মওলানা ভাসানী স্মরণে আলোচনা সভা- দলীয়ভাবে নির্বাচন দিতে গেলে জনগণ উচিত শিক্ষা দেবেঃ তরিকুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম বলেছেন,
আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চাইলে জনগণ তাদের উচিত
শিক্ষা দিবে।
তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এখনো
সময় আছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার দাবি মেনে নিন, না হলে
গণজোয়ারে ভেসে যাবেন। তিনি বলেন, এই সরকার পাঠ্যপুস্তক থেকে ভাসানীর নাম
মুছে ফেলেছে, কিন্তু দেশ যত দিন থাকবে মজলুম জননেতার নামও তত দিন থাকবে।
গতকাল জাতীয় প্রেস কাবে ‘মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ও বাঙ্গালীর ইতিহাস বিকৃতির ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গণপরিষদ এ আলোচনার আয়োজন করে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খানসহ দেশের বুদ্ধিজীবীরা পর্যন্ত বলছেন, ডিসি-এসপিসহ পদোন্নতি প্রাপ্তদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। একদলীয় নির্বাচন করার জন্যই সরকার পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে পদোন্নতি দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়েছে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, সরকার এখনি সচিবালয়ে পাহাড়ায় বিডিআর (বিজিবি) নিয়োজিত করেছে। তিনি সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, এখনি বিডিআর মোতায়েন করেছেন, সামনের দিনগুলোতে কী করবেন?
বিএনপি নেতা বলেন, সব স্বৈরাচারীই পতনের একদিন আগেও মনে করেন তারা চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। কিন্তু কোনো স্বৈরাচারই জনগণকে দমিয়ে ক্ষমতায় টিকতে পারেনি, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও পারবে না।
তিনি বলেন, জনগণের কোনো সমস্যার সমাধানই সরকার করতে পারেনি, তারা কিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকবে? দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বলতে নাই। এ সরকার দেশকে খুনের উপত্যকায় পরিণত করেছে। গুমের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ষণের সংস্কৃতি চালু হয়েছে।
এ অবস্থায় যতই অন্ধকার পথের ষড়যন্ত্র করেন না কেন কোনো লাভ হবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, তোষামোদকারীদের কথা শুনবেন না। জনগণের সমস্যার সমাধান ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আর গত চার বছরে জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারেননি, এই এক বছরেও পারবেন না।
তরিকুল বলেন, সরকারের সর্বস্তরে দুর্নীতি। যে ব্যাংকে হাত দেবেন সেখানেই দুর্নীতির ছড়াছড়ি। তিনি সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, ‘এটা কি মগের মুল্লুক পেয়েছেন?’
তিনি বলেন, দেশের খ্যাতিমান ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বরা সরকারের সমালোচনা করায় আওয়ামী লীগের কাছে খারাপ হয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করলে ফেরেশতাকেও তারা শয়তান বলে।
তিনি বলেন, ভাসানী ছিলেন নেতাদের নেতা। তিনি আমাদের পূর্বপূরুষ। সরকার পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক থেকে ভাসানীর নাম মুছে ফেলেছে। কিন্তু এতে ভাসানীকে মুছে ফেলা যাবে না। এ দেশ যত দিন থাকবে তত দিন মওলানা ভাসানী থাকবেন গণমানুষের হৃদয়জুড়ে।
ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অনেক দাবি এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। দেশ যে পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে তাতে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতে পারে। এ পরিস্থিতি ঠেকাতে হবে। তিনি বলেন, মওলানা ভাসানীর নাম বই থেকে মুছে ফেলা হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি, কিন্তু এখন তা-ই হলো। আসুন ভাসানীর জন্য সংগ্রামে নেমে পড়ি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু অকৃতজ্ঞ নয় তারা কৃতঘœ। সরকার পাঠ্যপুস্তক থেকে মওলানা ভাসানীর নাম মুছে ফেলেছে, এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মুক্তিযোদ্ধা গণপরিষদের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির ঢাকা মহানগর সদস্যসচিব আবদুস সালাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খান।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ মুজিব ছিলেন আপসকামী নেতা। মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জিয়াউর রহমান, জেনারেল ওসমানীর সাথে মুজিবের নাম স্থান পাওয়ার যোগ্য নয়।
আবদুস সালাম বলেন, দেশের মানুষ এখন তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। সরকার চাইলেই দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে পারবে না।
ড. পিয়াস করিম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান নকশাল দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মওলানা ভাসানী এর প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, নকশাল কারো গায়ে লেখা থাকে না।
এখন শুনছি শিবির দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে শিবির কারো গায়ে লেখা থাকে না।’
গতকাল জাতীয় প্রেস কাবে ‘মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ও বাঙ্গালীর ইতিহাস বিকৃতির ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গণপরিষদ এ আলোচনার আয়োজন করে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খানসহ দেশের বুদ্ধিজীবীরা পর্যন্ত বলছেন, ডিসি-এসপিসহ পদোন্নতি প্রাপ্তদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। একদলীয় নির্বাচন করার জন্যই সরকার পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে পদোন্নতি দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়েছে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, সরকার এখনি সচিবালয়ে পাহাড়ায় বিডিআর (বিজিবি) নিয়োজিত করেছে। তিনি সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, এখনি বিডিআর মোতায়েন করেছেন, সামনের দিনগুলোতে কী করবেন?
