'সবার চোখের সামনে ধ্বংস হচ্ছে সিরিয়া'-নদী থেকে গুলিবিদ্ধ ৬৮ লাশ উদ্ধার
সিরিয়া পরিস্থিতি 'নজিরবিহীন বিভীষিকাময় পর্যায়ে' পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন লাখদার ব্রাহিমি। দেশটির সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ও আরব লীগ মনোনীত বিশেষ এই দূতের মতে, 'সবার চোখের সামনে সিরিয়া ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।'
এ পরিস্থিতিতে একমাত্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ই দেশটির জন্য কিছু করতে পারে বলে তিনি মনে করেন। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ভূমিকা নিতে হবে সবারে আগে। গত মঙ্গলবার সিরিয়ার একটি নদী থেকে ৬৮ জনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার পর ব্রাহিমি এসব কথা বলেন। ওই দিন নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে যোগ দেন ব্রাহিমি।
এদিকে 'মানবতার নামে' সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানে কার্যকরী ভূমিকা নিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি জোরালো আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। গতকাল বুধবার কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে অনুষ্ঠিত সিরিয়ায় সাহায্যবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি সিরিয়া পরিস্থিতিকে 'বিপর্যয়কর' বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, 'মানবতার নামে হত্যা বন্ধ করুন, সহিংসতা বন্ধ করুন।'
এক দিনের এ সম্মেলনে সিরিয়ার সাহায্যে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এতে ১৫০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার আশা করেছিল জাতিসংঘ। বিশ্ব সংস্থাটির আহবানে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল-সাবাহ এ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ব্রাহিমি। সেখানে তিনি সিরিয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, 'এই করুন ঘটনার (ট্র্যাজেডি) কোনো শেষ নেই।' সিরিয়া সংঘাতের আঘাত গিয়ে পাশের দেশগুলোতে পড়ছে বলেও সতর্ক করেন আলজেরিয়ার সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁকে উদ্ধৃত করে একাধিক কূটনীতিক এ কথা জানান।
৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধার : সিরিয়ায় একটি নদী থেকে কমপক্ষে ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি কিশোরের লাশও আছে। সবার হাত পেছনে বাধা ছিল। তাদের মাথায় বা ঘাড়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার আলেপ্পো শহরের কাছ থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, কুয়েক নদী থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। বিদ্রোহীদের দাবি, সিরিয়া সরকার এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
সামরিক বাহিনীর পক্ষত্যাগী সদস্যদের সংগঠন ফ্রি সিরিয়ান আর্মির ক্যাপ্টেন আবু সাদা ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, 'এখন পর্যন্ত ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই কিশোর বয়সী। পানিতে আরো মৃতদেহ রয়েছে। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। মৃতদেহগুলোর সঙ্গে কোনো পরিচয়পত্র ছিল না।' এদিকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রায় সাত লাখের অধিক শরণার্থী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা গত মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে সিরিয়ায় ২২ মাস ধরে চলা গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার লোক নিহত হয়েছে। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
এদিকে 'মানবতার নামে' সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানে কার্যকরী ভূমিকা নিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি জোরালো আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। গতকাল বুধবার কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে অনুষ্ঠিত সিরিয়ায় সাহায্যবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি সিরিয়া পরিস্থিতিকে 'বিপর্যয়কর' বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, 'মানবতার নামে হত্যা বন্ধ করুন, সহিংসতা বন্ধ করুন।'
এক দিনের এ সম্মেলনে সিরিয়ার সাহায্যে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এতে ১৫০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার আশা করেছিল জাতিসংঘ। বিশ্ব সংস্থাটির আহবানে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল-সাবাহ এ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ব্রাহিমি। সেখানে তিনি সিরিয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, 'এই করুন ঘটনার (ট্র্যাজেডি) কোনো শেষ নেই।' সিরিয়া সংঘাতের আঘাত গিয়ে পাশের দেশগুলোতে পড়ছে বলেও সতর্ক করেন আলজেরিয়ার সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁকে উদ্ধৃত করে একাধিক কূটনীতিক এ কথা জানান।
৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধার : সিরিয়ায় একটি নদী থেকে কমপক্ষে ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি কিশোরের লাশও আছে। সবার হাত পেছনে বাধা ছিল। তাদের মাথায় বা ঘাড়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার আলেপ্পো শহরের কাছ থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, কুয়েক নদী থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। বিদ্রোহীদের দাবি, সিরিয়া সরকার এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
সামরিক বাহিনীর পক্ষত্যাগী সদস্যদের সংগঠন ফ্রি সিরিয়ান আর্মির ক্যাপ্টেন আবু সাদা ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, 'এখন পর্যন্ত ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই কিশোর বয়সী। পানিতে আরো মৃতদেহ রয়েছে। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। মৃতদেহগুলোর সঙ্গে কোনো পরিচয়পত্র ছিল না।' এদিকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রায় সাত লাখের অধিক শরণার্থী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা গত মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে সিরিয়ায় ২২ মাস ধরে চলা গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার লোক নিহত হয়েছে। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
No comments