স্মার্টের চেয়ারম্যান এমডি রিমান্ডে
আগুনে পুড়ে সাত নারী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদপুরের পোশাক কারখানাটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। ঘটনার তিন দিন পর গত মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত চেয়ারম্যান শরিফ আহমেদ (৫০) ও এমডি জাকির আহমেদকে (৫৬) গতকাল বুধবার আদালতে তোলার আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে হাজির করা হয়।
এদিকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা স্থাপন না করা পর্যন্ত কারখানাটি চালু না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কারখানা বন্ধ থাকার সময়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়ে যেতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির উপকমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্মার্ট পোশাক কারখানাটি সরকারি অনুমোদন ছাড়াই শ্রমিক নিয়োগ করে। পুড়ে যাওয়া কারখানাটিতে ছিল না অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ইনস্যুরেন্সও করেনি তারা। এমনকি ভবনে বিকল্প সিঁড়িও ছিল না। সব মিলিয়ে কারখানাটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। শত শত শ্রমিক নিয়োগ করে তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে মালিকপক্ষ।
দুই দিনের রিমান্ড
চেয়ারম্যান ও এমডিকে গতকাল দুপুরে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবির উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবিরের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত।
হাইকোর্টের নির্দেশ
আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি স্থাপন না করা পর্যন্ত কারখানাটি বন্ধ এবং এ সময়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়ে যেতে কারখানাটির কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগুন লাগার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যেসব আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তাজরীন ও স্মার্ট ফ্যাশন নামক দুটি গার্র্মেন্টের মালিকদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চেয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টে আবেদন করেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম। আবেদনে নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। গতকাল এ আবেদনের ওপর শুনানির সময় আদালত বলেন, তাজরীন গার্মেন্ট আর স্মার্টের বিষয়টি মেলানো যাবে না। ওটা আলাদা বিষয়। এটা আবেদন থেকে বাদ দিতে হবে। এরপর আবেদনকারীর আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ আবেদন থেকে তাজরীন গার্মেন্টসম্পর্কিত অংশ বাদ দিয়ে নতুন করে আবেদন দাখিল করেন। এরপর শুনানি হয়। সরকারের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার শুনানি করেন। পরে আদালত আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার স্মার্ট গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডে সাত পোশাককর্মী নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় নিহত রাজিয়ার বাবা আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে কারখানার তিন পরিচালক শরিফ আহমেদ, জাকির আহমেদ ও সুভাসসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো দুজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। অবহেলাজনিত কারণে এসব পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে বাদী বলেন, মালিকপক্ষের কর্তব্যে অবহেলাজনিত কারণে পদদলিত ও ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে সাত শ্রমিকের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত হন অর্ধশতাধিক শ্রমিক।
এদিকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা স্থাপন না করা পর্যন্ত কারখানাটি চালু না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কারখানা বন্ধ থাকার সময়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়ে যেতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির উপকমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্মার্ট পোশাক কারখানাটি সরকারি অনুমোদন ছাড়াই শ্রমিক নিয়োগ করে। পুড়ে যাওয়া কারখানাটিতে ছিল না অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ইনস্যুরেন্সও করেনি তারা। এমনকি ভবনে বিকল্প সিঁড়িও ছিল না। সব মিলিয়ে কারখানাটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। শত শত শ্রমিক নিয়োগ করে তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে মালিকপক্ষ।
দুই দিনের রিমান্ড
চেয়ারম্যান ও এমডিকে গতকাল দুপুরে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবির উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবিরের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত।
হাইকোর্টের নির্দেশ
আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি স্থাপন না করা পর্যন্ত কারখানাটি বন্ধ এবং এ সময়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়ে যেতে কারখানাটির কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগুন লাগার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যেসব আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তাজরীন ও স্মার্ট ফ্যাশন নামক দুটি গার্র্মেন্টের মালিকদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চেয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টে আবেদন করেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম। আবেদনে নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। গতকাল এ আবেদনের ওপর শুনানির সময় আদালত বলেন, তাজরীন গার্মেন্ট আর স্মার্টের বিষয়টি মেলানো যাবে না। ওটা আলাদা বিষয়। এটা আবেদন থেকে বাদ দিতে হবে। এরপর আবেদনকারীর আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ আবেদন থেকে তাজরীন গার্মেন্টসম্পর্কিত অংশ বাদ দিয়ে নতুন করে আবেদন দাখিল করেন। এরপর শুনানি হয়। সরকারের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার শুনানি করেন। পরে আদালত আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার স্মার্ট গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডে সাত পোশাককর্মী নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় নিহত রাজিয়ার বাবা আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে কারখানার তিন পরিচালক শরিফ আহমেদ, জাকির আহমেদ ও সুভাসসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো দুজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। অবহেলাজনিত কারণে এসব পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে বাদী বলেন, মালিকপক্ষের কর্তব্যে অবহেলাজনিত কারণে পদদলিত ও ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে সাত শ্রমিকের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত হন অর্ধশতাধিক শ্রমিক।
No comments