বিএনপি নেতা বলেন, সব স্বৈরাচারীই পতনের একদিন আগেও মনে করেন তারা চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। কিন্তু কোনো স্বৈরাচারই জনগণকে দমিয়ে ক্ষমতায় টিকতে পারেনি, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও পারবে না।
তিনি বলেন, জনগণের কোনো সমস্যার সমাধানই সরকার করতে পারেনি, তারা কিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকবে? দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বলতে নাই। এ সরকার দেশকে খুনের উপত্যকায় পরিণত করেছে। গুমের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ষণের সংস্কৃতি চালু হয়েছে।
এ অবস্থায় যতই অন্ধকার পথের ষড়যন্ত্র করেন না কেন কোনো লাভ হবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, তোষামোদকারীদের কথা শুনবেন না। জনগণের সমস্যার সমাধান ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আর গত চার বছরে জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারেননি, এই এক বছরেও পারবেন না।
তরিকুল বলেন, সরকারের সর্বস্তরে দুর্নীতি। যে ব্যাংকে হাত দেবেন সেখানেই দুর্নীতির ছড়াছড়ি। তিনি সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, ‘এটা কি মগের মুল্লুক পেয়েছেন?’
তিনি বলেন, দেশের খ্যাতিমান ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বরা সরকারের সমালোচনা করায় আওয়ামী লীগের কাছে খারাপ হয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করলে ফেরেশতাকেও তারা শয়তান বলে।
তিনি বলেন, ভাসানী ছিলেন নেতাদের নেতা। তিনি আমাদের পূর্বপূরুষ। সরকার পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক থেকে ভাসানীর নাম মুছে ফেলেছে। কিন্তু এতে ভাসানীকে মুছে ফেলা যাবে না। এ দেশ যত দিন থাকবে তত দিন মওলানা ভাসানী থাকবেন গণমানুষের হৃদয়জুড়ে।
ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অনেক দাবি এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। দেশ যে পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে তাতে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতে পারে। এ পরিস্থিতি ঠেকাতে হবে। তিনি বলেন, মওলানা ভাসানীর নাম বই থেকে মুছে ফেলা হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি, কিন্তু এখন তা-ই হলো। আসুন ভাসানীর জন্য সংগ্রামে নেমে পড়ি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু অকৃতজ্ঞ নয় তারা কৃতঘœ। সরকার পাঠ্যপুস্তক থেকে মওলানা ভাসানীর নাম মুছে ফেলেছে, এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মুক্তিযোদ্ধা গণপরিষদের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির ঢাকা মহানগর সদস্যসচিব আবদুস সালাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খান।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ মুজিব ছিলেন আপসকামী নেতা। মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জিয়াউর রহমান, জেনারেল ওসমানীর সাথে মুজিবের নাম স্থান পাওয়ার যোগ্য নয়।
আবদুস সালাম বলেন, দেশের মানুষ এখন তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। সরকার চাইলেই দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে পারবে না।
ড. পিয়াস করিম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান নকশাল দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মওলানা ভাসানী এর প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, নকশাল কারো গায়ে লেখা থাকে না।
এখন শুনছি শিবির দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে শিবির কারো গায়ে লেখা থাকে না।’
No comments