আরণ্যক- চল্লিশে চালসে নয় by সুজাত হোসেন
১৯৭২-২০১২। মাঝখানে ৪০ বছর। ব্যবধান যতই হোক না কেন, এই সুদীর্ঘ সময়কে সৃজনশীল কর্মযজ্ঞের বন্ধনে যেন কাছেই রেখেছিল আরণ্যক নাট্যদল। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রথম তারা মঞ্চস্থ করে ভাষা আন্দোলনের কালে জেলখানায় বসে মোমের আলোতে লেখা মুনীর চৌধুরীর কবর নাটক।
তারপর গন্তব্যের আলোকরশ্মি ধরে কেবল সম্মুখে এগিয়ে চলা। সঙ্গে পথনাটক, মুক্ত নাটক আন্দোলনসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ কর্মযজ্ঞ আর নৈপুণ্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে আরণ্যক ঠাঁই করে নেয় দেশের নন্দিত নাট্যদলের কাতারে।
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় উদ্বোধন করা হয়েছিল দলের ৪০ বছর পূর্তি উৎসবের বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার। বছরজুড়ে ছিল অনুষ্ঠান। সমাপনী পর্বে গত ২৬ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী নাট্য উৎসব। রংবেরঙের ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুনে উৎসবের রং লেগেছে জাতীয় নাট্যশালার চত্বরজুড়ে। নাট্যশালার প্রধান ফটকে ছিল বিশাল আকৃতির চাকা। পোস্টার ও ব্যানারে স্থান পেয়েছে ৪০টি মুখোশ।
দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মিলনায়তনের সামনে বসানো চমৎকার একটি বায়োস্কোপ। আরণ্যকের বিভিন্ন নাটক ও নাটকের পোস্টার দিয়ে মিলনায়তনের লবিতে ছিল আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
বিকেল গড়াতেই দুই বাংলার নাট্যাঙ্গনের নবীন ও প্রবীণদের সমাগমে মুখর হয়ে ওঠে পুরো আঙিনা। আইটিআইয়ের সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং মামুনুর রশীদকে সঙ্গে নিয়ে মশাল প্রজ্বালন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। উদ্বোধন শেষে মিলনায়তনে ছিল দ্বিতীয় পর্ব। মঞ্চে আসেন আরণ্যকের প্রধান সম্পাদক মামুনুর রশীদ। একে একে মঞ্চে ডেকে নেন ৪০ জন নাট্যকার ও নির্দেশককে। আরণ্যকের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁদের সংবর্ধিত করা হয়েছে। মোড়ক উন্মোচন করা হয় আরণ্যক: একটি দলের নাট্যকথা গ্রন্থের।
উদ্বোধনী পর্ব শেষ করে সবাই চলে গেলেন শিল্পকলা একাডেমীর মাঠে। খ্যাতিমান আলোক নির্দেশক ঠাণ্ডু রায়হানের আরেক দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনা নিয়ে আরণ্যকসহ বিভিন্ন নাট্যদলের দুই শতাধিক নাট্যকর্মীর অংশগ্রহণে আলো, শব্দ ও কোরিওগ্রাফিতে তুলে ধরা হয়েছে আরণ্যকের ৪০ বছরকে। সন্ধ্যা সাতটা ৩০ মিনিটে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়েছে আরণ্যকের নাটক রাঢ়াঙ।
আজ সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হবে দলের দর্শকপ্রিয় প্রযোজনা ইবলিশ। উৎসব শেষহবে ১ ফেব্রুয়ারি। পুরো আয়োজন দেখে বোঝা যায়, চল্লিশ পেরোলেও চালসে হয়ে যায়নি আরণ্যক নাট্যদল।
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় উদ্বোধন করা হয়েছিল দলের ৪০ বছর পূর্তি উৎসবের বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার। বছরজুড়ে ছিল অনুষ্ঠান। সমাপনী পর্বে গত ২৬ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী নাট্য উৎসব। রংবেরঙের ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুনে উৎসবের রং লেগেছে জাতীয় নাট্যশালার চত্বরজুড়ে। নাট্যশালার প্রধান ফটকে ছিল বিশাল আকৃতির চাকা। পোস্টার ও ব্যানারে স্থান পেয়েছে ৪০টি মুখোশ।
দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মিলনায়তনের সামনে বসানো চমৎকার একটি বায়োস্কোপ। আরণ্যকের বিভিন্ন নাটক ও নাটকের পোস্টার দিয়ে মিলনায়তনের লবিতে ছিল আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
বিকেল গড়াতেই দুই বাংলার নাট্যাঙ্গনের নবীন ও প্রবীণদের সমাগমে মুখর হয়ে ওঠে পুরো আঙিনা। আইটিআইয়ের সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং মামুনুর রশীদকে সঙ্গে নিয়ে মশাল প্রজ্বালন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। উদ্বোধন শেষে মিলনায়তনে ছিল দ্বিতীয় পর্ব। মঞ্চে আসেন আরণ্যকের প্রধান সম্পাদক মামুনুর রশীদ। একে একে মঞ্চে ডেকে নেন ৪০ জন নাট্যকার ও নির্দেশককে। আরণ্যকের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁদের সংবর্ধিত করা হয়েছে। মোড়ক উন্মোচন করা হয় আরণ্যক: একটি দলের নাট্যকথা গ্রন্থের।
উদ্বোধনী পর্ব শেষ করে সবাই চলে গেলেন শিল্পকলা একাডেমীর মাঠে। খ্যাতিমান আলোক নির্দেশক ঠাণ্ডু রায়হানের আরেক দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনা নিয়ে আরণ্যকসহ বিভিন্ন নাট্যদলের দুই শতাধিক নাট্যকর্মীর অংশগ্রহণে আলো, শব্দ ও কোরিওগ্রাফিতে তুলে ধরা হয়েছে আরণ্যকের ৪০ বছরকে। সন্ধ্যা সাতটা ৩০ মিনিটে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়েছে আরণ্যকের নাটক রাঢ়াঙ।
আজ সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হবে দলের দর্শকপ্রিয় প্রযোজনা ইবলিশ। উৎসব শেষহবে ১ ফেব্রুয়ারি। পুরো আয়োজন দেখে বোঝা যায়, চল্লিশ পেরোলেও চালসে হয়ে যায়নি আরণ্যক নাট্যদল।
No comments