নগর আওয়ামী লীগ- সম্মেলনকে ঘিরে আবার কোন্দল by হামিদ উল্লাহ
আগামী ১ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলকে ঘিরে দলের মধ্যে নতুন করে কোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছে। দলের একাংশের নেতাদের অভিযোগ, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী নিজেই সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলর তৈরি করছেন।
তিনি এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হকের বাইরে বেশির ভাগ নেতাই বিষয়টি জানেন না।
অন্যদিকে সভাপতির মতে, তিনি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ করছেন সম্মেলন সফল করার জন্য। এ নিয়ে কে কী বলল, তাতে তাঁর কিছু আসে যায় না।
জানা যায়, ১১ জানুয়ারি চশমা হিলের বাসায় বর্ধিত সভা ডাকেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী। এতে দলের সহসভাপতি সাংসদ নুরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীনসহ শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাকে ডাকা হয়নি। সভায় আগামী ১ মার্চ মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। তবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে এ ব্যাপারে কোনো সম্মতি পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘একটি দিনক্ষণ ঘোষণা করে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। এখন তারা সবকিছু চিন্তা করে আমাদের জানাবেন।’
প্রসঙ্গত, নগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০৬ সালের ৪ এপ্রিল। ওই সম্মেলনে ৭৩ সদস্যের কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ছয় বছর ধরে কমিটি চলেছে ১৮ সদস্য নিয়ে। ওই কমিটিও কেন্দ্রের অনুমোদন পায়নি।
দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২১ জানুয়ারি বক্সিরহাট ওয়ার্ডে কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও নুরুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। একই দিনে উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডে সভা করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আসিফ খান অভিযোগ করেন, ‘আমাদের না জানিয়েই ৪৫ জন কাউন্সিলরের তালিকা করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।’
নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসম্পাদক জামসেদুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সভাপতি নিজের বাসায় পছন্দের লোকজন দিয়ে বর্ধিত সভা ডেকে নগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। তিনি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে কাউন্সিলর মনোনীত করছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি এসব করতে পারেন না। কারণ, তাঁর নিজের কমিটিরই কেন্দ্রের অনুমোদন নেই।’ তিনি বলেন, ‘ঐক্যের বিষয়টি যদি তাঁরা চিন্তা করলে তো সবাইকে ডাকতেন।’
জানা যায়, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগে দীর্ঘদিন ধরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে নুরুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছে। পরে এ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে নগরের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হয়। দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ আ জ ম নাছির উদ্দিন দুই বছর আগে মিলে যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে। একই সময়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয় তাঁরই এক সময়ের ঘনিষ্ঠ জন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার। তবে সম্প্রতি জ্যেষ্ঠ নেতারা একসঙ্গে কাজ করা ও সম্মেলনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা না গেলেও সম্প্রতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় আফছারুল আমীনের বৈঠক নিয়েও নানা রকম কানাঘুষা চলে। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড পর্যায়ে নতুন করে কমিটি গঠন শুরু করায় বিভাজন নতুন রূপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংগঠনে সত্যিকার অর্থে প্রাণ সঞ্চার করতে হলে গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিল করতে হবে। তাহলে সংগঠন উপকৃত হবে। অন্যথায় আগামী নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হবে।’
এ প্রসঙ্গে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কীভাবে সম্মেলন করতে হয় তা আমার জানা আছে। আমি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ করছি সম্মেলন সফল করার জন্য। এ নিয়ে কে কী বলল তাতে আমার কিছু আসে-যায় না। আমি ইতিমধ্যে উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডেও সভা ডেকেছি। সভায় ইউনিট কমিটি গঠন করা হবে।’
অন্যদিকে সভাপতির মতে, তিনি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ করছেন সম্মেলন সফল করার জন্য। এ নিয়ে কে কী বলল, তাতে তাঁর কিছু আসে যায় না।
জানা যায়, ১১ জানুয়ারি চশমা হিলের বাসায় বর্ধিত সভা ডাকেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী। এতে দলের সহসভাপতি সাংসদ নুরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীনসহ শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাকে ডাকা হয়নি। সভায় আগামী ১ মার্চ মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। তবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে এ ব্যাপারে কোনো সম্মতি পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘একটি দিনক্ষণ ঘোষণা করে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। এখন তারা সবকিছু চিন্তা করে আমাদের জানাবেন।’
প্রসঙ্গত, নগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০৬ সালের ৪ এপ্রিল। ওই সম্মেলনে ৭৩ সদস্যের কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ছয় বছর ধরে কমিটি চলেছে ১৮ সদস্য নিয়ে। ওই কমিটিও কেন্দ্রের অনুমোদন পায়নি।
দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২১ জানুয়ারি বক্সিরহাট ওয়ার্ডে কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও নুরুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। একই দিনে উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডে সভা করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আসিফ খান অভিযোগ করেন, ‘আমাদের না জানিয়েই ৪৫ জন কাউন্সিলরের তালিকা করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।’
নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসম্পাদক জামসেদুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সভাপতি নিজের বাসায় পছন্দের লোকজন দিয়ে বর্ধিত সভা ডেকে নগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। তিনি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে কাউন্সিলর মনোনীত করছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি এসব করতে পারেন না। কারণ, তাঁর নিজের কমিটিরই কেন্দ্রের অনুমোদন নেই।’ তিনি বলেন, ‘ঐক্যের বিষয়টি যদি তাঁরা চিন্তা করলে তো সবাইকে ডাকতেন।’
জানা যায়, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগে দীর্ঘদিন ধরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে নুরুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছে। পরে এ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে নগরের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হয়। দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ আ জ ম নাছির উদ্দিন দুই বছর আগে মিলে যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে। একই সময়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয় তাঁরই এক সময়ের ঘনিষ্ঠ জন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার। তবে সম্প্রতি জ্যেষ্ঠ নেতারা একসঙ্গে কাজ করা ও সম্মেলনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা না গেলেও সম্প্রতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় আফছারুল আমীনের বৈঠক নিয়েও নানা রকম কানাঘুষা চলে। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড পর্যায়ে নতুন করে কমিটি গঠন শুরু করায় বিভাজন নতুন রূপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংগঠনে সত্যিকার অর্থে প্রাণ সঞ্চার করতে হলে গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিল করতে হবে। তাহলে সংগঠন উপকৃত হবে। অন্যথায় আগামী নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হবে।’
এ প্রসঙ্গে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কীভাবে সম্মেলন করতে হয় তা আমার জানা আছে। আমি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ করছি সম্মেলন সফল করার জন্য। এ নিয়ে কে কী বলল তাতে আমার কিছু আসে-যায় না। আমি ইতিমধ্যে উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডেও সভা ডেকেছি। সভায় ইউনিট কমিটি গঠন করা হবে।’
No comments