দিনভর পুলিশের রণসজ্জা রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক
সকাল থেকেই পুলিশের রণপ্রস্তুতি। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে অপেক্ষায় ছিল কখন জামায়াত-শিবিরের মিছিল বের হয়।
জামায়াত
মিছিল করার অনুমতি চেয়ে পায়নি। তবে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কয়েকটি
স্থানে মিছিল করে ইসলামী ছাত্রশিবির। এর মধ্যে পান্থপথে মিছিলে পুলিশ গুলি
চালায়। কমলাপুরে ছাত্রশিবিরের মিছিল থেকে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এমন
পরিস্থিতিতে গতকাল রাজধানীজুড়ে ছিল অজানা আতঙ্ক। যানবাহন ছিল খুবই কম। এমন
কি সাধারণ পথচারীদের সংখ্যাও ছিল স্বাভাবিক দিনের চেয়ে কম। এ দিকে আজ
সারা দেশে হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। এই হরতাল ঘিরে আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীকে আরো কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমির ও সাবেক আমিরসহ বিরোধী দলের সব আটক নেতাকর্মীর মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল ও জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর প থেকে গতকাল প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ২৭ জানুয়ারি এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করলেও পুলিশ এই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি। গতকাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে পুলিশি অনুমতির জন্য অপেক্ষা করা হয়। কিন্তু পুলিশ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অনুমতি না দিয়ে গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে রণপ্রস্তুতি নিয়ে নামে। ১০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কোথাও কোথাও র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করে। বিশেষ করে বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, প্রেস কাব, শাহবাগ, কাঁটাবন, বাংলামোটর ও ফার্মগেট এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রস্তুত ছিল পুলিশের সাজোঁয়া যান, রায়টকার, জলকামান, প্রিজন ভ্যানসহ নানা সরঞ্জাম। পুলিশ মোড়ে মোড়ে রণপ্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। মোতায়েন করা হয় বিপুল সাদা পোশাকধারী পুলিশ এবং গোয়েন্দা। এরা বিভিন্ন স্থানে টহল দিতে থাকে। খবর সংগ্রহের চেষ্টা চালায় জামায়াত-শিবির রাস্তায় নামে কি না।
এই কড়া প্রহরার মধ্যেও রাজধানীর তেজগাঁও, কারওয়ানবাজার, পান্থপথ, শাহবাগ এবং কমলাপুরে মিছিল বের করে ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে কারওয়ানবাজার থেকে মিছিল বের করে ছাত্রশিবির। মিছিলটি পান্থপথের দিকে যাচ্ছিল। পথে পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়। এ সময় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। কলাবাগান থানার ওসি এনামুল হক এনাম বলেছেন, শিবির মিছিল করেছে। তাদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। এ সময় তাদেরকে প্রতিহত করতে রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। ইসলামী ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার পর সেখানে ছাত্রলীগ একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিল থেকে দুই পথচারী যুবককে ধরে বেদম প্রহার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ওই যুবকরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বিকেলে ইসলামী ছাত্রশিবির কমলাপুর এলাকায় একটি মিছিল বের করে। ওই মিছিল থেকে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেখানে পুলিশের সাথে ছাত্রশিবিরের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
এ দিকে মিছিল-সমাবেশ ও পুলিশি অ্যাকশন-হয়রানিতে সাধারণ মানুষ গতকাল ছিল চরম আতঙ্কের মধ্যে। গতকাল রাজধানীর পথঘাট ছিল ফাঁকা। গণপরিবহনও কম দেখা যায় রাস্তায়। সব মিলিয়ে গতকাল হরতাল হরতাল ভাব ছিল। সাধারণ পথচারীর সংখ্যাও ছিল কম। দুপুরের পরই মতিঝিল এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়।
এ দিকে জামায়াতে ইসলামীকে গতকাল প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে না দেয়ায় আজ তারা সারা দেশে হরতাল আহ্বান করেছে। সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে। তবে রাজধানী ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হবে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হরতাল শিথিল করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছেন। অপর দিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় হরতাল শিথিল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। আইনজীবীদের প্রতি ও বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বার্ষিক অনুষ্ঠান ও প্রিমিয়ার লিগের অনুরোধ বিবেচনা করে আজ শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় অর্ধদিবস হরতাল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল অব্যাহত থাকবে।
