চলে গেলেন গোল্ডস্টেইন দেখা করতে পারলেন নাঃ অর্থমন্ত্রীর সাথে by সৈয়দ সামসুজ্জামান নীপু
চলে গেলেন অ্যালান গোল্ডস্টেইন। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে গত রাতে তিনি বাংলাদেশ ছেড়েছেন।
যাওয়ার আগে চেষ্টা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সাথে দেখা করার। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনি। দেখা করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও।
এ ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হয়তো ব্যস্ততার কারণে অ্যালান গোল্ডস্টেইনকে সময় দিতে পারেননি; কিন্তু অর্থমন্ত্রীর অ্যালানকে সাক্ষাৎ না দেয়ার মতো ঘটনা এর আগে কখনো হয়নি। এতে আরো একবার প্রমাণিত হলো বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাথে সরকারের সম্পর্ক এখন তলানিতে অবস্থান করছে। শুধু তা-ই নয়, গত মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দাতা ও দেশের সমন্বয়ে গঠিত লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপের (এলসিজি) ওয়াকিং গ্রুপের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এটিও ইআরডি অনুরোধে পিছিয়ে দেয়া হয়, পাছে আবার বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যালানের সাথে অর্থমন্ত্রীর দেখা হয়ে যায়।
ইআরডি ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার সকালে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের পক্ষ থেকে একাধিকবার ইআরডি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়। বলা হয়, কান্ট্রি ডিরেক্টর গোল্ডস্টেইন বুধবার রাতে ওয়াশিংটনে উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন। যাওয়ার আগে তিনি অর্থমন্ত্রী মুহিতের সাথে সাক্ষাৎ করতে চান। কিন্তু ইআরডি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, পূর্বনির্ধারিত কাজে অর্থমন্ত্রী ব্যস্ত রয়েছেন, তাই তার পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাথে এ সময়ে সাক্ষাৎ দেয়া সম্ভব নয়। গত রাতেও দেখা করার সময় চাওয়া হয়। কিন্তু সেটিও পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এর আগে বিশ্বব্যাংকের অন্য সব কান্ট্রি ডিরেক্টরই বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন শেষে অর্থমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন। এটিই সাধারণ সৌজন্য। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হলো। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির বিষয়ে গোল্ডস্টেইনের কঠোর অবস্থান এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তার প্রকাশ্য মুখ খোলার বিষয়ে ভালো চোখে নেয়নি সরকারের উচ্চমহল। অর্থমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন, ‘তিনি নাকি বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। তা হলে তিনি বিশ্বব্যাংকের চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করলেই ভালো হয়।’ এর আগেও অর্থমন্ত্রী পদ্মা সেতু নিয়ে গোল্ডস্টেইনের একটি বিবৃতিকে ‘ফোঁপর দালালি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রীর সাথে গোল্ডস্টেইনের বিদায়ী সাক্ষাৎ যে হবে না, তা অনেকটা নিশ্চিতই হয়ে যায়।
মার্কিন নাগরিক অ্যালান গোল্ডস্টেইনের পরবর্তী গন্তব্য অস্ট্রিয়া। সেখানে বিশ্বব্যাংকের অফিসের যোগ দেয়ার আগে তিনি প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। গোল্ডস্টেইনের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে ঢাকায় আসছে সালমান জহির। ভারতীয় এই নাগরিক আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। গোল্ডস্টেইন ২০০৯ সালের ৯ নভেম্বর কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
এ ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হয়তো ব্যস্ততার কারণে অ্যালান গোল্ডস্টেইনকে সময় দিতে পারেননি; কিন্তু অর্থমন্ত্রীর অ্যালানকে সাক্ষাৎ না দেয়ার মতো ঘটনা এর আগে কখনো হয়নি। এতে আরো একবার প্রমাণিত হলো বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাথে সরকারের সম্পর্ক এখন তলানিতে অবস্থান করছে। শুধু তা-ই নয়, গত মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দাতা ও দেশের সমন্বয়ে গঠিত লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপের (এলসিজি) ওয়াকিং গ্রুপের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এটিও ইআরডি অনুরোধে পিছিয়ে দেয়া হয়, পাছে আবার বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যালানের সাথে অর্থমন্ত্রীর দেখা হয়ে যায়।
ইআরডি ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার সকালে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের পক্ষ থেকে একাধিকবার ইআরডি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়। বলা হয়, কান্ট্রি ডিরেক্টর গোল্ডস্টেইন বুধবার রাতে ওয়াশিংটনে উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন। যাওয়ার আগে তিনি অর্থমন্ত্রী মুহিতের সাথে সাক্ষাৎ করতে চান। কিন্তু ইআরডি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, পূর্বনির্ধারিত কাজে অর্থমন্ত্রী ব্যস্ত রয়েছেন, তাই তার পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাথে এ সময়ে সাক্ষাৎ দেয়া সম্ভব নয়। গত রাতেও দেখা করার সময় চাওয়া হয়। কিন্তু সেটিও পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এর আগে বিশ্বব্যাংকের অন্য সব কান্ট্রি ডিরেক্টরই বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন শেষে অর্থমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন। এটিই সাধারণ সৌজন্য। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হলো। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির বিষয়ে গোল্ডস্টেইনের কঠোর অবস্থান এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তার প্রকাশ্য মুখ খোলার বিষয়ে ভালো চোখে নেয়নি সরকারের উচ্চমহল। অর্থমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন, ‘তিনি নাকি বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। তা হলে তিনি বিশ্বব্যাংকের চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করলেই ভালো হয়।’ এর আগেও অর্থমন্ত্রী পদ্মা সেতু নিয়ে গোল্ডস্টেইনের একটি বিবৃতিকে ‘ফোঁপর দালালি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রীর সাথে গোল্ডস্টেইনের বিদায়ী সাক্ষাৎ যে হবে না, তা অনেকটা নিশ্চিতই হয়ে যায়।
মার্কিন নাগরিক অ্যালান গোল্ডস্টেইনের পরবর্তী গন্তব্য অস্ট্রিয়া। সেখানে বিশ্বব্যাংকের অফিসের যোগ দেয়ার আগে তিনি প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। গোল্ডস্টেইনের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে ঢাকায় আসছে সালমান জহির। ভারতীয় এই নাগরিক আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। গোল্ডস্টেইন ২০০৯ সালের ৯ নভেম্বর কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
No comments