মসজিদ ব্যাংক বাসে ঢুকে পাইকারি গ্রেফতার by আবু সালেহ আকন
রাজধানীতে পাইকারি হারে গ্রেফতার চলছে। এই গ্রেফতার নিয়ে পুলিশ নেমেছে
অর্থ বাণিজ্যে। পুলিশ যাকে সুযোগ পাচ্ছে তাকেই সন্দেহজনক হিসেবে আটক করে
বিরোধী কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক বলে উপস্থাপন করছে।
আর টাকা দিলে তাকে থানা থেকেই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। মসজিদ, ব্যাংক, বেসরকারি
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং যানবাহনে তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি
করছে পুলিশ। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেও কোনো ফল
মিলছে না। বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশ কমিশনারের
সাম্প্রতিক বক্তব্যগুলো অসৎ পুলিশ সদস্যদের সুযোগ আরো বাড়িয়েছে এবং
বেপরোয়া করে তুলেছে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি হারে সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। যাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তার বিরুদ্ধেই পুলিশের অভিযোগ তারা ‘জামায়াত-শিবিরের কর্মী’। রাস্তায় রাস্তায় টহল পুলিশ পথচারীদের দেহ তল্লাশি করে। যানবাহন থামিয়েও তল্লাশি করা হয় যাত্রীদের। গতকাল দুপুরের দিকে শাহবাগ এলাকায় দেখা যায় পুলিশ যাত্রীদের তল্লাশি করছে। এমনকি, তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে কল লিস্ট এবং মেসেজ অপশনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ চালায়। মোবাইলে কারা কল দিয়েছে কারা মেসেজ পাঠিয়েছে তা নিয়েও যাত্রীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে যাদেরকে সন্দেহ হয়েছে তাদের অনেককেই গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় নেয়ার পরে পুলিশ তাদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। যাদের জন্য টাকা দেয়া হয়েছে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, অনেক নিরপরাধ মানুষকেই পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের মিছিল-সমাবেশ থেকে। গতকালও পান্থপথ এলাকায় দুই পথচারীকে ধরে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে গেছে।
পুলিশ গতকাল বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালিয়েছে বলে জানা যায়। ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়ার পর পুলিশ অনেককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মতিঝিল এলাকায় এভাবে অন্তত অর্ধশত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদেরও অনেকে ছাড়া পেয়েছেন টাকা দিয়ে। বিভিন্ন মসজিদের সামনেও পুলিশ এভাবে অভিযান চালায়। গতকাল বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় পুলিশ নজরদারি ছিল চোখেপড়ার মতো। পুলিশ সন্দেহভাজন মুসল্লিদের তল্লাশি করে। মতিঝিলের আরামবাগ এলাকার সবুজ নামের এক যুবক জানান, মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় পুলিশ তাকে তল্লাশি করে। পুলিশ তাকে নানাভাবে জেরা করে। এমনকি, আটক করে থানায় নেয়ার হুমকি দেয়। পরে ওই যুবক তার চাকরিস্থলের পরিচয়পত্র দেখালে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক শ’ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের জনসংযোগ শাখার ডিসি মাসুদুর রহমান অবশ্য ৩৮ জনকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা জামায়াত-শিবির কর্মী।
এ দিকে, পুলিশি গ্রেফতার অভিযান নিয়ে রাজধানীজুড়ে চলছে চরম আতঙ্ক। মানুষ এখন রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছেন। সূত্র জানায়, পুলিশের হয়রানি এড়াতে এখন অনেকে জরুরি কাজ থাকলেও বাসার বাইরে বের হচ্ছেন না।
এ দিকে একাধিক সূত্র বলেছে, ঢাকার পুলিশ কমিশনারের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কারণে অসৎ পুলিশ সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ‘শিবির দেখলেই গুলি করার নির্দেশ’ এবং ‘শিবির দেখে চেনা যায় না কমিশনারের এই বক্তব্য পুঁজি করে অর্থ বাণিজ্যে মাঠে নেমেছে অসৎ পুলিশ সদস্যরা। সূত্র জানায়, এই অসৎ পুলিশ সদস্যরা মানুষের বাসা-বাড়িতে হানা দিয়েও অনেক নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ আছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য ঢাকার পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি হারে সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। যাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তার বিরুদ্ধেই পুলিশের অভিযোগ তারা ‘জামায়াত-শিবিরের কর্মী’। রাস্তায় রাস্তায় টহল পুলিশ পথচারীদের দেহ তল্লাশি করে। যানবাহন থামিয়েও তল্লাশি করা হয় যাত্রীদের। গতকাল দুপুরের দিকে শাহবাগ এলাকায় দেখা যায় পুলিশ যাত্রীদের তল্লাশি করছে। এমনকি, তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে কল লিস্ট এবং মেসেজ অপশনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ চালায়। মোবাইলে কারা কল দিয়েছে কারা মেসেজ পাঠিয়েছে তা নিয়েও যাত্রীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে যাদেরকে সন্দেহ হয়েছে তাদের অনেককেই গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় নেয়ার পরে পুলিশ তাদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। যাদের জন্য টাকা দেয়া হয়েছে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, অনেক নিরপরাধ মানুষকেই পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের মিছিল-সমাবেশ থেকে। গতকালও পান্থপথ এলাকায় দুই পথচারীকে ধরে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে গেছে।
পুলিশ গতকাল বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালিয়েছে বলে জানা যায়। ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়ার পর পুলিশ অনেককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মতিঝিল এলাকায় এভাবে অন্তত অর্ধশত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদেরও অনেকে ছাড়া পেয়েছেন টাকা দিয়ে। বিভিন্ন মসজিদের সামনেও পুলিশ এভাবে অভিযান চালায়। গতকাল বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় পুলিশ নজরদারি ছিল চোখেপড়ার মতো। পুলিশ সন্দেহভাজন মুসল্লিদের তল্লাশি করে। মতিঝিলের আরামবাগ এলাকার সবুজ নামের এক যুবক জানান, মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় পুলিশ তাকে তল্লাশি করে। পুলিশ তাকে নানাভাবে জেরা করে। এমনকি, আটক করে থানায় নেয়ার হুমকি দেয়। পরে ওই যুবক তার চাকরিস্থলের পরিচয়পত্র দেখালে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক শ’ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের জনসংযোগ শাখার ডিসি মাসুদুর রহমান অবশ্য ৩৮ জনকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা জামায়াত-শিবির কর্মী।
এ দিকে, পুলিশি গ্রেফতার অভিযান নিয়ে রাজধানীজুড়ে চলছে চরম আতঙ্ক। মানুষ এখন রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছেন। সূত্র জানায়, পুলিশের হয়রানি এড়াতে এখন অনেকে জরুরি কাজ থাকলেও বাসার বাইরে বের হচ্ছেন না।
এ দিকে একাধিক সূত্র বলেছে, ঢাকার পুলিশ কমিশনারের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কারণে অসৎ পুলিশ সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ‘শিবির দেখলেই গুলি করার নির্দেশ’ এবং ‘শিবির দেখে চেনা যায় না কমিশনারের এই বক্তব্য পুঁজি করে অর্থ বাণিজ্যে মাঠে নেমেছে অসৎ পুলিশ সদস্যরা। সূত্র জানায়, এই অসৎ পুলিশ সদস্যরা মানুষের বাসা-বাড়িতে হানা দিয়েও অনেক নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ আছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য ঢাকার পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
No comments