছপ আটকা পড়লে জেলেরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। তারপর মৃতদেহটি সাগরে নিক্ষেপ করে। কিন্তু নিরীহ এই প্রাণী রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেই।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘গভীর সাগরে নেমে মাছ ধরার ট্রলিং জাহাজ নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ জাল উচ্ছেদ করার মতো জলযান বা লোকবল কোনোটি আমাদের নেই। এখন কোস্টগার্ড ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে কচ্ছপ রক্ষার চেষ্টা চলছে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেন্ট মার্টিনে বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচারে বিপন্ন হয়ে উঠেছে কচ্ছপের জীবন। এই দ্বীপের লোকসংখ্যা এখন প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। কিন্তু বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা কমপক্ষে পাঁচ হাজার। বিপুলসংখ্যক কুকুর খাবারের সন্ধানে রাত-দিন সমানে সৈকতে বিচরণ করে। সাগরে ফেলা জালে আটকা পড়ে মরে যাওয়া কচ্ছপ সৈকতে ভেসে এলেই কুকুরের দল হামলে পড়ে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে দ্বীপের প্রায় ৭০০ বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা হয়েছিল। আরও কয়েক হাজার নিধনের চেষ্টা চলছে। কুকুরের উৎপাতে পর্যটকেরাও নানামুখী সমস্যায় পড়ছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের কেউ না থাকায় কচ্ছপ ও ডিম রক্ষা করা যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি মূলত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার শহরে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি কার্যালয় স্থাপন করা হলেও লোকবল নেই বললেই চলে।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আয়াছুর রহমান জানান, গত দুই মাসে সেন্ট মার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ, সোনাদিয়া সৈকতে আট শতাধিক কচ্ছপের মৃতদেহ ভেসে আসে। ডিম পাড়তে এসে কুকুরের কামড়ে মারা গেছে আরও শতাধিক মা-কচ্ছপ। সমুদ্রে ফেলা রাখা নিষিদ্ধ জাল উচ্ছেদ এবং বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা না হলে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমে আরও কয়েক হাজার মা-কচ্ছপের মৃত্যু ঘটতে পারে।
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ হুমায়ুন মোর্শেদ বলেন, জালে আটকা পড়েই মা-কচ্ছপের মৃত্যু হচ্ছে বেশি। আবার প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনসহ বিভিন্ন সৈকতে মা-কচ্ছপ উঠলে বেওয়ারিশ কুকুরের দল আক্রমণ করে খেয়ে ফেলে।
কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সাগরে ফেলা জালে গর্ভবতী কচ্ছপ আটকা পড়লে জেলেরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। তারপর মৃতদেহটি সাগরে নিক্ষেপ করে। কিন্তু নিরীহ এই প্রাণী রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেই।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘গভীর সাগরে নেমে মাছ ধরার ট্রলিং জাহাজ নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ জাল উচ্ছেদ করার মতো জলযান বা লোকবল কোনোটি আমাদের নেই। এখন কোস্টগার্ড ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে কচ্ছপ রক্ষার চেষ্টা চলছে।’
No comments