বিব্রত হওয়ার কারণ দূর করা হোক- তথ্যমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ধন্যবাদ পেতে পারেন তাঁর সত্য ভাষণ ও সরল স্বীকারোক্তির জন্য। গত মঙ্গলবার তথ্য অধিদপ্তরে তিনি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন সরকারের সাফল্য বর্ণনা করতে। তথ্যমন্ত্রী হিসেবে সরকারের সাফল্য জনগণকে অবহিত করা হয়তো তাঁর দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
শিক্ষা, কৃষি, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গত চার বছরে মহাজোট সরকারের সাফল্য বর্ণনার পাশাপাশি তিনি বিগত জোট সরকারের ব্যর্থতার চিত্রও তুলে ধরেন।
কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সাফল্যের চেয়ে সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের বিষয়টিই সামনে আসে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ বা ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় উচ্ছৃখল সন্ত্রাসীর তাণ্ডব অবশ্যই গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে বিব্রত করছে।’ এ ছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও সরকার বিব্রত বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী যখন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সম্পর্কে এ মন্তব্য করছিলেন, তখন ছাত্রলীগের কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছিলেন। অবশ্য পিছিয়ে ছিল না বিএনপির সমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলও। তাঁরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন স্থানে ককটেল ফাটান। এ অভিযোগে ছাত্রদলের এক কর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ পর্যন্ত না-হয় ঠিকই আছে। কিন্তু ছাত্রদলের মিছিল ঠেকানো কিংবা তাদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে কেন? বিএনপি আমলে ছাত্রদল এবং আওয়ামী লীগ আমলে ছাত্রলীগের কাছে নিশ্চয়ই ক্যাম্পাস লিজ দেওয়া হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের কারণে সরকার বিব্রত। কিন্তু সরকার বিব্রত অবস্থা থেকে কীভাবে মুক্তি পেতে পারে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। এর আগে প্রধানমন্ত্রীও এক সংবাদ সম্মেলনে ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু গোয়াল শূন্য হয়নি, গত মঙ্গলবারের ঘটনাই তার প্রমাণ।
ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মাস্তানি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চলতে থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল। এখন সেই ক্যাম্পাসে যারা অশান্তির ছায়া ফেলেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বন্ধ হোক অস্ত্রের মহড়া ও ককটেলবাজি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখনো আশার আলো দেখা যায়নি। অতএব বিব্রত হওয়াই যথেষ্ট নয়। যে কারণে সরকার বিব্রত হচ্ছে, সে কারণ অপনোদনই জরুরি বলে মনে করি।
কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সাফল্যের চেয়ে সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের বিষয়টিই সামনে আসে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ বা ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় উচ্ছৃখল সন্ত্রাসীর তাণ্ডব অবশ্যই গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে বিব্রত করছে।’ এ ছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও সরকার বিব্রত বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী যখন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সম্পর্কে এ মন্তব্য করছিলেন, তখন ছাত্রলীগের কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছিলেন। অবশ্য পিছিয়ে ছিল না বিএনপির সমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলও। তাঁরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন স্থানে ককটেল ফাটান। এ অভিযোগে ছাত্রদলের এক কর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ পর্যন্ত না-হয় ঠিকই আছে। কিন্তু ছাত্রদলের মিছিল ঠেকানো কিংবা তাদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে কেন? বিএনপি আমলে ছাত্রদল এবং আওয়ামী লীগ আমলে ছাত্রলীগের কাছে নিশ্চয়ই ক্যাম্পাস লিজ দেওয়া হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের কারণে সরকার বিব্রত। কিন্তু সরকার বিব্রত অবস্থা থেকে কীভাবে মুক্তি পেতে পারে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। এর আগে প্রধানমন্ত্রীও এক সংবাদ সম্মেলনে ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু গোয়াল শূন্য হয়নি, গত মঙ্গলবারের ঘটনাই তার প্রমাণ।
ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মাস্তানি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চলতে থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল। এখন সেই ক্যাম্পাসে যারা অশান্তির ছায়া ফেলেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বন্ধ হোক অস্ত্রের মহড়া ও ককটেলবাজি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখনো আশার আলো দেখা যায়নি। অতএব বিব্রত হওয়াই যথেষ্ট নয়। যে কারণে সরকার বিব্রত হচ্ছে, সে কারণ অপনোদনই জরুরি বলে মনে করি।
No comments