এ দিকে হরতালকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামবে পুলিশ। আগের যেকোনো হরতালের চেয়ে আজ কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ। এ দিকে রাস্তায় যাতে যানবাহন চলাচল করে সে জন্য পরিবহন মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে পরিবহন মালিক সূত্র জানায়।
গতকাল সন্ধ্যার দিকে মগবাজার এলাকায় একটি ৬ নম্বর বাসে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ বলেছে, হরতাল আহ্বানকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালের সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমির ও সাবেক আমিরসহ বিরোধী দলের সব আটক নেতাকর্মীর মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল ও জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর প থেকে গতকাল প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ২৭ জানুয়ারি এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করলেও পুলিশ এই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি। গতকাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে পুলিশি অনুমতির জন্য অপেক্ষা করা হয়। কিন্তু পুলিশ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অনুমতি না দিয়ে গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে রণপ্রস্তুতি নিয়ে নামে। ১০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কোথাও কোথাও র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করে। বিশেষ করে বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, প্রেস কাব, শাহবাগ, কাঁটাবন, বাংলামোটর ও ফার্মগেট এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রস্তুত ছিল পুলিশের সাজোঁয়া যান, রায়টকার, জলকামান, প্রিজন ভ্যানসহ নানা সরঞ্জাম। পুলিশ মোড়ে মোড়ে রণপ্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। মোতায়েন করা হয় বিপুল সাদা পোশাকধারী পুলিশ এবং গোয়েন্দা। এরা বিভিন্ন স্থানে টহল দিতে থাকে। খবর সংগ্রহের চেষ্টা চালায় জামায়াত-শিবির রাস্তায় নামে কি না।
এই কড়া প্রহরার মধ্যেও রাজধানীর তেজগাঁও, কারওয়ানবাজার, পান্থপথ, শাহবাগ এবং কমলাপুরে মিছিল বের করে ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে কারওয়ানবাজার থেকে মিছিল বের করে ছাত্রশিবির। মিছিলটি পান্থপথের দিকে যাচ্ছিল। পথে পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়। এ সময় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। কলাবাগান থানার ওসি এনামুল হক এনাম বলেছেন, শিবির মিছিল করেছে। তাদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। এ সময় তাদেরকে প্রতিহত করতে রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। ইসলামী ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার পর সেখানে ছাত্রলীগ একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিল থেকে দুই পথচারী যুবককে ধরে বেদম প্রহার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ওই যুবকরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বিকেলে ইসলামী ছাত্রশিবির কমলাপুর এলাকায় একটি মিছিল বের করে। ওই মিছিল থেকে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেখানে পুলিশের সাথে ছাত্রশিবিরের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
এ দিকে মিছিল-সমাবেশ ও পুলিশি অ্যাকশন-হয়রানিতে সাধারণ মানুষ গতকাল ছিল চরম আতঙ্কের মধ্যে। গতকাল রাজধানীর পথঘাট ছিল ফাঁকা। গণপরিবহনও কম দেখা যায় রাস্তায়। সব মিলিয়ে গতকাল হরতাল হরতাল ভাব ছিল। সাধারণ পথচারীর সংখ্যাও ছিল কম। দুপুরের পরই মতিঝিল এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়।
এ দিকে জামায়াতে ইসলামীকে গতকাল প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে না দেয়ায় আজ তারা সারা দেশে হরতাল আহ্বান করেছে। সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে। তবে রাজধানী ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হবে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হরতাল শিথিল করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছেন। অপর দিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় হরতাল শিথিল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। আইনজীবীদের প্রতি ও বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বার্ষিক অনুষ্ঠান ও প্রিমিয়ার লিগের অনুরোধ বিবেচনা করে আজ শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় অর্ধদিবস হরতাল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল অব্যাহত থাকবে।
এ দিকে হরতালকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামবে পুলিশ। আগের যেকোনো হরতালের চেয়ে আজ কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ। এ দিকে রাস্তায় যাতে যানবাহন চলাচল করে সে জন্য পরিবহন মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে পরিবহন মালিক সূত্র জানায়।
গতকাল সন্ধ্যার দিকে মগবাজার এলাকায় একটি ৬ নম্বর বাসে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ বলেছে, হরতাল আহ্বানকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালের সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
No comments